রূপগঞ্জে সামাদ বাহিনীর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন
- আপডেট সময় : ০১:৩২:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৫২
মো. নুর আলম :
নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জে নিরীহ ছাত্র মোবারক হোসেন হত্যাসহ নিরীহ গ্রামবাসীর উপর হামলা ও মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগে আব্দুস সামাদসহ তার বাহিনীর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে স্থানীয় কয়েক শতাধীন নারী-পুরুষ মানববন্ধন কর্মসুচী পালন করেছেন। এসময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল করে সামাদ বাহিনীর কুশপত্তিকাদাহ করেন।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার হাটাবো-আতলাশপুর এলাকার কালাদি-রুপসী সড়কে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসুচী পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্যে রাখেন, রোবেল ভুইয়া, ফেরদৌস বাড়ী, কাউছার বাড়ী, হাফেজ আমিনুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, আযাহার ভুইয়া, কবির মোল্লা, বিল্লাল হোসেন মোল্লা, সোহরাব মোল্লা, আলামিন মোল্লা, আলী মিয়া, নুরে আলম ভুইয়া, মনির হোসেন ভুইয়া, কিরণ ভুইয়া, মিজান মিয়াসহ আরো অনেকে।
বক্তারা বলেন, আতলাশপুর এলাকার আব্দুস সামাদসহ তার বাহিনী বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। গত ৫ সেপ্টেম্বর স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর থেকেই নিরীহ গ্রামের লোকজনের উপর হামলা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর বালু ভরাটের কাজ নিয়ে সামাদ বাহিনীর সঙ্গে সেলিম মোল্লা বাহিনীর সংঘর্ষ বাধে। ওই ঘটনায় পুর্ব শত্রুতা জেরে ব্যবসায়ী কাউছার আহাম্মেদ ভুইয়া ও তার পিতা আওলাদ হোসেন ভুইয়াসহ নিরীহ গ্রামের লোকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে ১৯৯১ সালের ১৯ ডিসেম্বর আতলাশপুর এলাকার কলেজ ছাত্র মোবারক হোসেনকে নৌকা থেকে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে চুবিয়ে হত্যা করে আব্দুস সামাদসহ তার বাহিনীর সদস্যরা। তখন নিরীহ হওয়ায় মামলা করতে দেয়নি প্রভাবশালী সামাদ বাহিনী। এছাড়া আতলাশপুর এলাকার যুবক আলী নুরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। একই এলাকার মকবুল হোসেনের স্ত্রীকে শারিরিক নির্যাতন চালায়। সামাদ বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। অবিলম্বে আব্দুস সামাদসহ এ বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি ও নিরীহদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার দাবি জানান বক্তারা। তানাহলে এলাকাবাসী আরো বড় ধরনের কর্মসুচী পালন করে বলে হুশিয়ারী দেন।
তবে, এ ঘটনার ব্যাপারে সামাদ বাহিনীর প্রধান আব্দুল সামাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ স্বপূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেন।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি/তদন্ত) জুবায়ের হোসেন বলেন, আতলাশপুর এলাকায় বালু ভরাটকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় তাদেরকে কোন প্রকার হয়রানি করা হবেনা। এছাড়া সামাদ বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ লিখিত ভাবে পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।