১০:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

সিদ্ধিরগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা চত্তরকে জামায়াত নগর করার পাঁয়তারা

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৭:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৭৬

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :

সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী নতুন মহল্লা খাল পাড় এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা চত্তরের নাম পাল্টিয়ে জামায়াত নগর করার পাঁয়তারা করছে জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত একজন স্কুল শিক্ষক। মুক্তিযোদ্ধা চত্তরে নির্মিত স্মৃতিস্তম্বের নাম পলক ভেঙে তার সামনে জামায়াত নগর নামকরণ সাইনবোর্ড লাগিয়েছেন তিনি।

গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতের অঁধারে এ সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

স্থানীয় বাসিন্দা শিল্পপতি চাঁন মিয়া জানান, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সম্মতিক্রমে ২ বছর আগে পাইনাদী নতুন মহল্লা খালপাড় এলাকার তিন রাস্তার মোড়টি মুক্তিযোদ্ধা চত্তর নাম করণ করা হয়। পরে সর্বসম্মতিক্রমে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি চারণনের লক্ষে সেখানে একটি স্মৃতিস্তম্ব নির্মাণ করা হয়। ফলে মুক্তিযোদ্ধা চত্তর হিসেবে স্থানটি পরিচিতি পায়।

তিনি অভিযোগ জানান, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের কয়েকদিন পর কে বা কারা মুক্তিযোদ্ধা চত্তরের স্মৃতিস্তম্বের নাম পলক ভেঙে ফেলে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গোপনে স্থানটি ফুলকলিমোড় জামায়াত নগর নামকরণ করে স্মৃতিস্তম্বের সামনে একটি সাইনবোর্ড লাগানো হয়। সাইনবোর্ডে সৌজন্যে ফুলকলি স্কুলের মালিক আব্দুস সোবহান মাস্টারের নাম লেখা রয়েছে। স্থানটির নাম জামায়াত নগর করার পাঁয়তারা করায় প্রতিয়মান হচ্ছে এটি জামায়াত কর্মী আব্দুস সোবহান মাস্টারের কাজ। তিনি এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি মুছে ফেলতে এ সাইনবোর্ড লাগিয়েছে। তার এমন কর্মকাণ্ড এলাকার স্বাধীনতাকামী লোকজন মেনে নিবে না বলে মন্তব্য করে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান চাঁন মিয়া।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুস সোবহান মাস্টার বলেন, এটা একটা বিভ্রান্তমূলক কাজ। সৌজন্যে আমার নামটি কে বা কারা দিয়েছে আমি তা অবগত নই।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

সিদ্ধিরগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা চত্তরকে জামায়াত নগর করার পাঁয়তারা

আপডেট সময় : ০৭:৪৭:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :

সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী নতুন মহল্লা খাল পাড় এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা চত্তরের নাম পাল্টিয়ে জামায়াত নগর করার পাঁয়তারা করছে জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত একজন স্কুল শিক্ষক। মুক্তিযোদ্ধা চত্তরে নির্মিত স্মৃতিস্তম্বের নাম পলক ভেঙে তার সামনে জামায়াত নগর নামকরণ সাইনবোর্ড লাগিয়েছেন তিনি।

গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতের অঁধারে এ সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

স্থানীয় বাসিন্দা শিল্পপতি চাঁন মিয়া জানান, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সম্মতিক্রমে ২ বছর আগে পাইনাদী নতুন মহল্লা খালপাড় এলাকার তিন রাস্তার মোড়টি মুক্তিযোদ্ধা চত্তর নাম করণ করা হয়। পরে সর্বসম্মতিক্রমে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি চারণনের লক্ষে সেখানে একটি স্মৃতিস্তম্ব নির্মাণ করা হয়। ফলে মুক্তিযোদ্ধা চত্তর হিসেবে স্থানটি পরিচিতি পায়।

তিনি অভিযোগ জানান, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের কয়েকদিন পর কে বা কারা মুক্তিযোদ্ধা চত্তরের স্মৃতিস্তম্বের নাম পলক ভেঙে ফেলে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গোপনে স্থানটি ফুলকলিমোড় জামায়াত নগর নামকরণ করে স্মৃতিস্তম্বের সামনে একটি সাইনবোর্ড লাগানো হয়। সাইনবোর্ডে সৌজন্যে ফুলকলি স্কুলের মালিক আব্দুস সোবহান মাস্টারের নাম লেখা রয়েছে। স্থানটির নাম জামায়াত নগর করার পাঁয়তারা করায় প্রতিয়মান হচ্ছে এটি জামায়াত কর্মী আব্দুস সোবহান মাস্টারের কাজ। তিনি এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি মুছে ফেলতে এ সাইনবোর্ড লাগিয়েছে। তার এমন কর্মকাণ্ড এলাকার স্বাধীনতাকামী লোকজন মেনে নিবে না বলে মন্তব্য করে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান চাঁন মিয়া।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুস সোবহান মাস্টার বলেন, এটা একটা বিভ্রান্তমূলক কাজ। সৌজন্যে আমার নামটি কে বা কারা দিয়েছে আমি তা অবগত নই।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন