অনলাইনে অর্থ কামানোর প্রলোভন রোজিনার ফাঁদ
- আপডেট সময় : ০৬:২২:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩
- / ৬২
সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :
সিদ্ধিরগঞ্জের হীরাঝিলে রোজিনা নামে এক যুবতীর ফাঁদে পড়ে সম্ভ্রম হারাচ্ছে বহু যুবতী ও ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার হচ্ছে যুবকরা। অর্থের লোভ দেখিয়ে নিজের বাসায় সুন্দরী যুবতী রেখে বিদেশ থেকে পরিচালিত হেডশট নামে একটি ইমো আইডির মাধ্যমে ইমোতে সেক্স করানোর পাশাপাশি পতিতাবৃত্তির অভিযোগ উঠেছে রোজিনার বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ১নং ওয়ার্ডের হীরাঝিল আবাসিক এলাকার ১২ নম্বর গলিতে রোজা গার্ডেন নামক বাড়ীর পাঁচ তলার ৬০১ নম্বর ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন রোজিনা। কানাডার একটি চক্রের সাথে সমন্বয় করে প্রতি মিনিট তিন ডলারে ইমোতে সেক্স করার জন্য নিজ বাসাকে আস্তানা বানিয়েছে এই যুবতী। হেডশট নামে একটি আইডির মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে এঅপকর্ম করে যাচ্ছে সে। ঘন্টায় হাজার হাজার টাকা আয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সুন্দরী যুবতীদের প্রলুব্ধ করে নিজের বাসায় নিয়ে ইমোতে সেক্স করার জন্য কিছুদিন প্রশিক্ষণ দেয়। বিদেশীদের সাথে ইমোতে সেক্স করার পাশাপাশি এসব যুবতীদেরকে তার ফ্ল্যাটে পতিতাবৃত্তিতেও বাধ্য করে রোজিনা। রোজিনার ফাঁদে পড়ে সম্ভ্রম হারিয়েছে এমন কয়েকজন ভূক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে এসব তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। রোজিনার বাসায় ফুর্তি করতে গিয়ে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার হয়েছে এমন যুবকের সংখ্যাও কম নয়।
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে এইচএসসি পাস করা মিজমিজি এলাকার এক যুবতী জানায়, অভাবের সংসারে হাল ধরতে চাকরি খোঁজছিলাম। তখন রোজিনা চাকরি দেওয়ার কথা বলে নিজের ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। অনলাইনে ঘন্টায় হাজার হাজার টাকা রোজগার করা সম্ভব বলে পরামর্শ দেয়। কিভাবে জানতে চাইলে লেপটপে তার ইমো আইডি দেখিয়ে বিদেশীদের সাথে সেক্স করলে প্রতি মিনিটে তিন ডলার আয় হবে বলে প্রলোভন দেখায়। বাস্তবে নয় শুধু নগ্ন হয়ে সেক্স অভিনয় করলেই আইডি একাউন্ডে ডলার যোগ হবে। এসব ডলার বাংলাদেশী টাকাতে রূপান্তর করা যায়, এমন
প্রলোভন দেখিয়ে ইমোতে সেক্স করার কলা কৌশল শিকিয়ে দেয়। দুই মাসের অধিক ইমোতে সেক্স করার পর আইডি একাউন্টে ডলার যোগ হলেও কোন টাকা না পাওয়ার কারণ জানতে চাইলে রোজিনা বাস্তবে পতিতাবৃত্তি করার প্রস্তাব দেয়। এর পর থেকে তার বাসায় যাওয়া বন্ধ করে দেই।
রোজিনার প্রলোভনে পড়ে ইমোতে সেক্স করা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন যুবতী জানায়, আয়ের অর্থেক রেখে দেয় সফটওয়্যার নিয়ন্ত্রনকারী বিদেশী চক্র। বাংলাদেশের সমন্বয়কারী হিসেবে বাকী অর্ধেক পায় রোজিনা। তার অংশ থেকে অর্ধেক দেওয়ার কথা থাকলেও ঠিকমত দেয়না। তার ফাঁদে পড়ে ইমোর পাশাপাশি বাস্তবেই বিভিন্ন খদ্দেরের সাথে সেক্স করতে বাধ্য হচ্ছে কিছু যুবতী। রোজিনার বাসায় যুবতীর সাথে ফুর্তি করতে গিয়ে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার হয়েছে স্থানীয় এক যুবক। তার কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষাধিক টাকা। তবে লোকলজ্জায় তিনি নিজের পরিচয় প্রকাশ করতে ইচ্ছুক নন। তবে অভিযোগকারী সকলের বক্তব্যের ভিডিও সংরক্ষিত রয়েছে প্রতিবেদকের কাছে।
এবিষয়ে রোজিনা বলেন, আমার রেফারেন্সে দুইটি মেয়ে কাজ করত। এখন আমার এখানে কোন মেয়ে নেই।