১১:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

মোংলা বন্দরকে আঞ্চলিক বাণিজ্যকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে: নৌপরিবহন উপদেষ্টা

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৯:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৮

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

প্রতিদিনের নিউজ:

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মোংলা বন্দরকে আন্তঃদেশীয় যোগাযোগ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব।) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। মঙ্গলবার,২৮ জানুয়ারি সচিবালয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি পোর্টস গ্রুপের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা জানান।

নৌপরিবহন উপদেষ্টা আবুধাবি পোর্ট গ্রুপকে মোংলা বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেন, মোংলা বন্দর দেশের একটি সম্ভাবনাময় বন্দর। এটি দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। এছাড়াও ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনায় এ সমুদ্রবন্দরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজধানী ঢাকা থেকে বন্দরটির সড়কপথে দূরত্ব মাত্র ২১০ কিলোমিটার।

তিনি বলেন, নৌ, সড়ক ও রেলপথের অবকাঠামো তৈরি থাকায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সহজে এখন পণ্য পরিবহন করা সম্ভব হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রতিবেশী দেশ নেপাল, ভারত ও ভুটানের জন্যও এই বন্দরের ব্যবহার দারুণ সম্ভাবনাময় হয়ে উঠেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আবুধাবি পোর্ট গ্রুপসহ দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মোংলা বন্দরে বিনিয়োগের চমৎকার সুযোগ রয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি পোর্টসের (এডি পোর্টস) প্রতিনিধিদল নৌপরিবহন উপদেষ্টার প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, আবুধাবি গ্রুপ চট্টগ্রাম, মোংলা বন্দরসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। চট্টগ্রাম বন্দরে বিশ্বমানের সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার বে-টার্মিনাল নির্মাণের যে প্রকল্প হাতে নিয়েছে, সে প্রকল্পেও সংযুক্ত আরব আমিরাত সম্পৃক্ত থাকতে চায়।

বে-টার্মিনাল প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম বন্দরের জট কমে আসবে পাশাপাশি আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে। ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে এবং বাংলাদেশে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও আবুধাবি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নৌবন্দর এবং নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনালের আধুনিকায়ন এবং উন্নয়নের বিনিয়োগে আগ্রহী বলে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।

এডি পোর্টস গ্রুপের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশের নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলি আল হামুদি। বৈঠকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

মোংলা বন্দরকে আঞ্চলিক বাণিজ্যকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে: নৌপরিবহন উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ০৯:৩৯:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

প্রতিদিনের নিউজ:

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মোংলা বন্দরকে আন্তঃদেশীয় যোগাযোগ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব।) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। মঙ্গলবার,২৮ জানুয়ারি সচিবালয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি পোর্টস গ্রুপের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা জানান।

নৌপরিবহন উপদেষ্টা আবুধাবি পোর্ট গ্রুপকে মোংলা বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেন, মোংলা বন্দর দেশের একটি সম্ভাবনাময় বন্দর। এটি দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। এছাড়াও ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনায় এ সমুদ্রবন্দরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজধানী ঢাকা থেকে বন্দরটির সড়কপথে দূরত্ব মাত্র ২১০ কিলোমিটার।

তিনি বলেন, নৌ, সড়ক ও রেলপথের অবকাঠামো তৈরি থাকায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সহজে এখন পণ্য পরিবহন করা সম্ভব হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রতিবেশী দেশ নেপাল, ভারত ও ভুটানের জন্যও এই বন্দরের ব্যবহার দারুণ সম্ভাবনাময় হয়ে উঠেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আবুধাবি পোর্ট গ্রুপসহ দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মোংলা বন্দরে বিনিয়োগের চমৎকার সুযোগ রয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি পোর্টসের (এডি পোর্টস) প্রতিনিধিদল নৌপরিবহন উপদেষ্টার প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, আবুধাবি গ্রুপ চট্টগ্রাম, মোংলা বন্দরসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। চট্টগ্রাম বন্দরে বিশ্বমানের সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার বে-টার্মিনাল নির্মাণের যে প্রকল্প হাতে নিয়েছে, সে প্রকল্পেও সংযুক্ত আরব আমিরাত সম্পৃক্ত থাকতে চায়।

বে-টার্মিনাল প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম বন্দরের জট কমে আসবে পাশাপাশি আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে। ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে এবং বাংলাদেশে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও আবুধাবি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নৌবন্দর এবং নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনালের আধুনিকায়ন এবং উন্নয়নের বিনিয়োগে আগ্রহী বলে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।

এডি পোর্টস গ্রুপের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশের নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলি আল হামুদি। বৈঠকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন