১০:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

সোনারগাঁয়ে লাগামহীন ডিমের দাম,সবজিতে অস্বস্তি

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৫:৩১:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৬৭

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মাজহারুল রাসেল :

সোনারগাঁও উপজেলার বাজারগুলোতে সরকারের বেঁধে দেয়া দামে মিলছে না ডিম ও মুরগি। এলাকাভেদে ডজনপ্রতি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা এবং ব্রয়লার মুরগি কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। ডিমের এ লাগামহীন বাজারে বিপাকে পড়েছেন মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরা।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সোনারগাঁও উপজেলার প্রাণকেন্দ্র মোগরাপাড়া চৌরাস্তা ও এর আশপাশের বেশ কিছু বাজারে নিত্যপণ্যের দামের এ তথ্য জানতে পারে গণমাধ্যম।

বাজারগুলো শাক-সবজিতে ভরপুর। বেগুন,শসা,পটোল,বরবটি,লতি,ঢ্যাঁড়শ,কাঁকরোল, পেঁপে, করলার পাশাপাশি আছে শীতকালীন শিম, গাজর, মুলা, ফুলকপি ও বাঁধাকপিও। তবে এরপরও দাম ছাড়ছেন না ব্যবসায়ীরা। নাগালের মধ্যে নেই কোনো সবজিই। ব্যবসায়ীদের দাবি, সম্প্রতি বন্যায় ও টানা বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত। এতে বাজারে সরবরাহ কম থাকায় সবজির দাম চড়া।

বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ১০০-১২০ টাকা, করলা ৭০-৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৫০-৬০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, লতি ৬০-৮০ টাকা, কহি ৬০ টাকা, ধুন্দুল ৮০ টাকা ও পটোল ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, কচুরমুখী ৮০ টাকা, টমেটো ১৬০ টাকা, শিম ২৫০-৩০০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকায়।

এছাড়া, প্রতি কেজি ধনেপাতা ৪০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা ও আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। আর প্রতি পিস ফুলকপি ৭০-৮০ টাকা, বাঁধাকপি ৮০-১০০ টাকা ও প্রতি পিস লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা।

সোনারগাঁও উপজেলার বেশ কয়েকটি বাজারে প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬৫-১৭০ টাকা, আর সাদা ডিম ১৬০-১৬৫ টাকা। তবে এলাকার দোকানগুলোতে এ দাম পৌঁছেছে যথাক্রমে ১৮০ টাকা ও ১৭০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি পিস ডিমের দাম পড়ছে ১৫ টাকা পর্যন্ত।

মোগরাপাড়া বাজারে ডিম কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী হোসেন মিয়া জানান, সরকার ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। সে অনুযায়ী দাম হওয়ার কথা প্রতি পিস ১১-১২ টাকা, সেখানে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা করে। এ যেন মগের মুল্লুক। এখন সিন্ডিকেটকারীদের লাগাম টেনে ধরতে হবে।

সোনারগাঁও উপজেলা পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জহিরুল ইসলাম খোকন বলেন,সোনারগাঁও উপজেলায় ডিমের কোনো অভাব নেই। সম্প্রতি কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে ডিমের আমদানি কম হয়েছে। তবে অন্যান্য জেলায় উৎপাদন বেশি রয়েছে। ডিম ব্যবসায়ী ও করপোরেটরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়েছেন।

এদিকে পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের শর্ত শিথিল ও শুল্ক কমানোর পর পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। আগে যে পেঁয়াজ ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতো, তা এখন ১১০ থেকে ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

সোনারগাঁয়ে লাগামহীন ডিমের দাম,সবজিতে অস্বস্তি

আপডেট সময় : ০৫:৩১:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মাজহারুল রাসেল :

সোনারগাঁও উপজেলার বাজারগুলোতে সরকারের বেঁধে দেয়া দামে মিলছে না ডিম ও মুরগি। এলাকাভেদে ডজনপ্রতি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা এবং ব্রয়লার মুরগি কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। ডিমের এ লাগামহীন বাজারে বিপাকে পড়েছেন মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরা।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সোনারগাঁও উপজেলার প্রাণকেন্দ্র মোগরাপাড়া চৌরাস্তা ও এর আশপাশের বেশ কিছু বাজারে নিত্যপণ্যের দামের এ তথ্য জানতে পারে গণমাধ্যম।

বাজারগুলো শাক-সবজিতে ভরপুর। বেগুন,শসা,পটোল,বরবটি,লতি,ঢ্যাঁড়শ,কাঁকরোল, পেঁপে, করলার পাশাপাশি আছে শীতকালীন শিম, গাজর, মুলা, ফুলকপি ও বাঁধাকপিও। তবে এরপরও দাম ছাড়ছেন না ব্যবসায়ীরা। নাগালের মধ্যে নেই কোনো সবজিই। ব্যবসায়ীদের দাবি, সম্প্রতি বন্যায় ও টানা বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত। এতে বাজারে সরবরাহ কম থাকায় সবজির দাম চড়া।

বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ১০০-১২০ টাকা, করলা ৭০-৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৫০-৬০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, লতি ৬০-৮০ টাকা, কহি ৬০ টাকা, ধুন্দুল ৮০ টাকা ও পটোল ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, কচুরমুখী ৮০ টাকা, টমেটো ১৬০ টাকা, শিম ২৫০-৩০০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকায়।

এছাড়া, প্রতি কেজি ধনেপাতা ৪০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা ও আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। আর প্রতি পিস ফুলকপি ৭০-৮০ টাকা, বাঁধাকপি ৮০-১০০ টাকা ও প্রতি পিস লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা।

সোনারগাঁও উপজেলার বেশ কয়েকটি বাজারে প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬৫-১৭০ টাকা, আর সাদা ডিম ১৬০-১৬৫ টাকা। তবে এলাকার দোকানগুলোতে এ দাম পৌঁছেছে যথাক্রমে ১৮০ টাকা ও ১৭০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি পিস ডিমের দাম পড়ছে ১৫ টাকা পর্যন্ত।

মোগরাপাড়া বাজারে ডিম কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী হোসেন মিয়া জানান, সরকার ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। সে অনুযায়ী দাম হওয়ার কথা প্রতি পিস ১১-১২ টাকা, সেখানে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা করে। এ যেন মগের মুল্লুক। এখন সিন্ডিকেটকারীদের লাগাম টেনে ধরতে হবে।

সোনারগাঁও উপজেলা পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জহিরুল ইসলাম খোকন বলেন,সোনারগাঁও উপজেলায় ডিমের কোনো অভাব নেই। সম্প্রতি কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে ডিমের আমদানি কম হয়েছে। তবে অন্যান্য জেলায় উৎপাদন বেশি রয়েছে। ডিম ব্যবসায়ী ও করপোরেটরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়েছেন।

এদিকে পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের শর্ত শিথিল ও শুল্ক কমানোর পর পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। আগে যে পেঁয়াজ ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতো, তা এখন ১১০ থেকে ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন