১০:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

রূপগঞ্জে গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে ‘সাসটেইনেবল টেকনোলজিস ফর ইন্ডাস্ট্রি ৫.০’ শীর্ষক ৬ষ্ঠ আন্তর্জাতিক সম্মেলন ১৪-১৫ ডিসেম্বর

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৬:১৮:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৪৪

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মো. নুর আলম:

গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে শুরু হচ্ছে ‘সাসটেইনেবল টেকনোলজিস ফর ইন্ডাস্ট্রি (এসটিআই) ৫.০’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন। বিশের মোট ২৩টি দেশের কয়েক’শ শিক্ষক, গবেষক ও প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে আয়োজিত এই সম্মেলন আগামী ১৪-১৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মিডিয়া ল্যাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ, অর্গানাইজিং চেয়ার ও বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আজাদ, টেক্সটাইল বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নিতাই চন্দ্র সূত্রধর, সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ আমিনুর রহমান, এআই অ্যান্ড ডাটা সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ আবুল হাসান, অধ্যাপক ড. আহসান হাবিব তারেক প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ বছর বাংলাদেশ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানী, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, ডেনমার্ক, রাশিয়া, ইতালী, পর্তুগাল, দক্ষিণ কোরিয়া, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, জাপান, চীন, ইরান, ভারত ও মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন গবেষকরা অংশ নেবেন। সম্মেলনে উপস্থাপনের জন্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৩৫২টি গবেষণা প্রবন্ধ জমা পড়েছে; যা থেকে ১০২টি প্রবন্ধ নির্বাচিত হয়েছে। প্রবন্ধ গ্রহণের হার ২৯ শতাংশ। আয়োজকদের প্রত্যাশা, এসব প্রবন্ধ ভবিষ্যতে জাতীয় জনগুরুত্বপূর্ণ নানা ধরনের কাজে সহায়তা করবে।

সংবাদ সম্মেলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন বলেন, অর্থনীতি, সমাজ ও জীবনযাত্রা- বাংলাদেশ সবক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামীতে এই এগিয়ে যাওয়ার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে টেকসই উন্নয়ন জরুরি। তিনি বলেন, গবেষণার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আগের চেয়ে অনেক বেশি সমৃদ্ধ। চীনসহ বেশ কিছু ইতোমধ্যেই গার্মেন্টস শিল্পসহ অনেক কিছুকে অটোমেশন পদ্ধতিতে নিয়ে এসেছে। বাংলাদেশও দ্রুত সেই পথে চলে যাবে।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ বলেন, গবেষণা খাতকে শক্তিশালী করতে প্রতিবছর প্রায় অর্ধ-কোটি টাকা ব্যয় করে থাকে গ্রিন ইউনিভার্সিটি। আন্তর্জাতিক সম্মেলনের মাধ্যমেও সেটি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, শুধু ব্যক্তিজীবনের জন্য নয়, টেকনোলজির টেকসই উন্নয়নই এসটিআই সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য।

অর্গানাইজিং চেয়ার ও বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আজাদ এসটিআই সম্মেলনের নানা দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ৫.০ ইস্যুতে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম সম্মেলন হলো গ্রিন ইউনিভার্সিটির এসটিআই; যেখানে বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের নানা ইস্যুর সমস্যা তুলে ধরে প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে।

আয়োজক কমিটি জানান, সম্মেলনে মূলত চারটি পৃথক ট্র্যাক প্রাধান্য পাবে। এর মধ্যে রয়েছে- ইন্টেলিজেন্ট কম্পিউটিং, নেটওয়ার্কিং অ্যান্ড সিকিউরিটি সিস্টেমস; এনার্জি, রোবটিক্স, ইলেক্ট্রনিক্স, সেন্সরস অ্যান্ড কমিউনিকেশন; ইন্ড্রাস্টি ৫.০ ডিজাইন অ্যান্ড এপ্লিকেশন এবং টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং। সম্মেলনে উপস্থাপিত মোট ৩টি প্রবন্ধ ও পোস্টার পেপার প্রেজেন্টেশন ‘বেস্ট পেপার’ হিসেবে নির্বাচিত হবে। পরে বাছাইকৃত সব প্রবন্ধ আইইইই এক্সপ্লোর ডিজিটাল লাইব্রেরিতে স্থান পাবে। সংবাদ সম্মেলনে প্রেজেন্টেশনে ড. মুহাম্মদ আবুল হাসান সম্মেলনের জমা পড়া প্রবন্ধ ও এর ধরনসহ নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন।

বক্তারা বলেন, টেকসই না হলে শুধু প্রযুক্তিগত নয়, কোনো উন্নয়নই মানবজাতির কাজে আসবে না। এসটিআই সম্মেলনের মাধ্যমে এই বিষয়টিই তুলে ধরা হবে; যার চূড়ান্ত লক্ষ্য- গবেষক ও অনুশীলনকারীদের মধ্যে নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সুষম ও টেকসই উন্নয়ন।

তারা আরও বলেন, জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনের অনেক সূচকে বাংলাদেশ ভালো করছে। তারপরও প্রশ্ন থেকে যায়, পরিবর্তিত প্রযুক্তি সমাজে সব সময় ইতিবাচক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে কি না? এটি জনগণের জীবন

উন্নতভাবে গড়ে তুলছে না ধ্বংস করছে, সেটিই বিবেচ্য। ইতিবাচক উন্নয়নগুলোকে কীভাবে দিগুন, তিনগুন কিংবা বহুগুণে বাড়ানো যায়, সম্মেলনে সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এর বাইরেও সম্মেলনে প্যানেল ডিসকাশন, ১০ টি এমওআই সাক্ষর, গবেষণাপত্র উপস্থাপন, নতুন আইডিয়া তৈরি, সাসটেইনেবল টেকলোজির চ্যালেঞ্জ গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নের উপায় সংক্রান্ত নানা দিক নিয়ে আলোচনা হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

রূপগঞ্জে গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে ‘সাসটেইনেবল টেকনোলজিস ফর ইন্ডাস্ট্রি ৫.০’ শীর্ষক ৬ষ্ঠ আন্তর্জাতিক সম্মেলন ১৪-১৫ ডিসেম্বর

আপডেট সময় : ০৬:১৮:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মো. নুর আলম:

গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে শুরু হচ্ছে ‘সাসটেইনেবল টেকনোলজিস ফর ইন্ডাস্ট্রি (এসটিআই) ৫.০’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন। বিশের মোট ২৩টি দেশের কয়েক’শ শিক্ষক, গবেষক ও প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে আয়োজিত এই সম্মেলন আগামী ১৪-১৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মিডিয়া ল্যাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ, অর্গানাইজিং চেয়ার ও বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আজাদ, টেক্সটাইল বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নিতাই চন্দ্র সূত্রধর, সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ আমিনুর রহমান, এআই অ্যান্ড ডাটা সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ আবুল হাসান, অধ্যাপক ড. আহসান হাবিব তারেক প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ বছর বাংলাদেশ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানী, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, ডেনমার্ক, রাশিয়া, ইতালী, পর্তুগাল, দক্ষিণ কোরিয়া, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, জাপান, চীন, ইরান, ভারত ও মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন গবেষকরা অংশ নেবেন। সম্মেলনে উপস্থাপনের জন্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৩৫২টি গবেষণা প্রবন্ধ জমা পড়েছে; যা থেকে ১০২টি প্রবন্ধ নির্বাচিত হয়েছে। প্রবন্ধ গ্রহণের হার ২৯ শতাংশ। আয়োজকদের প্রত্যাশা, এসব প্রবন্ধ ভবিষ্যতে জাতীয় জনগুরুত্বপূর্ণ নানা ধরনের কাজে সহায়তা করবে।

সংবাদ সম্মেলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন বলেন, অর্থনীতি, সমাজ ও জীবনযাত্রা- বাংলাদেশ সবক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামীতে এই এগিয়ে যাওয়ার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে টেকসই উন্নয়ন জরুরি। তিনি বলেন, গবেষণার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আগের চেয়ে অনেক বেশি সমৃদ্ধ। চীনসহ বেশ কিছু ইতোমধ্যেই গার্মেন্টস শিল্পসহ অনেক কিছুকে অটোমেশন পদ্ধতিতে নিয়ে এসেছে। বাংলাদেশও দ্রুত সেই পথে চলে যাবে।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ বলেন, গবেষণা খাতকে শক্তিশালী করতে প্রতিবছর প্রায় অর্ধ-কোটি টাকা ব্যয় করে থাকে গ্রিন ইউনিভার্সিটি। আন্তর্জাতিক সম্মেলনের মাধ্যমেও সেটি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, শুধু ব্যক্তিজীবনের জন্য নয়, টেকনোলজির টেকসই উন্নয়নই এসটিআই সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য।

অর্গানাইজিং চেয়ার ও বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আজাদ এসটিআই সম্মেলনের নানা দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ৫.০ ইস্যুতে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম সম্মেলন হলো গ্রিন ইউনিভার্সিটির এসটিআই; যেখানে বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের নানা ইস্যুর সমস্যা তুলে ধরে প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে।

আয়োজক কমিটি জানান, সম্মেলনে মূলত চারটি পৃথক ট্র্যাক প্রাধান্য পাবে। এর মধ্যে রয়েছে- ইন্টেলিজেন্ট কম্পিউটিং, নেটওয়ার্কিং অ্যান্ড সিকিউরিটি সিস্টেমস; এনার্জি, রোবটিক্স, ইলেক্ট্রনিক্স, সেন্সরস অ্যান্ড কমিউনিকেশন; ইন্ড্রাস্টি ৫.০ ডিজাইন অ্যান্ড এপ্লিকেশন এবং টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং। সম্মেলনে উপস্থাপিত মোট ৩টি প্রবন্ধ ও পোস্টার পেপার প্রেজেন্টেশন ‘বেস্ট পেপার’ হিসেবে নির্বাচিত হবে। পরে বাছাইকৃত সব প্রবন্ধ আইইইই এক্সপ্লোর ডিজিটাল লাইব্রেরিতে স্থান পাবে। সংবাদ সম্মেলনে প্রেজেন্টেশনে ড. মুহাম্মদ আবুল হাসান সম্মেলনের জমা পড়া প্রবন্ধ ও এর ধরনসহ নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন।

বক্তারা বলেন, টেকসই না হলে শুধু প্রযুক্তিগত নয়, কোনো উন্নয়নই মানবজাতির কাজে আসবে না। এসটিআই সম্মেলনের মাধ্যমে এই বিষয়টিই তুলে ধরা হবে; যার চূড়ান্ত লক্ষ্য- গবেষক ও অনুশীলনকারীদের মধ্যে নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সুষম ও টেকসই উন্নয়ন।

তারা আরও বলেন, জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনের অনেক সূচকে বাংলাদেশ ভালো করছে। তারপরও প্রশ্ন থেকে যায়, পরিবর্তিত প্রযুক্তি সমাজে সব সময় ইতিবাচক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে কি না? এটি জনগণের জীবন

উন্নতভাবে গড়ে তুলছে না ধ্বংস করছে, সেটিই বিবেচ্য। ইতিবাচক উন্নয়নগুলোকে কীভাবে দিগুন, তিনগুন কিংবা বহুগুণে বাড়ানো যায়, সম্মেলনে সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এর বাইরেও সম্মেলনে প্যানেল ডিসকাশন, ১০ টি এমওআই সাক্ষর, গবেষণাপত্র উপস্থাপন, নতুন আইডিয়া তৈরি, সাসটেইনেবল টেকলোজির চ্যালেঞ্জ গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নের উপায় সংক্রান্ত নানা দিক নিয়ে আলোচনা হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন