১১:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

গুরুদাসপুর ফসলি জমিতে চলছে পুকুর কাটার মহোৎসব

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০১:০৪:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৫৯

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইমাম হাছাইন পিন্টু নাটোর:

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় বিভিন্ন পয়েন্টে তিন ফসলি জমিতে মহা ধুমধামে চলছে পুকুর কাটার মহাউৎসব সরকারি বিধি নিষেধ অপেক্ষা করে এইসব পুকুর খনন করছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।
রীতিমতো পুকুর খননের মাটি ট্রলারে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ইটভাটা সহ বিভিন্ন জায়গায় যার কারনে নষ্ট হচ্ছে পাকা রাস্তা সড়ক যার কারনে প্রতিনিয়ত রাস্তায় যানবাহন চলাচলে সৃষ্টি হচ্ছে এবং রাস্তায় পড়ে থাকা মাটির কারণে কাঁদার সৃষ্টি হয়ে সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে অনেকেই।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গুরুদাসপুর উপজেলার মশিনদা ইউনিয়নে কান্দিপাড়া বিয়াঘাট ইউনিয়নে সুইজ গ্রেট সংলগ্ন, বাবলাতলা নাজিরপুর ইউনিয়নে দৌলতপুর চন্দ্রপুর, বিগ বাজার, অফ দা, চাপিলা ইউনিয়নে মুকিমপুর, ধনুরা, সাই বাজার, কুটি বাজার,ধারাবরিষা ইউনিয়নে বিন্না বাড়ি সহ উপজেলা বিভিন্ন পয়েন্টে ভেকু বসিয়ে অবৈধভাবে তিন ফসলা জমিতে পুকুর খনন করছেন অবাদে যাহা ভবিষ্যতে কৃষি পণ্য উৎপাদনে ব্যাপক প্রভাব খেলবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছেন স্থানীয় কৃষকরা।
কুকুর খননের সাথে জড়িত কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন আমরা জমির মালিক এর কাছ থেকে জোমি লিজ নিয়ে পুকুর খনন করছি এবং মুনাফারা আশায় মাটি গুলো ইটভাটা সহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছি। ভেকু এবং ট্রলার মালিকরা জানান আমরা ভাড়া এসেছি আমাদের কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে কিছু জমির মালিক এবং মাটি ব্যবসায়ীরা পুকুর খনন করে নিচ্ছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জমির মালিকরা প্রতিদিনের নিউজ বে বলেন, কয়েক বছর যাবত আশেপাশে পুকুর খনন করায় আমাদের কিছু জমি অনাবাদি এবং পানি জমে থাকে তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই পুকুর খনন করে নিচ্ছি।

অধিকাংশ কৃষকরা জানান আমরা এক এক জমি এক এক জমিতে থেকে তিন থেকে চারবার বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করে থাকি বর্তমানে যেভাবে অবাধে পুকুর খনন চলছে এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে ফসল উৎপাদন করা মুশকিল হয়ে যাবে তাই এখনই এই অবাধে পুকুর খনন বন্ধ করা দরকার আমরা স্থানীয় প্রশাসন সহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হারুনুর রশিদ প্রতিদিনের নিউজ কে বলেন, কোনভাবেই দুই অথবা তিন ফসলা জমিতে কুকুর কাটা ঠিক হবে না এ বিষয়ে সর্বসাধারণ বিশেষ করে জমির মালিক গনকে সচেতন হতে হবে।
গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবনী রায় প্রতিদিনের নিউজ কে জানান, কুকুর কাটার কোন অনুমতি নেই যারা এর সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া সহ ইতিমধ্যেই পুকুর খনন বন্ধে ভ্রাম্যমান মোবাইল কোড পরিচালনা করা হচ্ছে তবে জমির মালিক গনকে আরো সচেতন হতে হবে এবং এলাকাবাসীর সরাসরি সহযোগিতা কামনা করি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

গুরুদাসপুর ফসলি জমিতে চলছে পুকুর কাটার মহোৎসব

আপডেট সময় : ০১:০৪:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইমাম হাছাইন পিন্টু নাটোর:

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় বিভিন্ন পয়েন্টে তিন ফসলি জমিতে মহা ধুমধামে চলছে পুকুর কাটার মহাউৎসব সরকারি বিধি নিষেধ অপেক্ষা করে এইসব পুকুর খনন করছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।
রীতিমতো পুকুর খননের মাটি ট্রলারে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ইটভাটা সহ বিভিন্ন জায়গায় যার কারনে নষ্ট হচ্ছে পাকা রাস্তা সড়ক যার কারনে প্রতিনিয়ত রাস্তায় যানবাহন চলাচলে সৃষ্টি হচ্ছে এবং রাস্তায় পড়ে থাকা মাটির কারণে কাঁদার সৃষ্টি হয়ে সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে অনেকেই।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গুরুদাসপুর উপজেলার মশিনদা ইউনিয়নে কান্দিপাড়া বিয়াঘাট ইউনিয়নে সুইজ গ্রেট সংলগ্ন, বাবলাতলা নাজিরপুর ইউনিয়নে দৌলতপুর চন্দ্রপুর, বিগ বাজার, অফ দা, চাপিলা ইউনিয়নে মুকিমপুর, ধনুরা, সাই বাজার, কুটি বাজার,ধারাবরিষা ইউনিয়নে বিন্না বাড়ি সহ উপজেলা বিভিন্ন পয়েন্টে ভেকু বসিয়ে অবৈধভাবে তিন ফসলা জমিতে পুকুর খনন করছেন অবাদে যাহা ভবিষ্যতে কৃষি পণ্য উৎপাদনে ব্যাপক প্রভাব খেলবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছেন স্থানীয় কৃষকরা।
কুকুর খননের সাথে জড়িত কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন আমরা জমির মালিক এর কাছ থেকে জোমি লিজ নিয়ে পুকুর খনন করছি এবং মুনাফারা আশায় মাটি গুলো ইটভাটা সহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছি। ভেকু এবং ট্রলার মালিকরা জানান আমরা ভাড়া এসেছি আমাদের কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে কিছু জমির মালিক এবং মাটি ব্যবসায়ীরা পুকুর খনন করে নিচ্ছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জমির মালিকরা প্রতিদিনের নিউজ বে বলেন, কয়েক বছর যাবত আশেপাশে পুকুর খনন করায় আমাদের কিছু জমি অনাবাদি এবং পানি জমে থাকে তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই পুকুর খনন করে নিচ্ছি।

অধিকাংশ কৃষকরা জানান আমরা এক এক জমি এক এক জমিতে থেকে তিন থেকে চারবার বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করে থাকি বর্তমানে যেভাবে অবাধে পুকুর খনন চলছে এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে ফসল উৎপাদন করা মুশকিল হয়ে যাবে তাই এখনই এই অবাধে পুকুর খনন বন্ধ করা দরকার আমরা স্থানীয় প্রশাসন সহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হারুনুর রশিদ প্রতিদিনের নিউজ কে বলেন, কোনভাবেই দুই অথবা তিন ফসলা জমিতে কুকুর কাটা ঠিক হবে না এ বিষয়ে সর্বসাধারণ বিশেষ করে জমির মালিক গনকে সচেতন হতে হবে।
গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবনী রায় প্রতিদিনের নিউজ কে জানান, কুকুর কাটার কোন অনুমতি নেই যারা এর সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া সহ ইতিমধ্যেই পুকুর খনন বন্ধে ভ্রাম্যমান মোবাইল কোড পরিচালনা করা হচ্ছে তবে জমির মালিক গনকে আরো সচেতন হতে হবে এবং এলাকাবাসীর সরাসরি সহযোগিতা কামনা করি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন