০৯:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সিদ্ধিরগঞ্জে শালিস থেকে উঠে গিয়ে নির্মাণাধীন দেয়াল ভাংচুর করার অভিযোগ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ১১:৪৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ২১২

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :

সিদ্ধিরগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেড়ে শালিক বৈঠক থেকে উঠে গিয়ে নির্মাণাধীন দেয়াল ভাংচুর করার অভিযোগ উঠেছে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী মেহেদী হাসান রুবেল ও তার বোন লেডি সন্ত্রাসী রুমার বিরুদ্ধে। এসময় বাঁধা দেয়ায় আবুল হাসেম (৮০) ও আব্দুর রউফ (৫৫) নামে প্রতিবন্ধি বাপ-ছেলেকে মারধর করারও অভিযোগ রয়েছে ওই সন্ত্রাসী ভাই-বোনের বিরুদ্ধে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টায় সিদ্ধিরগঞ্জের পূর্ব বাগমারা এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

মারধরের শিকার প্রতিবন্ধি আবুল হাসেম বাগমারা এলাকার মৃত রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে এবং প্রতিবন্ধি আব্দুর রউফ আবুল হাসেমের ছেলে।

হামলাকারী চিহ্নিত সন্ত্রাসী মেহেদী হাসান রুবেল পূর্ব বাগমারা এলাকার আবু কালামের ছেলে। সে আলোচিত সাত খুন মামলার ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত প্রধান আসামী নূর হোসেনের ভাতিজা, নারায়গঞ্জের সন্ত্রাসী গডফাদার শামীম ওসমান ও তার শ্যালক তানভীর আহমেদ টিটু এবং সেকেন্ড ইন কমান্ড সন্ত্রাসী শাহ নিজাম গং দ্বারা পরিচালিত ভূমি মাফিয়া চক্রের অন্যতম সদস্য সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক, নাসিক ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ শাহজালাল বাদলের সহযোগী। কাউন্সিলর শাহজালাল বাদলের শেল্টারে সন্ত্রাসী রুবেল বাগমারা এলাকার ডিশ, ইন্টারনেট ও ইট, বালু-পাথরের ব্যবসা অন্যের কাছ থেকে জোর পূর্বক দখলের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করে আসছে।

মারধরের শিকার প্রতিবন্ধি আবুল হাসেমের ছেলে আব্দুর রউফ জানান, আজ দুপুর ১২ টায় মেহেদী হাসান রুবেল ও তার বোন রুমা পঞ্চায়েতের শালিস বৈঠক থেকে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এসে আমার দাদীর ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত আমার পৈত্রিক জমিতে নির্মিত দেয়াল ভাংচুর করে। এসময় বাঁধা দিলে তারা আমাকে এবং আমার বাবাকে প্রকাশে দিবালোকে মারধর করে।

বাগমারা পঞ্চায়েত কমিটির সদস্য মকবুল হোসেন জানায়, এই সম্পত্তিটি নিয়ে তাদের সাথে অনেক দিন ধরেই ঝামেলা চলছে। আবু কালাম ভাই ৩০ শতাংশ জমি কিনে জালিয়াতি করে ৩৩ শতাংশ খারিজ করেছে। অবশিষ্ট ৩ শতাংশ জমি জোরপূর্বক তারা দখলে রেখেছিল। সকালে আবু কালাম ভাই বিষয়টিকে স্থানীয় ভাবে বসে মিমাংসার জন্য শালিসি করার জন্য পঞ্চায়েতের কাছে আসে। সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে পঞ্চায়েতের সভাপতি সামছুল আলমসহ স্থানীয় হাজী আব্দুস সাত্তার, সেলিম সিআইডি, লাট মিয়া ও সাইফুল ইসলামসহ আমরা বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে শালিসিতে বসেছিলাম। আমরা সবাই তাদেরকে বুঝিয়ে ব্যর্থ হয়েছি। তারা উত্তেজিত হয়ে উঠে গিয়ে প্রতিবন্ধি আবুল হাসেমের জমির দেয়াল ভাংচুর করে এবং তাদের বাপ-ছেলেকে মারধর করে।

লাট মিয়া নামে এক প্রবিণ বাসিন্দা বলেন, কালাম আমার বোনের জামাই। সে খুব খারাপ। ৩০ শতাংশ জমি কিনে ৩৩ শতাংশ জমি খারিজ করেছে। এলাকার সবাই তাদেরকে বুঝিয়েও ৩ শতাংশ জমির মালিককে তা বুঝিয়ে দেয়া সম্ভব হয়নি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

সিদ্ধিরগঞ্জে শালিস থেকে উঠে গিয়ে নির্মাণাধীন দেয়াল ভাংচুর করার অভিযোগ

আপডেট সময় : ১১:৪৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :

সিদ্ধিরগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেড়ে শালিক বৈঠক থেকে উঠে গিয়ে নির্মাণাধীন দেয়াল ভাংচুর করার অভিযোগ উঠেছে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী মেহেদী হাসান রুবেল ও তার বোন লেডি সন্ত্রাসী রুমার বিরুদ্ধে। এসময় বাঁধা দেয়ায় আবুল হাসেম (৮০) ও আব্দুর রউফ (৫৫) নামে প্রতিবন্ধি বাপ-ছেলেকে মারধর করারও অভিযোগ রয়েছে ওই সন্ত্রাসী ভাই-বোনের বিরুদ্ধে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টায় সিদ্ধিরগঞ্জের পূর্ব বাগমারা এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

মারধরের শিকার প্রতিবন্ধি আবুল হাসেম বাগমারা এলাকার মৃত রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে এবং প্রতিবন্ধি আব্দুর রউফ আবুল হাসেমের ছেলে।

হামলাকারী চিহ্নিত সন্ত্রাসী মেহেদী হাসান রুবেল পূর্ব বাগমারা এলাকার আবু কালামের ছেলে। সে আলোচিত সাত খুন মামলার ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত প্রধান আসামী নূর হোসেনের ভাতিজা, নারায়গঞ্জের সন্ত্রাসী গডফাদার শামীম ওসমান ও তার শ্যালক তানভীর আহমেদ টিটু এবং সেকেন্ড ইন কমান্ড সন্ত্রাসী শাহ নিজাম গং দ্বারা পরিচালিত ভূমি মাফিয়া চক্রের অন্যতম সদস্য সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক, নাসিক ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ শাহজালাল বাদলের সহযোগী। কাউন্সিলর শাহজালাল বাদলের শেল্টারে সন্ত্রাসী রুবেল বাগমারা এলাকার ডিশ, ইন্টারনেট ও ইট, বালু-পাথরের ব্যবসা অন্যের কাছ থেকে জোর পূর্বক দখলের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করে আসছে।

মারধরের শিকার প্রতিবন্ধি আবুল হাসেমের ছেলে আব্দুর রউফ জানান, আজ দুপুর ১২ টায় মেহেদী হাসান রুবেল ও তার বোন রুমা পঞ্চায়েতের শালিস বৈঠক থেকে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এসে আমার দাদীর ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত আমার পৈত্রিক জমিতে নির্মিত দেয়াল ভাংচুর করে। এসময় বাঁধা দিলে তারা আমাকে এবং আমার বাবাকে প্রকাশে দিবালোকে মারধর করে।

বাগমারা পঞ্চায়েত কমিটির সদস্য মকবুল হোসেন জানায়, এই সম্পত্তিটি নিয়ে তাদের সাথে অনেক দিন ধরেই ঝামেলা চলছে। আবু কালাম ভাই ৩০ শতাংশ জমি কিনে জালিয়াতি করে ৩৩ শতাংশ খারিজ করেছে। অবশিষ্ট ৩ শতাংশ জমি জোরপূর্বক তারা দখলে রেখেছিল। সকালে আবু কালাম ভাই বিষয়টিকে স্থানীয় ভাবে বসে মিমাংসার জন্য শালিসি করার জন্য পঞ্চায়েতের কাছে আসে। সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে পঞ্চায়েতের সভাপতি সামছুল আলমসহ স্থানীয় হাজী আব্দুস সাত্তার, সেলিম সিআইডি, লাট মিয়া ও সাইফুল ইসলামসহ আমরা বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে শালিসিতে বসেছিলাম। আমরা সবাই তাদেরকে বুঝিয়ে ব্যর্থ হয়েছি। তারা উত্তেজিত হয়ে উঠে গিয়ে প্রতিবন্ধি আবুল হাসেমের জমির দেয়াল ভাংচুর করে এবং তাদের বাপ-ছেলেকে মারধর করে।

লাট মিয়া নামে এক প্রবিণ বাসিন্দা বলেন, কালাম আমার বোনের জামাই। সে খুব খারাপ। ৩০ শতাংশ জমি কিনে ৩৩ শতাংশ জমি খারিজ করেছে। এলাকার সবাই তাদেরকে বুঝিয়েও ৩ শতাংশ জমির মালিককে তা বুঝিয়ে দেয়া সম্ভব হয়নি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন