সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :
কাঁচপুর সেতু এলাকায় সিদ্ধিরগঞ্জে অধিগ্রহণকৃত শতকোটি টাকা মূল্যের ৩১৩ শতাংশ সরকারি জমি দখল রুখে দিলেন নারায়ণগঞ্জ সওজ কর্তৃপক্ষ। কাঁচপুর সেতু সংলগ্ন সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মৌজা এলাকায় গত বুধবার (১৫ ডিসেস্বর) সকালে সাব্বির ভূঁইয়া নামে স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তি জমির মালিকানা দাবি করে সওজের জমিতে একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে আইল তৈরির কাজ শুরু করেন। খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলস্থ নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগী প্রকৌশলী আহসান উল্লাহ মজুমদার লোকজন পাঠিয়ে ওই ব্যক্তির চলমান কাজ বন্ধ করে দেন।নারায়ণগঞ্জ সওজ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মৌজায় ৭০৫, ৭১৩ ও ৭১৫ নং দাগে ৩৫৯ শতাংশ জমির মধ্যে ৩১৩ শতাংশ জমি কাঁচপুর সেতুর জন্য অধিগ্রহনকৃত। নারায়ণগঞ্জের ডিএম রোড উকিলপাড়া এলাকার মৃত আশরাফ উদ্দিন ভুঁইয়ার ছেলে মো. সাব্বির ভূঁইয়া জমির মালিকানা দাবি করে সাইনবোর্ড লাগিয়ে ভেকু দিয়ে মাটি কাটার কাজ শুরু করেন। অধিগ্রহণ করা জমিটি কাঁচপুর সেতু সংলগ্ন। জমিটি কেপিআইভুক্ত এলাকায় হওয়ায় কেউ যাতে ওই জমি অবৈধ দখল করতে না পারে সে জন্য সেখানে সওজের নিরাপত্তা রক্ষায় আনসার সদস্যরা রয়েছেন বলে জানাগেছে।
জানতে চাইলে সাব্বির ভূঁইয়া বলেন, আমাদের তিনটি দাগে ৩৫৯ শতাংশ জমির মধ্যে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ৩১৩ শতাংশ অধিগ্রহন করা হয়েছে বলে শুনেছি অবশিষ্ট ৪৬ শতাংশ জমি আমাদের রয়ে গেছে। তাই মাটি কাটার কাজ করতে গিয়েছি। সেখানে দায়ীত্বরত আনসার সদস্যরা প্রথমে আমাদের মাটি কাটা কাজে বাঁধা দেন। পরে আমরা সড়ক ও জনপথ বিভাগ নারায়ণগঞ্জ দপ্তরে গিয়ে উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ আহসান উল্ল্যাহ মজুমদারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তাদের অধিগ্রহনকৃত জমির কথা জানান। তারা তাদের লোকজন দিয়ে আমাদের কাটা মাটি ও আইল সরিয়ে দেন। এ জমি নিয়ে উচ্চ আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে। মামলা চলমান থাকা অবস্থায় কি করে জমির দখল নিতে গেলেন, এমন প্রশ্নের জাবাবে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। তবে জমির মালিকানা দাবিকারী সাব্বির ভূঁইয়া বলেন, এই জমি নিয়ে গত ২০০৯ সালে আদালতের একটি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এং উচ্চ আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগী প্রকৌশলী আহসান উল্ল্যাহ মজুমদার বলেন, আদালতের বাইরে আমাদের যাওয়ার কোন সুযোগ নেই নিষেধাজ্ঞার কোন কাগজ আমরা পাইনি এবং সাব্বির ভূঁইয়া দেখাতেও পারেননি এবং আদালতে চলমান মামলা থাকা অবস্থায় কোনভাবেই তিনি জমি দখল করতে পারেননা, আমাদের অধিগ্রহনকৃত জমি একমাত্র আমাদের দখলে রয়েছে । ওই কর্মকর্তা বলেন সাব্বির ভূঁইয়ার জমি আমাদের দখলে নেই বলে তিনি দাবি করেন বলেন আমাদের অধিগ্রহনকৃত জমি কারো দখল করার সুযোগ নেই এবং দখল করতেও দেবনা। তিনি আরও বলেন, সাব্বির ভূঁইয়ার জমির যদি থেকে থাকে তা আমাদের জমির মধ্যে নেই আমাদের অধিগ্রহকৃত জমির সীমানার মধ্যেই আমরা দখলে আছি। ওই কর্মকর্তা আরও বলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ওই জমিতে থাকা এনডিআই কোম্পানির অফিস কক্ষ দুস্কৃতকারীরা আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়। লুট করে নেয় সব মালপত্র । তবে এনডিআই কার্যালয়ে আগুন ও লুটপাটের বিষয়ে সাব্বির ভূঁইয় বলেন, আগুন ও লুটপাটের বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। আমি ওই সময়ে দেশের বাইরে ছিলাম আগস্টের ২০ তারিখ আমি দেশে এসেছি। সওজের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, সাব্বির ভূঁইয়া যদি আদালতের নিষেধাজ্ঞার কাগজ দেখাতে পারেন সে ক্ষেত্রে আমরা আদালতের আদেশে সম্মান অবশ্যই দেখাবো। তিনি আরও বলেন আমরা বাধাঁ দেওয়ার পর সাব্বির ভূ ঁইয়া আর জমিতে আসেননি জমি আমাদের দখলেই রয়েছে তবে তার সাঁটানো সাইনবোর্ডটি এখনো রয়েছে জমিতে সাঁটানো রয়েছে।
এসকে মাল্টিমিডিয়া থেকে প্রকাশিত "প্রতিদিনের নিউজ ডটকম" হেড অফিস: ৫৩/এ নয়া পল্টন এক্সটেনশন রোড ঢাকা-১২০০। মোবাইল ০১৯৩০ ১৭২ ৫২০, ০১৩১৪ ১৬৮ ৬৪৪ । আঞ্চলিক অফিস: হাজী রজ্জব আলী সুপার মার্কেট (নিচ তলা) চিটাগাংরোড, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ। Email:protidinernews24@gmail
সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না