গণঅভ্যুত্থানের পর একটি জাপানি কোম্পানিও বাংলাদেশ ছেড়ে যায়নি: রাষ্ট্রদূত
- আপডেট সময় : ০৫:৪১:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ৩১
প্রতিদিনের নিউজ:
বাংলাদেশের সংস্কার কার্যক্রমকে জাপান সমর্থন করে যাবে এবং দেশটির বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহযোগিতা করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরি। তিনি বলেন, জুলাই-আগস্ট মাসে গণআন্দোলনের পরও একটি জাপানি কোম্পানিও বাংলাদেশ ছেড়ে যায়নি। তারা এখানে থাকার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানান তিনি।
বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড.মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাতে এলে রাষ্ট্রদূত এ মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রদূত কিমিনরি অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, তার সরকার শান্তি ও স্থিতিশীলতা,অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং মানুষে-মানুষে সম্পর্ক গড়ে তোলার তিনটি স্তম্ভে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করবে।
আমরা এই তিনটি স্তম্ভে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবো, বলে উল্লেখ করেন কিমিনরি। তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্ন্তী সরকারের নির্বাচনসহ অন্যান্য সংস্কার উদ্যোগে টোকিওর জোরালো সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
অধ্যাপক ইউনূস বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যকার সম্পর্কের প্রশংসা করেন। আমাদের সম্পর্ক সব সময় খুবই দৃঢ় ছিল, বলেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি আরও বলেন, তার সরকার গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করছে যাতে বাংলাদেশে আরও বেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করা যায়। বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি আমাদের জন্য ইতিবাচক বার্তা বহন করে, তিনি উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত নিক্কেই-এর একটি বার্ষিক সম্মেলনে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানান, যেখানে জাপানের প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, সম্মেলনে উপস্থিত শীর্ষ জাপানি কোম্পানির প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানানো সম্ভব হবে।
রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গা ইস্যুতে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের জন্য প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং বলেন, টোকিও এই উদ্যোগকে দৃঢ় ভাবে সমর্থন করে। প্রধান উপদেষ্টা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে একটি জাতিসংঘ-নিরাপত্তা অঞ্চলের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন, যেখানে বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠী সাময়িকভাবে স্থানান্তরিত হতে পারে এবং সংঘাত শেষ হওয়ার পর তাদের নিজ বাড়িতে ফিরে যেতে পারে। সভায় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক এবং সরকারের সিনিয়র সচিব লামিয়া মুরশেদও উপস্থিত ছিলেন।