ঝিকরগাছায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের নামে থানায় মামলা
- আপডেট সময় : ০৭:০০:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৫৬
আফজাল হোসেন চাঁদ :
যশোরের ঝিকরগাছায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের নামে থানায় মামলা হয়েছে। উক্ত মামলায় থানা পুলিশ ২ জন আসামিকে বিজ্ঞ আদালতের প্রেরণ করেছেন। উক্ত মামলায় বাদী হয়েছেন ঝিকরগাছা বিএম হাই স্কুলের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আরাফাত (১৬) এর পিতা মনিরামপুর থানার স্মরণপুর গ্রামের মুসা মাহমুদ মিলন (৪৩) এবং বিবাদী হয়েছেন ঝিকরগাছা পৌর সদরের কৃষ্ণনগর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে নয়ন ইসলাম রাতুল (১৯), মুস্তায়িন বিল্লাহর ছেলে হাসান (১৯) সহ আরো অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন।
থানায় মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বিবাদীরা উগ্র, অসামাজিক এবং কিশোর গ্যাং’র সদস্য। বিবাদীরা স্কুল পড়ুয়া ছেলেদের টার্গেট করিয়া বিভিন্নভাবে জিম্মি করিয়া টাকা পয়সা দাবী করাসহ বিভিন্নভাবে টর্চার করিয়া থাকে। ১ ও ২ নং বিবাদীদ্বয় দীর্ঘদিন যাবৎ বাদী ছেলের সহিত ঝামেলা বিবাদ সৃষ্টি করে আসছে এবং তাদের কথা মতো কাজ না করিলে ক্ষয়ক্ষতি করার হুমকি প্রদান করেন।
এমতাবস্থায় বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর অনুমান ১টার সময় স্কুলে টিফিনের ছুটিতে বাদীর ছেলে বন্ধুদের সাথে বিএম স্কুলের বড় পরি মাঠে (কেন্দ্রীয় ঈদগাহ) খেলা করতে গেলে কিছুক্ষণ পরে অনুমান ১টা ২০মিনিটের সময় বিবাদীদ্বয় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে বেআইনী জনতাবদ্ধে হাতে লোহার রড ও জিআই পাইপ নিয়া আমার ছেলের নিকটে আসিয়া অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। বাদী ছেলে কারণ জিজ্ঞাসা করলে বিবাদীদ্বয় সহ তাদের সাথে আসা অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন এলোপাতাড়িভাবে কিল, ঘুষি, চড়-থাপ্পোর মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফোলা জখম করে। বাদীর ছেলে মাটিতে পড়ে থাকলে ১ নং বিবাদীর হাতে থাকা জিআই পাইপ দ্বারা মাথা ফাটাইয়া হত্যার উদ্দেশ্যে সজোরে আঘাত করে। এতে বাদীর ছেলে মাথার উপরিভাগে গুরুতর থেতলানো রক্তাক্ত জখম হয়। বিবাদীদ্বয়ের হাত থেকে উদ্ধারের জন্য বিএম স্কুলের শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসলে বিবাদীরা স্কুলের শিক্ষার্থী মুনিব হোসেন স্বরুপ এবং জিহাদ হোসেনকেও এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিটে শরীরে বিভিন্ন স্থানে নীলাফোলা জখম করে। মারপিট শেষে বিবাদীদ্বয় বাদীর ছেলেকে ভবিষ্যতে খুন করার প্রকাশ্য হুমকি দিলে স্কুলের শিক্ষকগণ বিবাদীদ্বয়কে ধৃত করে থানা পুলিশকে খবর দিয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছালে বিবাদীদ্বয়কে পুলিশ হেফাজতে দেন। পরবর্তীতে থানা পুলিশ ১৮৬০এর পেনাল কোড ১৪৩/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৫০৬(২)/৩৪ নং ধারায় মামলার এজাহার গ্রহণ করেন। থানায় মামলা নং ১৮, তারিখ-২৫/০৯/২০২৪ইং।
ঘটনার বিষয়ে থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) ও তদন্ত পরিদর্শক ইব্রাহিম আলী বলেন, ঘটনার বিষয়ে গতকাল রাতে মামলা হয়েছে এবং বিবাদীদের আজ (বৃহস্পতিবার) বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।