কচুয়ায় কৃষিকাজে ব্যবহৃত পানি সেচের গভীর নলকূপ জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০৫:১৩:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
- / ২৯
নিজস্ব প্রতিনিধি:
কচুয়া উপজেলার শ্রীরামপুর দক্ষিণ মাঠের কৃষিকাজে ব্যবহৃত পানি সেচের গভীর নলকূপটি জোর পূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় গত সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী (ক্ষুদ্রসেচ) কচুয়া ইউনিট বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন ওই মাঠের স্ক্রীম ম্যানেজার আব্দুল বাতেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল বাতেন স্কীম ম্যানেজার হিসাবে ২০১১ সাল থেকে নলকূপটি পরিচালনা করে আসছিল। ২০২২ সালে জমির পাশে ড্রেন তৈরির পরবর্তে আধুনিক পদ্ধতিতে মাটির নিচ দিয়ে ১কিলোমিটার মাঠ জুড়ে পাইপ স্থাপন করে সেচ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। বিগত ২০২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর শ্রীরামপুর গ্রামের বাহার মিয়ার ছেলে জাবেদ ইকবাল আমার বিরুদ্ধে উপজেলা বিএডিসি অফিসে একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। যাহার কোন তদন্ত পূর্বক কোন কার্যক্রম প্রদক্ষেপ না নিয়ে বিবাদী জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে আমার পরিচালিত স্ক্রীমের ড্রেনগুলো নির্মাণ করে জোরপূর্বক আমার কাছ থেকে সেচ মেশিনের রুমের চাবি নিয়ে সেচ মেশিনটি চালু করে দিয়েছে।
স্কীম ম্যানেজার আব্দুল বাতেন জানান, গত ২০২৪ সালে ইরি বোরো মৌসুমে সেচ কার্য পরিচালনার জন্য নলকূপের পানি সঞ্চালন করতে গেলে গভীর নলকূপটির মাটির নিচের ৩৫টি পাইপ ফেঁটে সেচ কার্য বন্ধ হয়ে যায়। বিএডিসি গোডাউনে মজুদ কোন পাইপ না থাকায় কৃষকের কথা চিন্তা করে তুবা পাইপ কোম্পানীর সাথে যোগাযোগ করে পাটকেলঘাট, সাতক্ষীরা থেকে নিজ খরচে ২০ হাজার টাকা জমা দিয়ে ৩৫টি পাইপ এনে পুনঃস্থাপন করে সেচ কার্য পরিচালনা করি। এতে নলকূপটি পুনঃস্থাপনে প্রায় ১ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা ও ৩টি সেপ সহ উক্ত সেচ প্রকল্প চালু করতে আমার প্রায় ২ লক্ষ টাকা অতিরিক্ত খরচ হয়। এ বিষয়ে উপসহকারি প্রকৌশলী বিএডিসি কচুয়া ও চাঁদপুর অফিসকে অবগত করি।
তিনি আরো জানান, আমি বিএডিসি অফিস থেকে গভীর নলকূপটি স্থাপন করে শ্রীরামপুর মাঠে কৃষকদের মাধ্যমে কৃষি কাজে ব্যবহারের জন্য পানি সেচের ব্যবস্থা করে আসছি। কী কারনে জাবেদ মিয়া গং আমার পরিচালিত গভীর নলকূপটি জোরপূবর্ক দখল করেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচারের সহয়তা কামনা করছি।
এব্যাপরে অভিযুক্ত জাবেদ ইকবাল জানান,সমিতির সসদ্যরা নলকূপটি পরিচালনরা জন্য আমাকে লিখিত ভাবে দিয়েছে। আমি কারো নিয়ন্ত্রণে থাকা গভীর নলকূপটি জোরপূর্বক দখল করেনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা মোহাম্মদ হেলাল চৌধুরী বলেন, শ্রীরামপুর গ্রামের জনৈক আব্দুল বাতেন কর্তৃক একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।