১১:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে আমন ধানের সবুজ পাতায় দুলছে কৃষকের স্বপ্ন

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৫:১৯:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৩২২

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মমিনুল ইসলাম :

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় অবস্থিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্প। সেই সেচ প্রকল্পের আওতায় কৃষকরা আমন ধানের নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। মাঠজুড়ে শুধু সবুজ আর সবুজ ধানের ক্ষেত। যে দিকেই চোখ যায় শুধু সবুজের সমারোহ। ফসলের মাঠ যেন সবুজ চাদরে ঢাকা। বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে যেন সবার নজর কাড়ছে আমনক্ষেত। চারিদিকে এক নয়নাভিরাম দৃশ্য। কৃষকের আগামীর সোনালী স্বপ্ন লুকিয়ে আছে সবুজ ধানখেতের মাঝে। প্রখর রোদ-বৃষ্টির খেলায় সবুজের আভা ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে।

মাঠে মাঠে হাওয়ায় দুলছে আমন ধানের সবুজপাতা, আর আনন্দে দুলছে কৃষকদের মন। কৃষকের মনে উঁকি দিচ্ছে এক ভিন্ন আমেজ। সবুজ ঘেরা রোপা আমনের মাঠ দেখে বারবার ফিরে তাকায় কৃষক, থমকে দাঁড়ায় পথিক। আর কয়েক দিনের মধ্যেই সোনালী ধানের শীষে ঝলমল করবে মাঠের পর মাঠ। রাশি রাশি সোনালী ধানে ভরে উঠবে কৃষকের শূন্য গোলা। পাশাপাশি কৃষকের মুখে ফুটে উঠবে হাসি।

মতলব উত্তর উপজেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, মতলব উত্তর উপজেলায় মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের আওতায় ১টি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়নে ৮ হাজার ৪৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বন্যা আতঙ্কের কারণে আমন চাষে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে বলেও কৃষকরা জানিয়েছেন।

কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে আরও জানায়, মতলব উত্তর উপজেলায় প্রথম ধাপে ৯৫০ জন এবং ২য় ধাপে ১ হাজার ৬০০ জন কৃষকের প্রনোদনা স্বরূপ সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় সার, বীজ ও রোগবালাই কীটনাশক ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে।

উপজেলার আধুরভিটি গ্রামের কৃষক আব্দুর রহিম সহ অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ বছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবং সময়মত বৃষ্টি হওয়ার কারণে আমন ধানের চারাগুলো দেখে মনে হয় এ বছর ধানের ফলন ভালো হবে এবং তারা বেশ লাভবান হওয়ার আশা ব্যক্ত করেছেন। ভালোভাবে ফসল ঘরে তুলতে পারলে তাদের সারা বছরের খাদ্যের চাহিদা পূরণ হবে।

দেওয়ানজীকান্দি গ্রামের কৃষক জসিমউদদীন জানান, এ বছর আমি ৪ বিঘা জমিতে আমন ধানের চাষ করেছি। এমন সুন্দর ধানের চারা দেখে আমার মনটা খুশিতে ভরে উঠেছে। তবে কিছু ধানের ডগায় পচন রোগ দেখা দিয়েছে। ওঠারচর গ্রামের কৃষক আতাউর রহমান সরকার বলেন, মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগের লোকদের পরামর্শ নিয়ে আমরা উপকৃত।

এব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ফয়সাল মোহাম্মদ আলী বলেন, চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। কৃষকদের আমন চাষে উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন সময় কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও সরকারিভাবে প্রণোদণা দেয়া হয়েছে। অল্প খরচে অধিক ফলন যাতে কৃষকরা করতে পারেন এজন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে তারা উদ্বুদ্ধ করেছেন।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে আমন ধানের সবুজ পাতায় দুলছে কৃষকের স্বপ্ন

আপডেট সময় : ০৫:১৯:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মমিনুল ইসলাম :

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় অবস্থিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্প। সেই সেচ প্রকল্পের আওতায় কৃষকরা আমন ধানের নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। মাঠজুড়ে শুধু সবুজ আর সবুজ ধানের ক্ষেত। যে দিকেই চোখ যায় শুধু সবুজের সমারোহ। ফসলের মাঠ যেন সবুজ চাদরে ঢাকা। বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে যেন সবার নজর কাড়ছে আমনক্ষেত। চারিদিকে এক নয়নাভিরাম দৃশ্য। কৃষকের আগামীর সোনালী স্বপ্ন লুকিয়ে আছে সবুজ ধানখেতের মাঝে। প্রখর রোদ-বৃষ্টির খেলায় সবুজের আভা ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে।

মাঠে মাঠে হাওয়ায় দুলছে আমন ধানের সবুজপাতা, আর আনন্দে দুলছে কৃষকদের মন। কৃষকের মনে উঁকি দিচ্ছে এক ভিন্ন আমেজ। সবুজ ঘেরা রোপা আমনের মাঠ দেখে বারবার ফিরে তাকায় কৃষক, থমকে দাঁড়ায় পথিক। আর কয়েক দিনের মধ্যেই সোনালী ধানের শীষে ঝলমল করবে মাঠের পর মাঠ। রাশি রাশি সোনালী ধানে ভরে উঠবে কৃষকের শূন্য গোলা। পাশাপাশি কৃষকের মুখে ফুটে উঠবে হাসি।

মতলব উত্তর উপজেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, মতলব উত্তর উপজেলায় মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের আওতায় ১টি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়নে ৮ হাজার ৪৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বন্যা আতঙ্কের কারণে আমন চাষে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে বলেও কৃষকরা জানিয়েছেন।

কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে আরও জানায়, মতলব উত্তর উপজেলায় প্রথম ধাপে ৯৫০ জন এবং ২য় ধাপে ১ হাজার ৬০০ জন কৃষকের প্রনোদনা স্বরূপ সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় সার, বীজ ও রোগবালাই কীটনাশক ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে।

উপজেলার আধুরভিটি গ্রামের কৃষক আব্দুর রহিম সহ অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ বছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবং সময়মত বৃষ্টি হওয়ার কারণে আমন ধানের চারাগুলো দেখে মনে হয় এ বছর ধানের ফলন ভালো হবে এবং তারা বেশ লাভবান হওয়ার আশা ব্যক্ত করেছেন। ভালোভাবে ফসল ঘরে তুলতে পারলে তাদের সারা বছরের খাদ্যের চাহিদা পূরণ হবে।

দেওয়ানজীকান্দি গ্রামের কৃষক জসিমউদদীন জানান, এ বছর আমি ৪ বিঘা জমিতে আমন ধানের চাষ করেছি। এমন সুন্দর ধানের চারা দেখে আমার মনটা খুশিতে ভরে উঠেছে। তবে কিছু ধানের ডগায় পচন রোগ দেখা দিয়েছে। ওঠারচর গ্রামের কৃষক আতাউর রহমান সরকার বলেন, মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগের লোকদের পরামর্শ নিয়ে আমরা উপকৃত।

এব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ফয়সাল মোহাম্মদ আলী বলেন, চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। কৃষকদের আমন চাষে উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন সময় কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও সরকারিভাবে প্রণোদণা দেয়া হয়েছে। অল্প খরচে অধিক ফলন যাতে কৃষকরা করতে পারেন এজন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে তারা উদ্বুদ্ধ করেছেন।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন