০৭:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ডিসেম্বর ধরেই জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন: ইসি সানাউল্লাহ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০২:২৪:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ২১

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

প্রতিদিনের নিউজ :

নির্বাচন কমিশন (ইসি) ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের ভোট ধরেই সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে কোনোভাবেই স্থানীয় সরকারের ভোট করা সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে কমিশন। তবে সরকার চাইলে বাধ্য হয়েই জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকারের ভোট করবে সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটি। কমিশন বলছে, এখনো পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে কোনো চ্যালেঞ্জ দেখছে না তারা।

মঙ্গলবার ইউএনডিপিসহ উন্নয়ন সহযোগী ১৮টি দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠক করে এএমএম নাসির উদ্দিন কমিশন। নির্বাচন ভবনে সকালে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজুল মো. সানাউল্লাহ ইসির অবস্থান তুলে ধরেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, আবারও বলি-প্রধান উপদেষ্টা ১৬ ডিসেম্বরের বক্তব্যে বলেছিলেন, যদি অল্প পরিমাণে সংস্কারসহ নির্বাচন করতে হয় সেখানেই যদি রাজনৈতিক মতৈক্য গিয়ে দাঁড়ায় তাহলে পরে এ বছরের শেষ নাগাদ ডিসেম্বর ২০২৫ এ ইলেকশন; আর যদি আরেকটু সংস্কার করার সুযোগ দেওয়া হয় তাহলে ২০২৬-এর জুন নাগাদ ইলেকশন করা সম্ভব।

এ নিয়ে ইসির প্রস্তুতির বিষয়ে আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, আমরা বলেছিলাম- আমাদেরকে আর্লিয়েস্ট ডেটটা ধরে নিয়ে প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। আমাদের অবস্থান এখনো অপরিবর্তিত।আমরা ডিসেম্বরকে ধরে নিয়েই আমাদের প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। আমাদের ভিন্ন প্রস্তুতি নেই, একটিই প্রস্তুতি (জাতীয় নির্বাচন)।

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন করার বিষয়ে সরকারের অনুরোধ এলে তখন বিষয়টি সম্ভব কিনা ইসি তা বিবেচনা করতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

বলেন, অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, পাঁচ স্তরের স্থানীয় নির্বাচন করতে হলে এক বছরের মতো সময় লাগে। আমাদের সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান অকার্যকর হয়নি, কিছু হয়েছে। এ কন্ডিশনাল বিষয়গুলো নিয়ে স্পেসিফিক টাইমলাইন দেওয়া সম্ভব নয়। আমরা ধারণা করি, সরকার তো আমাদের হাতের টাইমগুলো বিবেচনায় নেবেন এবং তারা যদি মনে করেন জাতীয় নির্বাচনকে কোনো একটা টাইমে ফ্রেম করে তারপর কতটুকু অনুশীলন করা যায় তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন। জাতীয় নির্বাচন ব্যহত হয় এমন কিছুর বিষয়ে কমিশনও সজাগ থাকবে।

তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন কতটুকু হবে, কোন কোন ইনস্টিটিউশনের হবে সে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। তখন আমরা বলতে পারবো। তখন বলতে পারবো এটা জাতীয় নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে, নাকি করবে না। তার আগে সম্ভব না।

এর আগে বেলা ১১টায় কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ইউএনডিপির প্রতিনিধিসহ ১৮টি উন্নয়ন সহযোগী দেশের রাষ্ট্রদূতরা।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

ডিসেম্বর ধরেই জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন: ইসি সানাউল্লাহ

আপডেট সময় : ০২:২৪:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

প্রতিদিনের নিউজ :

নির্বাচন কমিশন (ইসি) ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের ভোট ধরেই সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে কোনোভাবেই স্থানীয় সরকারের ভোট করা সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে কমিশন। তবে সরকার চাইলে বাধ্য হয়েই জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকারের ভোট করবে সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটি। কমিশন বলছে, এখনো পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে কোনো চ্যালেঞ্জ দেখছে না তারা।

মঙ্গলবার ইউএনডিপিসহ উন্নয়ন সহযোগী ১৮টি দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠক করে এএমএম নাসির উদ্দিন কমিশন। নির্বাচন ভবনে সকালে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজুল মো. সানাউল্লাহ ইসির অবস্থান তুলে ধরেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, আবারও বলি-প্রধান উপদেষ্টা ১৬ ডিসেম্বরের বক্তব্যে বলেছিলেন, যদি অল্প পরিমাণে সংস্কারসহ নির্বাচন করতে হয় সেখানেই যদি রাজনৈতিক মতৈক্য গিয়ে দাঁড়ায় তাহলে পরে এ বছরের শেষ নাগাদ ডিসেম্বর ২০২৫ এ ইলেকশন; আর যদি আরেকটু সংস্কার করার সুযোগ দেওয়া হয় তাহলে ২০২৬-এর জুন নাগাদ ইলেকশন করা সম্ভব।

এ নিয়ে ইসির প্রস্তুতির বিষয়ে আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, আমরা বলেছিলাম- আমাদেরকে আর্লিয়েস্ট ডেটটা ধরে নিয়ে প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। আমাদের অবস্থান এখনো অপরিবর্তিত।আমরা ডিসেম্বরকে ধরে নিয়েই আমাদের প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। আমাদের ভিন্ন প্রস্তুতি নেই, একটিই প্রস্তুতি (জাতীয় নির্বাচন)।

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন করার বিষয়ে সরকারের অনুরোধ এলে তখন বিষয়টি সম্ভব কিনা ইসি তা বিবেচনা করতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

বলেন, অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, পাঁচ স্তরের স্থানীয় নির্বাচন করতে হলে এক বছরের মতো সময় লাগে। আমাদের সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান অকার্যকর হয়নি, কিছু হয়েছে। এ কন্ডিশনাল বিষয়গুলো নিয়ে স্পেসিফিক টাইমলাইন দেওয়া সম্ভব নয়। আমরা ধারণা করি, সরকার তো আমাদের হাতের টাইমগুলো বিবেচনায় নেবেন এবং তারা যদি মনে করেন জাতীয় নির্বাচনকে কোনো একটা টাইমে ফ্রেম করে তারপর কতটুকু অনুশীলন করা যায় তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন। জাতীয় নির্বাচন ব্যহত হয় এমন কিছুর বিষয়ে কমিশনও সজাগ থাকবে।

তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন কতটুকু হবে, কোন কোন ইনস্টিটিউশনের হবে সে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। তখন আমরা বলতে পারবো। তখন বলতে পারবো এটা জাতীয় নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে, নাকি করবে না। তার আগে সম্ভব না।

এর আগে বেলা ১১টায় কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ইউএনডিপির প্রতিনিধিসহ ১৮টি উন্নয়ন সহযোগী দেশের রাষ্ট্রদূতরা।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন