মাহবুবুর রহমান জিসান, লক্ষ্মীপুর:
ক্লান্তি অলস সময় আর নাগরিক কর্মব্যস্ততার মাঝে প্রশান্তির ছায়া খুজতে অনেকেই ছুটে আসছেন লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার সর্ব পশ্চিম মেঘনার তীর ঘেঁষে তৈরি আলতাফ মাস্টার মাছ ঘাটে। প্রাকৃতিক প্রেমী আর রুচিশীল পর্যটকের আনাগোনায় মুখরিত থাকে জায়গাটি। মুলত মেঘনা নদীর তীরে গড়ে উঠার কারনে জায়গাটি ভ্রমণপিয়াসী মানুষের কাছে অনেক প্রিয়।
মেঘননার অপরুপ সন্দর্য উপভোগ করার জন্য আলতাফ মাস্টার ঘাটের থেকে ভালো জায়গা নেই বললেই চলে। অনেকেই ইতিমধ্যে মিনি কক্সবাজার নামেই বেস পরিচিত বলে মনে করছেন জায়গাটিকে। শুক্রবার সহ বিভিন্ন ছুটির দিন ছাড়াও প্রতিদিনের বিকেলে হাজারো পর্যটকের উপচে পড়া ভির চখে পড়ে। ইতিমধ্যেই শুধু লক্ষ্মীপুর জেলাই নয় জেলার বাহিরেও রুচিশীল পর্যটকের কাছে বেশ জনপ্রিয় নাম আলতাফ মাস্টার মাছ ঘাট। প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা থেকে ছুটে আসছেন বহু পর্যটক। এখানকার প্রধান সন্দর্য হচ্ছে মেঘনা নদী।
এছাড়াও ঘাটের হোটেলগুলোর সন্দর্যও বেশ নজরকাড়া, এখানের হোটেলগুলোতে বসেই উপভোগ করতে পারবেন মেঘনার অপরুপ সন্দর্য ও আপন মনে ভাবতে পারবেন প্রিয়জনের কথা। এছাড়াও এখানে নৌকা ও স্পিড বোট ভ্রমন অনেকের কাছে প্রিয়, এখানে দেখা মিলবে জীবন্ত ইলিশের। পর্যটকদের দাবি মেঘনার হিমেল বাতাসে ভেসে ভেড়ানো আর শিতে পরিবার নিয়ে বনভোজনের জন্য প্রিয় স্থান এটি।
এখানকার হোটেল মনলিকদের দাবি দিনে হাজার হাজার মানুষের আগমন ঘটে এখানে প্রতিদিন প্রায় লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। ঘাটে প্রতিধিন প্রায় কয়েক লক্ষ টাকার ইলিশ ক্রয়, বিক্রয় করা হয়।
মুলত ঘাটটি নির্মান করেন লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান জনাব মাস্টার আলতাফ হোসেন হাওলাদার (বিএসসি) মূলত তার নাম অনুসারে ঘাটটির নাম রাখা হয় আলতাফ মাস্টার মাছ ঘাট।
নির্মানের কয়েক বছরেই বেশ সাড়া ফেলেছে জায়গাটি। এটি নির্মান করায় এলাকার শত বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের জায়গাও হয়েছে এখানে। এতে প্রশংসায় ভাসছেন ঘাট নির্মাতা।
এসকে মাল্টিমিডিয়া থেকে প্রকাশিত "প্রতিদিনের নিউজ ডটকম" হেড অফিস: ৫৩/এ নয়া পল্টন এক্সটেনশন রোড ঢাকা-১২০০। মোবাইল ০১৯৩০ ১৭২ ৫২০, ০১৩১৪ ১৬৮ ৬৪৪ । আঞ্চলিক অফিস: হাজী রজ্জব আলী সুপার মার্কেট (নিচ তলা) চিটাগাংরোড, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ। Email:protidinernews24@gmail
সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না