০১:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নেত্রকোনায় শিশু ধর্ষক গ্রেপ্তার

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৮:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৪৪

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রিপন কান্তি গুণ :

নেত্রকোনার মদনে উপজেলায় মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার প্রধান আসামি বকুল মিয়াকে (৫০) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৪। র‌্যাব-১৪ এর কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মো. আশরাফুল কবির আজ (৮ সেপ্টেম্বর) রবিবার দুপুরে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

র‌্যাবের দেওয়া তথ্যমতে জানাগেছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাত ১টার দিকে পুলিশের সহায়তায় কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার দামিয়া ইউনিয়নের চকপাড়া এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বকুল মিয়াকে আটক করতে সক্ষম হয় র‌্যাব। আটককৃত ধর্ষক বকুল মিয়া নেত্রকোনার মদন উপজেলার পাঁচ আলমশ্রী গ্রামের মৃত গোলাম হোসেনের ছেলে।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, মদন উপজেলার দরিদ্র পরিবারের ১২ বছর বয়সী শিশুটি মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। গত ২৯ আগস্ট দুপুরে মাদরাসা থেকে ভুক্তভোগী শিশুটি বাড়িতে আসে। শিশুটির বাবা তাকে রেখে বাজারে এবং ভুক্তভোগীর দুই বছর বয়সী ছোট বোনকে নিয়ে তার মা নানার বাড়িতে যান। শিশুটির মা-বাবা বাড়িতে না থাকার সুযোগে মাদ্রাসা থেকে ফেরার পর অভিযুক্ত বকুল মিয়া ভুক্তভোগী মেয়েটিকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। পরে শিশুটিকে ঘরে ভিতরে নিয়ে দরজা বন্ধ করে গামছা দিয়ে মুখ ও ওড়না দিয়ে হাত-পা বেঁধে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

ধর্ষণের পর শিশু মেয়েটিকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষক বলে, ‘একথা যেন কারো কাছে না বলে, বললে প্রাণে মেরে ফেলবো।’ ভুক্তভোগী মা, বাড়িতে ফিরে আসার পর শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে শিশুটি তার মা’র কাছে ঘটনাটি খুলে বলে। এ ঘটনার পর গত ২ সেপ্টেম্বর দুপুরে ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে মদন থানায় বকুল মিয়াকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে এজাহারনামীয় প্রধান আসামি বকুল মিয়া নিজেকে বাঁচাতে বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন।

সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে র‌্যাব-১৪ এর একটি দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মদন থানা পুলিশের সহযোগিতায় আসামির অবস্থান চিহ্নিত করে অভিযান চালায়। পরে শনিবার রাতে তাড়াইল থানা থেকে অভিযুক্ত আসামি বকুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

র‌্যাব জানায়, আটককৃত আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এ বিষয়ে মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।(ওসি) মাহমুদুল হক বলেন, মোবাইল নাম্বার ট্রেকিং এর মাধ্যম তার অবস্থান চিহ্নিত করা হয়। পরে র‌্যাব-১৪ এর সহযোগিতায় তাঁকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। আসামিকে নেত্রকোনার জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

নেত্রকোনায় শিশু ধর্ষক গ্রেপ্তার

আপডেট সময় : ০৬:৩৮:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রিপন কান্তি গুণ :

নেত্রকোনার মদনে উপজেলায় মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার প্রধান আসামি বকুল মিয়াকে (৫০) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৪। র‌্যাব-১৪ এর কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মো. আশরাফুল কবির আজ (৮ সেপ্টেম্বর) রবিবার দুপুরে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

র‌্যাবের দেওয়া তথ্যমতে জানাগেছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাত ১টার দিকে পুলিশের সহায়তায় কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার দামিয়া ইউনিয়নের চকপাড়া এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বকুল মিয়াকে আটক করতে সক্ষম হয় র‌্যাব। আটককৃত ধর্ষক বকুল মিয়া নেত্রকোনার মদন উপজেলার পাঁচ আলমশ্রী গ্রামের মৃত গোলাম হোসেনের ছেলে।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, মদন উপজেলার দরিদ্র পরিবারের ১২ বছর বয়সী শিশুটি মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। গত ২৯ আগস্ট দুপুরে মাদরাসা থেকে ভুক্তভোগী শিশুটি বাড়িতে আসে। শিশুটির বাবা তাকে রেখে বাজারে এবং ভুক্তভোগীর দুই বছর বয়সী ছোট বোনকে নিয়ে তার মা নানার বাড়িতে যান। শিশুটির মা-বাবা বাড়িতে না থাকার সুযোগে মাদ্রাসা থেকে ফেরার পর অভিযুক্ত বকুল মিয়া ভুক্তভোগী মেয়েটিকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। পরে শিশুটিকে ঘরে ভিতরে নিয়ে দরজা বন্ধ করে গামছা দিয়ে মুখ ও ওড়না দিয়ে হাত-পা বেঁধে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

ধর্ষণের পর শিশু মেয়েটিকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষক বলে, ‘একথা যেন কারো কাছে না বলে, বললে প্রাণে মেরে ফেলবো।’ ভুক্তভোগী মা, বাড়িতে ফিরে আসার পর শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে শিশুটি তার মা’র কাছে ঘটনাটি খুলে বলে। এ ঘটনার পর গত ২ সেপ্টেম্বর দুপুরে ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে মদন থানায় বকুল মিয়াকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে এজাহারনামীয় প্রধান আসামি বকুল মিয়া নিজেকে বাঁচাতে বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন।

সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে র‌্যাব-১৪ এর একটি দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মদন থানা পুলিশের সহযোগিতায় আসামির অবস্থান চিহ্নিত করে অভিযান চালায়। পরে শনিবার রাতে তাড়াইল থানা থেকে অভিযুক্ত আসামি বকুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

র‌্যাব জানায়, আটককৃত আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এ বিষয়ে মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।(ওসি) মাহমুদুল হক বলেন, মোবাইল নাম্বার ট্রেকিং এর মাধ্যম তার অবস্থান চিহ্নিত করা হয়। পরে র‌্যাব-১৪ এর সহযোগিতায় তাঁকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। আসামিকে নেত্রকোনার জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন