১০:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

ঝিকরগাছায় শিক্ষকের দ্বারা শিশু শিক্ষার্থীকে মারপিট; একাধিক দপ্তরে মায়ের অভিযোগ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৯:৩২:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৮

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আফজাল হোসেন চাঁদ, ঝিকরগাছা :

সারাদেশে ছাত্র আন্দোলনের পর অর্জিত সেই দেশে সরকারি আইনকে তুচ্ছ করে শিক্ষকের দ্বারা শিশু শিক্ষার্থীকে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার নির্বাসখোলা ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রুহুল আমিনের উপর। তিনি তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন (৯) কে মারপিট করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষার্থীর মাতা মোছাঃ বিউটি খাতুন। অভিযোগকারী হলেন নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মোঃ ঈমান আলীর স্ত্রী। এছাড়াও অভিযোগকারী এ ঘটনায় সোমবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক/সভাপতি, মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারী) বিকালে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট প্রতিকার চেয়ে লিখিত আবেদন দাখিল করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ জানুয়ারী বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে নিশ্চিন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রুহুল আমিন কর্তৃক তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশু শিক্ষার্থী ইমরান হোসেনকে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে শিক্ষার্থীর ঠোটের উপর কেটে গিয়ে রক্তক্ষরণ এবং মাথায় ফোলা জখম হয়েছে। এছাড়াও অভিযোগকারী তার লিখিত অভিযোগে আরো উল্লেখ করেছেন, এর আগে এই শিক্ষকের কারণে তার বড় কন্যা মোছাঃ সুমাইয়া খাতুনকে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় স্কুল ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিক শিক্ষার্থী নির্যাতনের অভিযোগ আছে। সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে একের পর এক শিক্ষার্থী নির্যাতন করছেন। সে স্কুল পরিচালনা পরিষদের নিষেধের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুল প্রদর্শন করে শিক্ষার্থী নির্যাতনে অব্যাহত রয়েছেন বলে ঘটনার বিষয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন অভিযোগকারী মোছাঃ বিউটি খাতুন।

সহকারী শিক্ষক রুহুল আমিন বলেন, আমি তাকে বই দিয়ে একটু মেরে ছিলাম। এতে সামান্য আঘাত লেগেছে। আমার প্রধান শিক্ষকের নিকট অভিযোগ হয়েছে। তিনি ঘটনার বিষয়ে সমাধান করে দিবেন বলে জানিয়েছেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ হয়েছে সেটা আমার জানা নেই।

প্রধান শিক্ষক জুলফিকার আলী বলেন, আমার নিকট একটা অভিযোগ পেয়েছি। আমার কলিকেট বিষয়ে আমি কোন বক্তব্য দিবো না।

সভাপতি ও উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সঞ্জয় ঘোষাল বলেন, ঘটনার বিষয়টি শুনেছি। আমার উদ্ধতন কর্মকর্তা বাহিরে আছেন। তিনি আসলে তার সাথে আলাপ পরামর্শে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সেহেলী ফেরদৌস বলেন, আমি অফিসের তদন্তে বাহিরে এসেছি। অফিসে গিয়ে অভিযোগের বিষয়টি দেখবো।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভুপালী সরকার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

ঝিকরগাছায় শিক্ষকের দ্বারা শিশু শিক্ষার্থীকে মারপিট; একাধিক দপ্তরে মায়ের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৯:৩২:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আফজাল হোসেন চাঁদ, ঝিকরগাছা :

সারাদেশে ছাত্র আন্দোলনের পর অর্জিত সেই দেশে সরকারি আইনকে তুচ্ছ করে শিক্ষকের দ্বারা শিশু শিক্ষার্থীকে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার নির্বাসখোলা ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রুহুল আমিনের উপর। তিনি তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন (৯) কে মারপিট করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষার্থীর মাতা মোছাঃ বিউটি খাতুন। অভিযোগকারী হলেন নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মোঃ ঈমান আলীর স্ত্রী। এছাড়াও অভিযোগকারী এ ঘটনায় সোমবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক/সভাপতি, মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারী) বিকালে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট প্রতিকার চেয়ে লিখিত আবেদন দাখিল করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ জানুয়ারী বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে নিশ্চিন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রুহুল আমিন কর্তৃক তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশু শিক্ষার্থী ইমরান হোসেনকে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে শিক্ষার্থীর ঠোটের উপর কেটে গিয়ে রক্তক্ষরণ এবং মাথায় ফোলা জখম হয়েছে। এছাড়াও অভিযোগকারী তার লিখিত অভিযোগে আরো উল্লেখ করেছেন, এর আগে এই শিক্ষকের কারণে তার বড় কন্যা মোছাঃ সুমাইয়া খাতুনকে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় স্কুল ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিক শিক্ষার্থী নির্যাতনের অভিযোগ আছে। সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে একের পর এক শিক্ষার্থী নির্যাতন করছেন। সে স্কুল পরিচালনা পরিষদের নিষেধের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুল প্রদর্শন করে শিক্ষার্থী নির্যাতনে অব্যাহত রয়েছেন বলে ঘটনার বিষয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন অভিযোগকারী মোছাঃ বিউটি খাতুন।

সহকারী শিক্ষক রুহুল আমিন বলেন, আমি তাকে বই দিয়ে একটু মেরে ছিলাম। এতে সামান্য আঘাত লেগেছে। আমার প্রধান শিক্ষকের নিকট অভিযোগ হয়েছে। তিনি ঘটনার বিষয়ে সমাধান করে দিবেন বলে জানিয়েছেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ হয়েছে সেটা আমার জানা নেই।

প্রধান শিক্ষক জুলফিকার আলী বলেন, আমার নিকট একটা অভিযোগ পেয়েছি। আমার কলিকেট বিষয়ে আমি কোন বক্তব্য দিবো না।

সভাপতি ও উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সঞ্জয় ঘোষাল বলেন, ঘটনার বিষয়টি শুনেছি। আমার উদ্ধতন কর্মকর্তা বাহিরে আছেন। তিনি আসলে তার সাথে আলাপ পরামর্শে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সেহেলী ফেরদৌস বলেন, আমি অফিসের তদন্তে বাহিরে এসেছি। অফিসে গিয়ে অভিযোগের বিষয়টি দেখবো।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভুপালী সরকার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন