১০:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ঝিকরগাছা পৌরসভা প্রশাসক দায়িত্বে থাকলেও সর্বদা চেয়ার শূন্য

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ১১:০৪:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ২১

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আফজাল হোসেন চাঁদ, ঝিকরগাছা :

জন ভোগান্তির শীর্ষে যশোরের ঝিকরগাছা পৌরসভা কার্যালয়। গত ৫ আগস্ট এরপর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামালের বিপরীতে প্রথমে সাবেক সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে এম মামুনুর রশিদ, দ্বিতীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভুপালী সরকার ও বর্তমানে তৃতীয় বারের মতো সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাভিদ সরওয়ার প্রশাসক দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি প্রতিনিয়ত সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর দায়িত্ব পালন করলেও সপ্তাহে মাত্র দু-একদিন পৌরসভা কার্যালয়ে ঘন্টা খানিকের জন্য হাজির হন। তাবে তার স্থানে পৌর নির্বাহী কর্মকতার দায়িত্ব পালন করছেন সচিব সন্তোষ কুমার হাজরা। তিনি তার ব্যক্তিগত কাজ ও দপ্তরের মিটিংয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে পৌর সদরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষ জন ভোগান্তির স্বিকার হচ্ছে আর পৌরসভা কার্যালয়ে প্রশাসকের চেয়ার থাকলেও সর্বদা চেয়ার শূন্য থাকতে দেখা যায়। সাধারণ মানুষ জনের এই ভোগান্তির শেষ কোথায়!

বুধবার দুপুর ১২টার সময় পৌর কার্যালয়ে নাগরিক সেবা নিতে আসা পৌরসদরের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শাহাবুদ্দিন মোড়ল ও শাকিল হোসেন বলেন, আমাদের নাগরিক সনদপত্রে স্বাক্ষরের জন্য প্রায় ২ঘন্টা যাবৎ দাড়িয়ে আছি। পৌর নির্বাহী কর্মকতা নাকি সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর সাথে মিটিংয়ে আছে। পৌর নির্বাহী কর্মকতাকে কোথায় পাওয়া যাবে এটা যানতে চাওয়া হলে অফিসের লোকজন একবার বলেন ইউএনও অফিসে আছে। ইউএনও অফিসে খোজ নিয়ে দেখা যায় তিনি সেখানে নেই। পরবর্তীতে আবারও পৌরসভায় খোজ নিলে বলে মিটিংয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয়ে রয়েছেন। সহকারী কমিশনারের কার্যালয়ে স্বাক্ষরের জন্য গেলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) তার অফিসের সামনে একাধিক ব্যক্তি লাইনে থাকলেও তারা আলাপ-আলাচনায় মহাব্যস্ত সময় পার করেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর অফিস রুমে প্রবেশ করতে গেলে অফিস সহকারীরা আমাদেরকে সেবা নেওয়া থেকে বঞ্চিত করেছে।

পৌর নির্বাহী কর্মকতার দায়িত্ব পালন করছেন সচিব সন্তোষ কুমার হাজরা বলেন, আমি সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও প্রশাসক স্যারের অফিসে মিটিংয়ে ছিলাম। প্রশাসক স্যারের অফিসে আশার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ৩দিন আগে একঘন্টার জন্য এসেছিল।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌর প্রশাসক নাভিদ সরওয়ার এর অফিসিয়াল ফোন নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

ঝিকরগাছা পৌরসভা প্রশাসক দায়িত্বে থাকলেও সর্বদা চেয়ার শূন্য

আপডেট সময় : ১১:০৪:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আফজাল হোসেন চাঁদ, ঝিকরগাছা :

জন ভোগান্তির শীর্ষে যশোরের ঝিকরগাছা পৌরসভা কার্যালয়। গত ৫ আগস্ট এরপর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামালের বিপরীতে প্রথমে সাবেক সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে এম মামুনুর রশিদ, দ্বিতীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভুপালী সরকার ও বর্তমানে তৃতীয় বারের মতো সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাভিদ সরওয়ার প্রশাসক দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি প্রতিনিয়ত সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর দায়িত্ব পালন করলেও সপ্তাহে মাত্র দু-একদিন পৌরসভা কার্যালয়ে ঘন্টা খানিকের জন্য হাজির হন। তাবে তার স্থানে পৌর নির্বাহী কর্মকতার দায়িত্ব পালন করছেন সচিব সন্তোষ কুমার হাজরা। তিনি তার ব্যক্তিগত কাজ ও দপ্তরের মিটিংয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে পৌর সদরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষ জন ভোগান্তির স্বিকার হচ্ছে আর পৌরসভা কার্যালয়ে প্রশাসকের চেয়ার থাকলেও সর্বদা চেয়ার শূন্য থাকতে দেখা যায়। সাধারণ মানুষ জনের এই ভোগান্তির শেষ কোথায়!

বুধবার দুপুর ১২টার সময় পৌর কার্যালয়ে নাগরিক সেবা নিতে আসা পৌরসদরের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শাহাবুদ্দিন মোড়ল ও শাকিল হোসেন বলেন, আমাদের নাগরিক সনদপত্রে স্বাক্ষরের জন্য প্রায় ২ঘন্টা যাবৎ দাড়িয়ে আছি। পৌর নির্বাহী কর্মকতা নাকি সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর সাথে মিটিংয়ে আছে। পৌর নির্বাহী কর্মকতাকে কোথায় পাওয়া যাবে এটা যানতে চাওয়া হলে অফিসের লোকজন একবার বলেন ইউএনও অফিসে আছে। ইউএনও অফিসে খোজ নিয়ে দেখা যায় তিনি সেখানে নেই। পরবর্তীতে আবারও পৌরসভায় খোজ নিলে বলে মিটিংয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয়ে রয়েছেন। সহকারী কমিশনারের কার্যালয়ে স্বাক্ষরের জন্য গেলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) তার অফিসের সামনে একাধিক ব্যক্তি লাইনে থাকলেও তারা আলাপ-আলাচনায় মহাব্যস্ত সময় পার করেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর অফিস রুমে প্রবেশ করতে গেলে অফিস সহকারীরা আমাদেরকে সেবা নেওয়া থেকে বঞ্চিত করেছে।

পৌর নির্বাহী কর্মকতার দায়িত্ব পালন করছেন সচিব সন্তোষ কুমার হাজরা বলেন, আমি সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও প্রশাসক স্যারের অফিসে মিটিংয়ে ছিলাম। প্রশাসক স্যারের অফিসে আশার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ৩দিন আগে একঘন্টার জন্য এসেছিল।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌর প্রশাসক নাভিদ সরওয়ার এর অফিসিয়াল ফোন নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন