১১:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

পদ্মা-মেঘনা নদীতে আজ থেকে ২২ দিন সব ধরনের মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৬:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৭৯

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মতলব উত্তর প্রতিনিধি :

চাঁদপুর মতলবের পদ্মা-মেঘনা নদীতে ২২ দিনের জন্য ইলিশসহ সবধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ১২ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা চলবে। এ সময় দেশব্যাপী ইলিশ পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকবে।

সূত্র জানা যায় , মেঘনা নদীর মতলবের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এলাকায় নিষেধাজ্ঞার সময়ে কোনো জেলে নদীতে নামতে পারবেন না। নিষেধাজ্ঞা সময়ে ইলিশ মাছ আহরণ ও বিক্রি করলে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানাসহ উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে।

ইতিমধ্যে পদ্মা-মেঘনা পাড়ের জেলেরা জাল-নৌকা তীরে উঠিয়ে নিচ্ছেন। এ দিকে কর্মহীন এ মৌসুম নিয়ে বরাবরের মতোই দুশ্চিন্তা ভর করেছে তীরবর্তী জেলেদের মাথায়। নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে পরিবার-পরিজনের ভরন-পোষন নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।

সূত্র মতে, মতলবসহ চাঁদপুরে অর্ধ লক্ষাধিক জেলে রয়েছেন। এর মধ্যে ৪৩ হাজার জেলে নিবন্ধনকৃত। শুধু নিবন্ধনকৃত জেলেরাই সরকারি সহায়তা হিসেবে ২৫ কেজি করে চাল পেয়ে থাকেন কর্মহীন এ মৌসুমে। তাই সরকারিভাবে খাদ্য সহায়তা বাড়ানোর পাশাপাশি আর্থিক সহায়তার দাবি এখানকার জেলেদের।

মতলবের মেঘনা পাড়ের কয়েকজন জেলে বলেন, কিছু কিছু জেলে আইন মানছে না। ২২ দিন মাছ ধরতে পারবো না কিন্তু পরিবার নিয়ে কিভাবে দিন কাটে সে খবর কেউ রাখে না। আমাদের যে চাল দেয়, সেটি দিয়ে কিছুই হয় না। চালের সঙ্গে আনুষঙ্গিক জিনিস লাগে। সে খরচ কীভাবে পাবো? ধারদেনা ও কিস্তির টাকা দিয়ে আমাদের চলতে হয়। ছেলে-মেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালাতে পারি না। অভাবে পরে অনেক জেলে বাধ্য হয়েই নদীতে নামে।

মতলব উত্তর উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস জানান, ২২দিন যেন কোন অসাধু জেলে নদীতে না নামেন, সেজন্য সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ঘাটে লিপলেট বিতরণ ও মাইকিং করে জনগণকে সচেতন করা হয়েছে।

মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার একি মিত্র চাকমা জানান, ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে দায়িত্ব পালন করা হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নদীতে পাহারায় থাকবে। নৌ-পুলিশ ও কোষ্টগার্ডের সঙ্গে ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট থাকবেন।

চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, এ বছর ইলিশ ধরা নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে পালিত হবে। নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে কোনো জেলে নদীতে নামলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

পদ্মা-মেঘনা নদীতে আজ থেকে ২২ দিন সব ধরনের মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা

আপডেট সময় : ০৫:৪৬:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মতলব উত্তর প্রতিনিধি :

চাঁদপুর মতলবের পদ্মা-মেঘনা নদীতে ২২ দিনের জন্য ইলিশসহ সবধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ১২ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা চলবে। এ সময় দেশব্যাপী ইলিশ পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকবে।

সূত্র জানা যায় , মেঘনা নদীর মতলবের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এলাকায় নিষেধাজ্ঞার সময়ে কোনো জেলে নদীতে নামতে পারবেন না। নিষেধাজ্ঞা সময়ে ইলিশ মাছ আহরণ ও বিক্রি করলে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানাসহ উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে।

ইতিমধ্যে পদ্মা-মেঘনা পাড়ের জেলেরা জাল-নৌকা তীরে উঠিয়ে নিচ্ছেন। এ দিকে কর্মহীন এ মৌসুম নিয়ে বরাবরের মতোই দুশ্চিন্তা ভর করেছে তীরবর্তী জেলেদের মাথায়। নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে পরিবার-পরিজনের ভরন-পোষন নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।

সূত্র মতে, মতলবসহ চাঁদপুরে অর্ধ লক্ষাধিক জেলে রয়েছেন। এর মধ্যে ৪৩ হাজার জেলে নিবন্ধনকৃত। শুধু নিবন্ধনকৃত জেলেরাই সরকারি সহায়তা হিসেবে ২৫ কেজি করে চাল পেয়ে থাকেন কর্মহীন এ মৌসুমে। তাই সরকারিভাবে খাদ্য সহায়তা বাড়ানোর পাশাপাশি আর্থিক সহায়তার দাবি এখানকার জেলেদের।

মতলবের মেঘনা পাড়ের কয়েকজন জেলে বলেন, কিছু কিছু জেলে আইন মানছে না। ২২ দিন মাছ ধরতে পারবো না কিন্তু পরিবার নিয়ে কিভাবে দিন কাটে সে খবর কেউ রাখে না। আমাদের যে চাল দেয়, সেটি দিয়ে কিছুই হয় না। চালের সঙ্গে আনুষঙ্গিক জিনিস লাগে। সে খরচ কীভাবে পাবো? ধারদেনা ও কিস্তির টাকা দিয়ে আমাদের চলতে হয়। ছেলে-মেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালাতে পারি না। অভাবে পরে অনেক জেলে বাধ্য হয়েই নদীতে নামে।

মতলব উত্তর উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস জানান, ২২দিন যেন কোন অসাধু জেলে নদীতে না নামেন, সেজন্য সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ঘাটে লিপলেট বিতরণ ও মাইকিং করে জনগণকে সচেতন করা হয়েছে।

মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার একি মিত্র চাকমা জানান, ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে দায়িত্ব পালন করা হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নদীতে পাহারায় থাকবে। নৌ-পুলিশ ও কোষ্টগার্ডের সঙ্গে ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট থাকবেন।

চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, এ বছর ইলিশ ধরা নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে পালিত হবে। নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে কোনো জেলে নদীতে নামলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন