লালমনিরহাটে দুই পদে থাকা সেই কর্মচারীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু
- আপডেট সময় : ০৭:০২:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জানুয়ারী ২০২৩
- / ৫০
লালমনিরহাট সংবাদদাতা
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ি কেরামতিয়া দাখিল মাদরাসার অফিস সহকারী এজাজুল ইসলাম একাই দুই পদে থাকায় তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। রোববার (১ জানুয়ারি) অভিযোগকারীকে তদন্তে সহায়তার আহবান জানিয়ে পত্র পাঠিয়েছেন তদন্তকর্মকর্তা লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার মাহবুবুর রহমান। আগামী মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় ভেলাবাড়ি কেরামতিয়া দাখিল মাদরাসায় তথ্য উপাত্ত নিয়ে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
অভিযুক্ত এজাজুল ইসলাম ভেলাবাড়ি কেরামতিয়া দাখিল মাদরাসার অফিস সহকারীর পাশাপাশি তিনি ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্টার হিসেবেও কর্মরত রয়েছেন। এর আগে গত ২৬ সেপ্টেম্বর এ ঘটনার তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নিতে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন আব্দুল হাকিম নামে এক সেবাগ্রহীতা। অভিযোগকারী আব্দুল হাকিম উপজেলার ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের মহিষতুলি গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ভেলাবাড়ি কেরামতিয়া দাখিল মাদরাসার তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন এজাজুল ইসলাম। তিনি তথ্য গোপন করে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের বিচার শাখা ৭ থেকে ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্টার হিসেবেও নিয়োগ নেন। আর এটি বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদরাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ এর ১১, ১০ (ক), ১৭, ৩, ১৮, ১, ২৭ (ঙ) ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে নিকাহ রেজিস্টারদের জন্য একটি কার্যালয় রয়েছে। সেখানেই নিকাহ রেজিস্টার বসার কথা থাকলেও এজাজুল ইসলাম সেখানে না থেকে মাদরাসায় কর্মরত থাকেন। এতে কাঙ্খিত সেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয়রা। আর নিকাহ রেজিস্টার কাজে সময় দিলে মাদরাসার কাজে বিঘ্ন ঘটে। তাই পৃথক পদে পৃথক ব্যাক্তির ওপর ন্যাস্ত করতে স্থানীয়রা ঊর্দ্ধতন মহলের সুদৃষ্টি কামনা করেন। নিকাহ রেজিস্টার কাজে ভোগান্তি রোধকল্পে স্থানীয় মহিষতুলি গ্রামের আব্দুল হাকিম বাদি হয়ে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। যার প্রেক্ষিতে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ‘দুই পদে একই ব্যাক্তি!’ শিরোনামে এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর তদন্তে নামে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বিষয়টি সরেজমিনে তদন্তের দায়িত্ব পান সহকারী কমিশনার মাহাবুবুর রহমান। আগামী মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় ভেলাবাড়ি কেরামতিয়া দাখিল মাদরাসায় তদন্ত কার্য শুরু হবে। তদন্ত কার্যে তথ্য উপাত্ত দিয়ে সহায়তা করতে অভিযোগকারীকেও পত্র দিয়ে অবগত করা হয়েছে।
অভিযোগকারী আব্দুল হাকিম বলেন, এলাকার হাজার হাজার মেধাবী শিক্ষিত যুবক বেকারত্বের কষাঘাতে পিষ্ট। অথচ নিকাহ রেজিস্টার এজাজুল ইসলাম তথ্য গোপন করে একাই দুইটি পদে নিয়োগ নিয়ে বেতন ভাতা আত্নসাৎ করছেন। তাই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে লিখিত অভিযোগ করেছি। সেই অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। আমাকে পত্র দিয়ে অবগত করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।