০৪:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

সিদ্ধিরগঞ্জে ভাসুরের শ্বশুরের বিরুদ্ধে দুই প্রবাসী ভাইয়ের বাড়ি দখলের অভিযোগ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৯:১৪:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৫৯

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আপন ভাসুরের শ্বশুর কর্তৃক প্রবাসী ছোট দুই ভাইয়ের বাড়ী দখলের চক্রান্তের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী আয়েশা আক্তার নামক এক নারী। বুধবার ( ১১ জানুয়ারি) সকালে সিদ্ধিরগঞ্জ পুলস্থ শ্বশুরবাড়ী চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের এসব কথা জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আয়েশা আক্তার বলেন, তার প্রবাসী স্বামী নূর নবী এবং তার স্বামীর মেঝো ভাই আলমের সম্পদ দখল করে রেখেছে তার বড় ভাশুরেরে শশুর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব এনামুল হক। তারা দীর্ঘ ১১ বছর যাবত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নাসিক ১নং ওয়ার্ডের পাইনানী নতুন মহল্লা এলাকায় বসবাস করে আসছেন। তাদের বড় ভাসুর নূরুল ইসলাম তিনিও প্রবাসে ছিলেন। ছোট বেলায় তাদের বাবা আমাদের শশুর মারা যাওয়ায়। পরিবারের সব কিছু দেখাশোনা করতেন আমাদের ভাসুরের শশুর মাহবুব এনামুল হক।
তিনি আরও বলেন, ২০০৫ সালে তার স্বামীসহ তারা তিন ভাই মিলে পাইনাদী নতুন মহল্লায় ৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে। জমি ক্রয়ের বিষয়টি মিডিয়া করেন আমাদের ভাসুরের শ্বশুর মাহবুব এনামুল হক। জমিটি ক্রয় করার পর এই তিন ভাইরের নামেই নামজারী ও জমাভাগ করা হয়।
সর্বশেষ ২০০৮ সালে জমিতে বাড়ীর নির্মান কাজ আরম্ভ করেন। তার স্বামীসহ সবাই প্রবাসে থাকার কারণে কাজের দেখাশোনা করার জন্য ভাসুরের শ্বশুর মাহবুব এনামুল হক সাহেবকে দেওয়া হয়। এবং তাকে পাওয়ার দেওয়া হন। একপর্যায়ে তিনি আমাদের পিতৃতুল্য হওয়ায় তারা তিন ভাই মিলে পাওয়ার দেন। যখন নির্মান কাজের নীচ তলার পিলারের কাজ শেষ হয়ে যায় তখন মাহবুব এনামুল হক তাদের তিন ভাইকে ব্যাংক লোন নেওয়ার পরামর্শ দিলে তারা তিন ভাই রাজি হয়ে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে এসে ২০০৯ সালে ব্যাংকের লোন এবং সার্বিক কাজ দেখা শোনা করার জন্য মাহবুব এনামুল হককে একটি আম মোক্তার নামা দলিল করে দেন। তারা প্রবাসি হওয়ায় ব্যাংক থেকে টাকা উঠানো, ব্যাংকের কিস্তি জমা দেয়া সহ যাবতীয় সকল কাজ পরিচালনা করার জন্য তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

আয়েশা আক্তার বলেন, তার স্বামীসহ তাদের তিন ভাইয়ের নামে ২০০৯ সালে মার্কেন্টাইল ব্যাংক এর প্রধান কার্যালয় থেকে ২০ লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহণ কা হয়। ২০১০ সালে বাড়ীর নির্মান কাজ শেষ হওয়ার পরেও ২০১১ সালে পাওয়ার নামার বলে তাদের কোন ভাইকে না জানিয়ে মাহবুব এনামুল হক ব্যাংক থেকে আরও ১০ লক্ষ টাকার ঋণ গ্রহণ করেন। তবে ২০১০ সালে বাড়ীর তিন তলার নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছিল এবং তখনই প্রতি মাসে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা ভাড়া উঠানো হতো। সেই ভাড়ার টাকা মার্কেন্টাইল ব্যাংকে প্রতি মাসে জমা দেয়ার কথা ছিল মাহবুব এনামুল হকের।

২০১৬ সাল পর্যন্ত অনিয়মিত ভাবে ব্যাংকের কিস্তি প্রদান করত মাহবুব এনামুল হক। এ বিষয় তাদের সবার অজানা ছিল। তবে তিনি বলতো কিস্তি পরিশোধ হচ্ছে, চিন্তার কোন কারণ নেই। আমার স্বামী ২০০৮ সাল থেকে মাহবুব এনামুল হকের পার্সোনাল একাউন্টে টাকা জমা দিতেন। ২০১৩ সালে তার স্বামী ও তার মেজ ভাই নূর আলম বাংলাদেশে আসে এবং মাহবুব এনামুল হক কে ব্যাংকের যাবতীয় হিসাব বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানায়। একপর্যায়ে তাদের সাথে মাহবুব এনামুল হকের কথা কাটাকাটি হয়। এতে মাহবুব এনামুল হক ক্ষৃপ্ত হয়ে তার স্বামীসহ মেজো ভাই নুর আলমকে সন্ত্রাসী দিয়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন চালান। তখন মাহবুব এনামুল হক বলেন, ২০১৯ সালের মধ্যে ব্যাংক লোন পরিশোধ করার পর। সবাইকে বাড়ী বুঝিবো দিবে।
একপর্যায়ে আয়েশা আক্তারের স্বামী বিদেশ চলে যায় এবং ২০১৯ সালে নভেম্বরে ফিরে এসে হিসাব বুঝিয়ে দেয়ার জন্য আবারো অনুরোধ জানান। তবে মাহবুব এনামুল হক হিসাব বুঝিয়ে না দিয়ে নানা তালবাহানা শুরু করলে বিষয়টি নিয়ে সবার সন্দেহ হওয়ায় সরাসরি ব্যাংকে যাওয়া হয়। পরে জানা যায় ২০১৭ সাল থেকে ব্যাংকের কোনো কিস্তি পরিশোধ করে নাই তিনি। ছয় বছরের বাড়ি ভাড়া প্রায় ৫০ থেকে ৬০ লক্ষ টাকা উঠানো হয়েছে। সরলতার সুযোগ নিয়ে এই ৬০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে ফেলেন। ভাশুর নুর আলম শুনলে আম মোক্তারটি বাতিল করেন। পরবর্তীতে তারা নারায়ণগঞ্জের বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজল ১ম আদালতে একটি বণ্টনের মামলা নং-৮২/২১ দায়ের করা হয়। মামলাটির ব্যাংকের টাকা পরিশোধের স্বার্থে বাড়ি ভাড়া আদায়ের জন্য একজন রিসিভার নিয়োগের আবেদন করি।

বিজ্ঞ আদালত ৬.৫.২১ তারিখে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পর্যালোচনা কনে রিসিভার নিয়োগ করে যাবতীয় দায়িত্ব প্রদান করেন মার্কেন্টাইল ব্যাংক শিমরাইল শাখার ম্যানেজারকে। কিন্তু ব্যাংক ম্যানেজারের গাফিলতের কারণে সে ভাড়া আদায় করতে পারেনি। অথচ আদালতের আদেশ অমান্য করে মাহবুব এনামুল হক এখনো বাড়ীর ভাড়া আদায় করে আসছেন কিন্তু ব্যাংকের কোনো টাকাই পরিশোধ করেনি।
আয়েশা আক্তার বলেন, তার ভাসুরের শশুর মাহবুব এনামুল হক বাড়ীটি দেখাশোনার দায়িত্ব নিয়ে এখন তিনি নিজেই দখল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। তার নামে দেয়া পাওয়ার নামা বাতিল করার পরও সে এখনো এই বাড়ীটি নিজের বাড়ী বলে দাবী করছেন এবং নানা প্রপাগাণ্ডা চালাচ্ছেন। বর্তমানে সে ও তার স্বামীর মেজ ভাই নুর আলমের স্ত্রী জেসমিন এ বাড়িটি রক্ষা করার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এ ব্যাপারে আইনগত প্রতিকার পাওয়ার আশায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলামের বরাবর আমরা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। থানায় এবং কাউন্সিলর সাহেবের বরাবরে লিখিত আবেদন করার পর মাহবুব এনামুল হক অর্থাৎ আমার ভাসুরের শ্বশুর আমাদের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লাগেন এবং অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করেন। তারা এ ব্যাপারে সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে সকল কাগজপত্র পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় আইনগত সহায়তা প্রদান করার জন্য স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীরও হস্তক্ষেপ কামনা করে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

