০৬:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মামলায় আ,লীগ নেতাসহ আসামি তাহিরপুরের চিহ্নিত চোরাকারবারি আজাদ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৪:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৭৬

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার :

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন হামলায় সিলেটে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মামলায় এজাহারনামীয় আসামি সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের চিহ্নিত চোরাকারবারি ও আওয়ামীলীগ নেতা হাবিব সারোয়ার আজাদ (৫০)। তিনি উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়ন কামড়াবন্দ গ্রামের বাসিন্দা মৃত বদ মিয়ার ছেলে।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান,গত ৬ বছর পূর্বে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ পুলিশের হাতে আটক হলেও আওয়ামীলীগ ক্ষমতা থাকায় নানান চাপ সৃষ্টি করে ছাড়া পেয়ে যায়। এছাড়া তার বিরুদ্ধে সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান,মাদক ব্যবসাসহ এলাকায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। তার ছেলে সিহাব সারোয়ার শিপু সিলেট এমসি কলেজে ছাত্রলীগের সহ সভাপতি পদে রয়েছে।

এ মামলায় সাবেক চার মন্ত্রী-এমপি ও মেয়রসহ ৪৭৭জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামীদের সবাই আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন হামলার সাড়ে ৬ মাসের মাথায় আদালতের নির্দেশে সিলেট নগরীর কোতোয়ালি থানায় এ মামলাটি রেকর্ড করা হয়।

১৯০৮ ইং সনের অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের ৩/৪ তৎসহ ৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩৪ দণ্ডবিধির ধারায় ৩ ফেব্রুয়ারি রেকর্ড হওয়া এ মামলার বাদি সিলেট জেলা যুবদলের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও মোগলাবাজার থানার মির্জাপুর গ্রামের মো. নামর আলীর ছেলে সাজিব আহমদ।

সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে (৫৫)প্রধান করে দায়ের হওয়া এ মামলায় ৭৭ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০-৪০০ জনকে আসামি করা হয়।

এজাহারের ভাষ্যমতে, ২০২৪ সালের ৩ আগস্ট বিকেল ৪টার দিকে সিলেট নগরীর চৌহাট্টাস্থ সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার এক দফা দাবি ও ছাত্র-জনতাকে হত্যার প্রতিবাদে আন্দোলন চলছিল। এ কর্মসূচিতে বাদীও অংশ নেন। এসময় মামলার অভিযুক্তরা নগরীর রিকাবীবাজার থেকে মিছিল সহকারে এসে চৌহাট্টায় অবস্থানরত বাদীসহ ছাত্র-জনতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। আসামিদের গুলিতে বাদী আহত হন।

এ ঘটনায় বাদী আদালতে চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি অভিযোগ দায়ের করেন। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক মামলটি রেকর্ড করতে কোতোয়ালি থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন।

এজাহারনামীয় অন্য আসামি হলেন সাবেক আইমন্ত্রী আনিসুল হক,সিলেট-৩ আসনের সাবেক এমপি হাবিবুর রহমান হাবিব (৫৫), সিলেট-৫ আসনের সাবেক এমপি হাফিজ আহমদ মজুমদার (৬৫), বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের (বিএমএ)সাবেক মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল (৬৫),ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. রফিক আহমদ,সিলেট জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য সুভাস দাস (৪৫) ও ইফজাল আহমদ চৌধুরী (৪০),সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম,সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজসহ ৭৭ জনের নাম উল্লেখ্য করে ৪৭৭জনকে আসাসী করা হয়েছে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মামলায় আ,লীগ নেতাসহ আসামি তাহিরপুরের চিহ্নিত চোরাকারবারি আজাদ

আপডেট সময় : ০৯:৫৪:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার :

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন হামলায় সিলেটে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মামলায় এজাহারনামীয় আসামি সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের চিহ্নিত চোরাকারবারি ও আওয়ামীলীগ নেতা হাবিব সারোয়ার আজাদ (৫০)। তিনি উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়ন কামড়াবন্দ গ্রামের বাসিন্দা মৃত বদ মিয়ার ছেলে।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান,গত ৬ বছর পূর্বে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ পুলিশের হাতে আটক হলেও আওয়ামীলীগ ক্ষমতা থাকায় নানান চাপ সৃষ্টি করে ছাড়া পেয়ে যায়। এছাড়া তার বিরুদ্ধে সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান,মাদক ব্যবসাসহ এলাকায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। তার ছেলে সিহাব সারোয়ার শিপু সিলেট এমসি কলেজে ছাত্রলীগের সহ সভাপতি পদে রয়েছে।

এ মামলায় সাবেক চার মন্ত্রী-এমপি ও মেয়রসহ ৪৭৭জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামীদের সবাই আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন হামলার সাড়ে ৬ মাসের মাথায় আদালতের নির্দেশে সিলেট নগরীর কোতোয়ালি থানায় এ মামলাটি রেকর্ড করা হয়।

১৯০৮ ইং সনের অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের ৩/৪ তৎসহ ৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩৪ দণ্ডবিধির ধারায় ৩ ফেব্রুয়ারি রেকর্ড হওয়া এ মামলার বাদি সিলেট জেলা যুবদলের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও মোগলাবাজার থানার মির্জাপুর গ্রামের মো. নামর আলীর ছেলে সাজিব আহমদ।

সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে (৫৫)প্রধান করে দায়ের হওয়া এ মামলায় ৭৭ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০-৪০০ জনকে আসামি করা হয়।

এজাহারের ভাষ্যমতে, ২০২৪ সালের ৩ আগস্ট বিকেল ৪টার দিকে সিলেট নগরীর চৌহাট্টাস্থ সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার এক দফা দাবি ও ছাত্র-জনতাকে হত্যার প্রতিবাদে আন্দোলন চলছিল। এ কর্মসূচিতে বাদীও অংশ নেন। এসময় মামলার অভিযুক্তরা নগরীর রিকাবীবাজার থেকে মিছিল সহকারে এসে চৌহাট্টায় অবস্থানরত বাদীসহ ছাত্র-জনতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। আসামিদের গুলিতে বাদী আহত হন।

এ ঘটনায় বাদী আদালতে চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি অভিযোগ দায়ের করেন। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক মামলটি রেকর্ড করতে কোতোয়ালি থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন।

এজাহারনামীয় অন্য আসামি হলেন সাবেক আইমন্ত্রী আনিসুল হক,সিলেট-৩ আসনের সাবেক এমপি হাবিবুর রহমান হাবিব (৫৫), সিলেট-৫ আসনের সাবেক এমপি হাফিজ আহমদ মজুমদার (৬৫), বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের (বিএমএ)সাবেক মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল (৬৫),ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. রফিক আহমদ,সিলেট জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য সুভাস দাস (৪৫) ও ইফজাল আহমদ চৌধুরী (৪০),সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম,সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজসহ ৭৭ জনের নাম উল্লেখ্য করে ৪৭৭জনকে আসাসী করা হয়েছে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন