নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি :
প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে দুর্নীতির দায়ে বরখাস্ত হন ২০২১ সালে। দীর্ঘ ৩ বছর পর নতুন করে পূর্বের পদের বহাল থাকতে মার্চেন্ট ওয়ার্কারস (এম.ডব্লিউ) উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাজী নাজমুল হুদা নানা ধরণের টালবাহানা শুরু করছেন বলে অভিযোগ স্কুল কর্তৃপক্ষের।
স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রধান শিক্ষক গাজী নাজমুল হুদা স্কুলে অনুপস্থিত থেকেও বেতন-ভাতা উত্তোলন করতেন। এছাড়া স্কুলের টাকা ব্যাক্তিগত কাজে ব্যবহার করতেন। তার এসব কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা। তিনি গত ৩ বছর আগে দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে বরখাস্ত হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত হয়েছে। তাকে পূর্ন বহালের জন্যও বলা হয়েছে। পূর্ণ বহালের রায়ের বিরেুদ্ধে হাই কোর্টে রিট করা হয়েছে। যা বর্তমানে চলমান রয়েছে।
এছাড়াও শিক্ষক নাজমুল হুদা চাকুরীতে যোগদানের পর ৫ মাস ২১ দিনের মধ্যে মাত্র ৯১ দিন উপ¯ি’ত ছিলেন। স্কুল থেকে তিনি বিভিন্ন খাতে ১২ লক্ষ ৬৩ হাজার ৪’শ ৯৯ টাকা আদায় করেন। অথচ ব্যাংকে টাকা জমা দেন ৪ লক্ষ ৮৬ হাজার ৩০৫ টাকা। বাকী ৭ লক্ষ ৭৭ হাজার ১’শ ৯৪ টাকা তিনি নিজের কাছে রাখেন। এই টাকা গ্রহন করার সময় তিনি কোন রেজিষ্টার্ড করেননি। এই ৭ লাখ ৭৭ হাজার ১৯৪ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারী তৎকালীন স্কুল পরিচালনা কমিটি তাকে বরখাস্ত করেন।
স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে, বিগত ৩ বছর পূর্বেই দুর্ণীতি প্রমাণিত হওয়ায় গাজী নাজমুল হুদাকে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এদিকে গাজী নাজমুল হুদার এই অপচেষ্টার বিরুদ্ধে গত ১৯ আগস্ট সকালে বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটি, শিক্ষক ও অভিভাবকরা একত্র হয়ে প্রতিবাদ সভা করেছে। এসময় নাসিক ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর আয়েশা আক্তার দিনাও উপস্থিত ছিলেন। ওই সভায় তিনি বলেন, দুর্নীতির দায়ের বরখাস্তকৃত সাবেক প্রধান শিক্ষক নাজমুল হুদা প্রায় তিন বছর পর হঠাৎ করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সুযোগকে হাতিয়ার বানিয়ে ভুয়া একটি কাগজ এনে আবারো এই স্কুলে যোগদান করতে চাইছে। আমরা তার কাছে শিক্ষক হিসেবে এমন অপকর্ম আশা করিনা। এটা নোংরামি ছাড়া আর কিছুইনা। এই স্কুলে পুণরায় এই শিক্ষক বসলে স্কুলের সুনাম নষ্ট হয়ে ধুলিস্বাৎ হয়ে যাবে। তাকে কখনো কোনভাবেই এখানে এলাও করা হবে না। সে যে দুর্ণীতি করেছে, তা সে নিজের মুখে স্বীকার করেছে। তাকে পূণরায় এই স্কুলে বসিয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করতে চাইনা।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার ইউনুছ ফারুকী জানান, ওনার নামে অনেক আগে থেকেই অভিযোগ। তার বিষয়ে তদন্তও হয়েছে। সেটা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডেও পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকেও তারা নিজেরা কর্মকর্তা দিয়ে তদন্ত করেছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ড বলছে যে, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তাই তাকে পুণর্বহাল রেখে স্বপদে যোগদান করে ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছিল ম্যানেজিং কমিটিকে। এখন স্কুল কমিটি তাকে যোগদান করতে দিচ্ছেনা বলে তিনি ডিসি স্যারের কাছে অভিযোগ করেছে। সেই আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো।
এসকে মাল্টিমিডিয়া থেকে প্রকাশিত "প্রতিদিনের নিউজ ডটকম" হেড অফিস: ৫৩/এ নয়া পল্টন এক্সটেনশন রোড ঢাকা-১২০০। মোবাইল ০১৯৩০ ১৭২ ৫২০, ০১৩১৪ ১৬৮ ৬৪৪ । আঞ্চলিক অফিস: হাজী রজ্জব আলী সুপার মার্কেট (নিচ তলা) চিটাগাংরোড, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ। Email:protidinernews24@gmail
সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না