বন্দর (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা

৩১শে ডিসেম্বর শনিবার নারায়নগঞ্জ বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ কাউন্সিল ৮নং ওয়ার্ড আম বাগান অস্থায়ী কার্যালয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে মুছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়নগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. আব্দুল হাই, প্রধান বক্তা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এডভোকেট আবু হাসনাত মো. শহিদ (ভিপি)বাদল, উদ্ভোধক বন্দর থানা আওয়ামিলীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম এ রশিদ।

বিশেষ অতিথি বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আজিজুল হক আজিজ, সোনা মিয়া মেম্বার,মদনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গাজ্বী এম এ সালাম, বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন প্রধান, যুগ্ম সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য আলহাজ্ব মাসুম আহম্মেদ, সাইদুল ইসলাম জুয়েল, গোলাম রব্বানী, আক্তার হোসেন বি এ, জুয়েল ভূইয়া, ইব্রাহীম কাসেম সহ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

দীর্ঘ দেড় যুগেরও বেশী সময় বন্দর উপজেলা মুছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ কাউন্সিল না হওয়ায় পুরাতন কমিটির নেতৃবৃন্দের মাঝে সাংগঠনিক কার্যকলাপ স্থবির হয়ে আছে। ফলে সঠিক নেতৃত্বের হাতে দায়িত্ব দিতে হাই কমান্ডের নির্দেশে ৩১শে ডিসেম্বর শনিবার কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এবারের কাউন্সিল নির্বাচনে সভাপতি পদে ২ জন ও সাধারন সম্পাদক পদে ৪ জন প্রতিদন্দীতায় অংশ নেয়। মোট ২২৬ ভোটের মধ্যে মো. মজিবুর রহমান ১৬৫ ভোট পেয়ে সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়। তার নিকটতম প্রতিদন্ধী আব্দুল কাদির (সাবেক মেম্বার) পায় ৪০ ভোট। সাধারন সম্পাদক পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদন্ধীতা করেছেন। যাদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ৫৩ ভোট, মো. আবুল হাসনাত জনি ৯৭ ভোট পেয়ে সাধারন সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়। বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক ইসমাইল হোসেন ১৮ ও মেজবাহ উদ্দিন মিলন ২৩ ভোট পায়। মোট ২২৬জন কাউন্সিলরকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করার মাধ্যমে কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে মুছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ কাউন্সিল অত্যন্ত সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে বন্দর উপজেলা সাবেক সভাপতি শফিউদ্দিন শফি প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সহকারী শাহজাহান মোল্লা ও আমির হোসেন দায়িত্ব পালন করেন। মোট ২২৬ টি ভোটের মধ্যে সভাপতি পদে ২২০ ভোট কাস্ট হলেও বাতিল হয়েছে ১৫ টি। সাধারন সম্পাদক পদে বাতিল হয়েছে ২৫ ভোট।

তবে নির্বাচিত সভাপতি মো. মজিবুর রহমান পরাজিত প্রার্থী সকলকে ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে একসাথে কাজ করার আহবান জানান। সেই সাথে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারন করে আগামী দিনগুলো যেন মুছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ রাজনীতি গতিশীলতা পায় সে লক্ষ্য সকলে মিলেমিশে কাজ করবেন বলে ঘোষণা দেন।