সিদ্ধিরগঞ্জে ভাসুরের শ্বশুরের বিরুদ্ধে দুই প্রবাসী ভাইয়ের বাড়ি দখলের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৯:১৪:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আপন ভাসুরের শ্বশুর কর্তৃক প্রবাসী ছোট দুই ভাইয়ের বাড়ী দখলের চক্রান্তের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী আয়েশা আক্তার নামক এক নারী। বুধবার ( ১১ জানুয়ারি) সকালে সিদ্ধিরগঞ্জ পুলস্থ শ্বশুরবাড়ী চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের এসব কথা জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আয়েশা আক্তার বলেন, তার প্রবাসী স্বামী নূর নবী এবং তার স্বামীর মেঝো ভাই আলমের সম্পদ দখল করে রেখেছে তার বড় ভাশুরেরে শশুর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব এনামুল হক। তারা দীর্ঘ ১১ বছর যাবত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নাসিক ১নং ওয়ার্ডের পাইনানী নতুন মহল্লা এলাকায় বসবাস করে আসছেন। তাদের বড় ভাসুর নূরুল ইসলাম তিনিও প্রবাসে ছিলেন। ছোট বেলায় তাদের বাবা আমাদের শশুর মারা যাওয়ায়। পরিবারের সব কিছু দেখাশোনা করতেন আমাদের ভাসুরের শশুর মাহবুব এনামুল হক।
তিনি আরও বলেন, ২০০৫ সালে তার স্বামীসহ তারা তিন ভাই মিলে পাইনাদী নতুন মহল্লায় ৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে। জমি ক্রয়ের বিষয়টি মিডিয়া করেন আমাদের ভাসুরের শ্বশুর মাহবুব এনামুল হক। জমিটি ক্রয় করার পর এই তিন ভাইরের নামেই নামজারী ও জমাভাগ করা হয়।
সর্বশেষ ২০০৮ সালে জমিতে বাড়ীর নির্মান কাজ আরম্ভ করেন। তার স্বামীসহ সবাই প্রবাসে থাকার কারণে কাজের দেখাশোনা করার জন্য ভাসুরের শ্বশুর মাহবুব এনামুল হক সাহেবকে দেওয়া হয়। এবং তাকে পাওয়ার দেওয়া হন। একপর্যায়ে তিনি আমাদের পিতৃতুল্য হওয়ায় তারা তিন ভাই মিলে পাওয়ার দেন। যখন নির্মান কাজের নীচ তলার পিলারের কাজ শেষ হয়ে যায় তখন মাহবুব এনামুল হক তাদের তিন ভাইকে ব্যাংক লোন নেওয়ার পরামর্শ দিলে তারা তিন ভাই রাজি হয়ে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে এসে ২০০৯ সালে ব্যাংকের লোন এবং সার্বিক কাজ দেখা শোনা করার জন্য মাহবুব এনামুল হককে একটি আম মোক্তার নামা দলিল করে দেন। তারা প্রবাসি হওয়ায় ব্যাংক থেকে টাকা উঠানো, ব্যাংকের কিস্তি জমা দেয়া সহ যাবতীয় সকল কাজ পরিচালনা করার জন্য তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

আয়েশা আক্তার বলেন, তার স্বামীসহ তাদের তিন ভাইয়ের নামে ২০০৯ সালে মার্কেন্টাইল ব্যাংক এর প্রধান কার্যালয় থেকে ২০ লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহণ কা হয়। ২০১০ সালে বাড়ীর নির্মান কাজ শেষ হওয়ার পরেও ২০১১ সালে পাওয়ার নামার বলে তাদের কোন ভাইকে না জানিয়ে মাহবুব এনামুল হক ব্যাংক থেকে আরও ১০ লক্ষ টাকার ঋণ গ্রহণ করেন। তবে ২০১০ সালে বাড়ীর তিন তলার নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছিল এবং তখনই প্রতি মাসে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা ভাড়া উঠানো হতো। সেই ভাড়ার টাকা মার্কেন্টাইল ব্যাংকে প্রতি মাসে জমা দেয়ার কথা ছিল মাহবুব এনামুল হকের।

২০১৬ সাল পর্যন্ত অনিয়মিত ভাবে ব্যাংকের কিস্তি প্রদান করত মাহবুব এনামুল হক। এ বিষয় তাদের সবার অজানা ছিল। তবে তিনি বলতো কিস্তি পরিশোধ হচ্ছে, চিন্তার কোন কারণ নেই। আমার স্বামী ২০০৮ সাল থেকে মাহবুব এনামুল হকের পার্সোনাল একাউন্টে টাকা জমা দিতেন। ২০১৩ সালে তার স্বামী ও তার মেজ ভাই নূর আলম বাংলাদেশে আসে এবং মাহবুব এনামুল হক কে ব্যাংকের যাবতীয় হিসাব বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানায়। একপর্যায়ে তাদের সাথে মাহবুব এনামুল হকের কথা কাটাকাটি হয়। এতে মাহবুব এনামুল হক ক্ষৃপ্ত হয়ে তার স্বামীসহ মেজো ভাই নুর আলমকে সন্ত্রাসী দিয়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন চালান। তখন মাহবুব এনামুল হক বলেন, ২০১৯ সালের মধ্যে ব্যাংক লোন পরিশোধ করার পর। সবাইকে বাড়ী বুঝিবো দিবে।
একপর্যায়ে আয়েশা আক্তারের স্বামী বিদেশ চলে যায় এবং ২০১৯ সালে নভেম্বরে ফিরে এসে হিসাব বুঝিয়ে দেয়ার জন্য আবারো অনুরোধ জানান। তবে মাহবুব এনামুল হক হিসাব বুঝিয়ে না দিয়ে নানা তালবাহানা শুরু করলে বিষয়টি নিয়ে সবার সন্দেহ হওয়ায় সরাসরি ব্যাংকে যাওয়া হয়। পরে জানা যায় ২০১৭ সাল থেকে ব্যাংকের কোনো কিস্তি পরিশোধ করে নাই তিনি। ছয় বছরের বাড়ি ভাড়া প্রায় ৫০ থেকে ৬০ লক্ষ টাকা উঠানো হয়েছে। সরলতার সুযোগ নিয়ে এই ৬০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে ফেলেন। ভাশুর নুর আলম শুনলে আম মোক্তারটি বাতিল করেন। পরবর্তীতে তারা নারায়ণগঞ্জের বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজল ১ম আদালতে একটি বণ্টনের মামলা নং-৮২/২১ দায়ের করা হয়। মামলাটির ব্যাংকের টাকা পরিশোধের স্বার্থে বাড়ি ভাড়া আদায়ের জন্য একজন রিসিভার নিয়োগের আবেদন করি।

বিজ্ঞ আদালত ৬.৫.২১ তারিখে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পর্যালোচনা কনে রিসিভার নিয়োগ করে যাবতীয় দায়িত্ব প্রদান করেন মার্কেন্টাইল ব্যাংক শিমরাইল শাখার ম্যানেজারকে। কিন্তু ব্যাংক ম্যানেজারের গাফিলতের কারণে সে ভাড়া আদায় করতে পারেনি। অথচ আদালতের আদেশ অমান্য করে মাহবুব এনামুল হক এখনো বাড়ীর ভাড়া আদায় করে আসছেন কিন্তু ব্যাংকের কোনো টাকাই পরিশোধ করেনি।
আয়েশা আক্তার বলেন, তার ভাসুরের শশুর মাহবুব এনামুল হক বাড়ীটি দেখাশোনার দায়িত্ব নিয়ে এখন তিনি নিজেই দখল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। তার নামে দেয়া পাওয়ার নামা বাতিল করার পরও সে এখনো এই বাড়ীটি নিজের বাড়ী বলে দাবী করছেন এবং নানা প্রপাগাণ্ডা চালাচ্ছেন। বর্তমানে সে ও তার স্বামীর মেজ ভাই নুর আলমের স্ত্রী জেসমিন এ বাড়িটি রক্ষা করার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এ ব্যাপারে আইনগত প্রতিকার পাওয়ার আশায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলামের বরাবর আমরা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। থানায় এবং কাউন্সিলর সাহেবের বরাবরে লিখিত আবেদন করার পর মাহবুব এনামুল হক অর্থাৎ আমার ভাসুরের শ্বশুর আমাদের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লাগেন এবং অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করেন। তারা এ ব্যাপারে সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে সকল কাগজপত্র পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় আইনগত সহায়তা প্রদান করার জন্য স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীরও হস্তক্ষেপ কামনা করে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন