প্রতিদিনের নিউজ :
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহবায়ক মামুন হোসাইনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় যুবলীগ নেতা আক্তার ও সুমনসহ ১৩জনের নাম উল্লেখ করে মামলার দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নিহত মামুনের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা মডেল থানার ইন্সপেক্টর (অফিসার ইনচার্জ) শরিফুল ইসলাম।
মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ৭ ফেব্রুয়ারী ভোরে সন্ত্রাসী আকতারের নির্দেশে সুমন সহ প্রায় ২০/২০ জন লোক মামুনকে তার দোকান থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তারা বলেন আকতার ভাই আপনাকে যেতে বলছে। তখন মামুনকে রেললাইন বটতলা এলাকার সামনে যাওয়া মাত্র গুলি করতে থাকে। তার পর মামুন বলে ভাই তোরে আমাকে মারিস না। আমার জীবন ভিক্ষা দেয়। আমি তো কারো ক্ষতি করি নাই, তাহলে কেন তোরা আমাকে মারসিস। তার পরও সন্ত্রাসীরা মামুনকে এলোপাতাড়ি গুলি করে। পরে মামুন মাটিতে লুটে পড়ে যায়। মামুনের চিৎকারে ছুটে আসে স্ত্রী সহ আরো লোকজন। মামুনের স্ত্রী এসে দেখতে পায় মামুন মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে এবং সন্ত্রাসীরা দৌড়ে আকতার সুমনের বাড়িতে ঢুকে যায়। পরে মামুনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
নিহতের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তারের দাবী আক্তার ও সুমনের পরিকল্পনায় এবং নির্দেশে তাদের বাহিনীর কিলাররা মামুনকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে ডান চোঁখে গুলি করে হত্যা করেছে। হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ইয়াসমিন নিজেই কিছুটা দুর থেকে দেখেছেন। গুলির পর স্বামীর চিৎকার শুনে কাছে এসে সুমনকে দলবল নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে দেখেছেন।
ফতুল্লা মডেল থানার ইন্সপেক্টর (অফিসার ইনচার্জ) শরিফুল ইসলাম বলেন, আকতারকে প্রধান আসামী করে নিহত মামুনের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১ জনকে আটক করেছি। এই মুহুর্তে তদন্তের জন্য আটককৃতর নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না। তবে খুনিরা যত বড় প্রভাবশালী হউক তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
এসকে মাল্টিমিডিয়া থেকে প্রকাশিত "প্রতিদিনের নিউজ ডটকম" হেড অফিস: ৫৩/এ নয়া পল্টন এক্সটেনশন রোড ঢাকা-১২০০। মোবাইল ০১৯৩০ ১৭২ ৫২০, ০১৩১৪ ১৬৮ ৬৪৪ । আঞ্চলিক অফিস: হাজী রজ্জব আলী সুপার মার্কেট (নিচ তলা) চিটাগাংরোড, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ। Email:protidinernews24@gmail
সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না