নারায়ণগঞ্জে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের হেফাজতে এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ
- আপডেট সময় : ১০:১১:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৫৯
সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :
নারায়ণগঞ্জ জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের হেফাজতে সৈয়দ নুরুল করিম (৫৫) নামে এক ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা একটি বাস থেকে মাদক পাচারকারি সন্দেহে আটক করে সৈয়দ নুরুল কবিরকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গাড়িতে তুলে জিজ্ঞাসাবাদের সময় মারা যায় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা নুরুল কবিরের লাশ খানপুর তিনশ শয্যা হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। তবে সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় নারায়ণগঞ্জ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ রিফাত হোসেন বলেন, ঐ ব্যক্তি স্টোক করে মারা গেছেন। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
স্থানীয়রা প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, রবিবার সকালে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা গ্রীনলাইন পরিবহনের একটি ডাবল ডেকার বাসাটি সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে এলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে একটি টিম বাসটি থামায়। এসময় টিমের সদস্যরা গাড়ি থেকে মাদক পাচারবকারি সন্দেহে যাত্রী সৈয়দ নুরুল কবিরকে বাস থেকে নামিয়ে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গাড়িতে তুলে হাত বেধে ফেলে। এ সময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের কর্মকর্তারা মারধর করে বলে অভিযোগ রয়েছে। মারধরের এক পর্যায়ে নুরুল কবির অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রথমে প্রো অ্যাকটিভ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরে খানপুর তিনশ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে আসে। খানপুর তিনশ শয্যা হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক অপু সাহা সাংবাদিকদের জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই সৈয়দ নুরুল কবির মারা গেছেন। এদিকে খবর পেয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা খানপুর তিনশ শয্যা হাসপাতালে গেলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা লাশ হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। সংবাদকর্মীরা র্দীঘ তিন ঘন্টা হাসপাতালে অপেক্ষা করলে তারা কেউ আসেনি। পরে লিংক রোডের ফতুল্লা স্টেডিয়ামের পাশে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অফিসে গেলেও তারা কথা বলতে নানা টালবাহানা করে।
এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক জয়নাল আবেদীনকে একাধিকবার কলা করা হলেও তিনি বার বার কলটি কেটে দেন। অবশ্য তিনি সাংবাদিকদের কাছে মারধরের অভিযোগটি অস্বীকার করেন। পরে এ বিষয়টি জানতে উপ-পরিচালক মো. রবিউল ইসলামকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ রিফাত হোসেন বলেন, ঐ ব্যক্তি স্টোক করে মারা গেছেন। লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তার বিরুদ্ধে কয়টি মামলা রয়েছে তা জানতে পারিনি।