০৩:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

যে নিজেকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করতে পারলো; আর জান্নাত লাভ করতে পারলো সেই সফল মানুষ: মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৮:১৯:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৩৪

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :

গিয়াস উদ্দিন ইসলামিক মডেল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, আপনার ছেলে-মেয়ে ১০টা শ্রেণীতে পড়ে এগারতম শ্রেণীতে আসছে, ১০টা বছরই সে পাস করেছে, ১০টা ক্লাসে। তো ক্লাসে পাস করার পরে পিতা-মাতা তখন মনে করেছেন না যে, আমার সন্তান সফলতা অর্জন করেছে। যদি ক্লাসে ফার্স্ট-সেকেন্ড হয়ে থাকলে তো আরো ভালো সফলতা অর্জন করেছে। এখনও চাচ্ছেন আপনারা ভাল রেজাল্ট করে সফলতা অর্জন করুক। এরপর যদি চাকরির ক্ষেত্রে কম্পিটিশন করে ভাল একটা চাকরি পায়। তখন বলবেন না যে, আমরা ছেলে সফল, আমরা সফল। এরপর যদি গাড়ী-বাড়ি করে বলবেন না, আপনার ছেলে সফল। এই যে সফলতা।

আমরা প্রতিবছরই দেখি একটা স্তরের সফলতা এবং এই স্তরের সফলতা নিয়ে আমরা খুব গর্বিত হই, আনন্দিত হই। কিন্তু যে স্রষ্টা আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, যে আমাদের চলার বিধান তৈরী করে দিয়েছেন, সেই স্রষ্টা একটা সজ্ঞা দিয়ে দিয়েছেন পবিত্র কোরআনে, সফলতার সজ্ঞা। সেই সজ্ঞাটি হচ্ছে এই, ‘সেই সফল যে, নিজেকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করতে পারলো আর জান্নাত লাভ করতে পারলো, সেই সফল মানুষ।’ তাহলে চুড়ান্ত সফলতা কোন জায়গায়? এই পৃথিবীতে নয়, আরেক পৃথিবী আমাদের সামনে রয়ে গেছে। যারা ধর্ম বিশ^াস করি, সেটা হিন্দু হোক, খ্রিষ্টান হোক, বৌদ্য হোক, পরকাল সবাই বিশ^াস করে। তাহলে সকল পরীক্ষা দিতে দিতে একটা ফাইনাল পরীক্ষায় আমদেরকে অবতীর্ণ হতে হবে পরকালে। ওই পরীক্ষায় সফলতা হল চুড়ান্ত সফলতা। আর বাকি যে সফলতাগুলো স্তরে স্তরে হচ্ছে এগুলো খন্ডিত, একটা সময়ের, একটা স্তরের।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিলস্থ গিয়াসউদ্দিন ইসলামি মডেল কলেজের ১ম অভিভাবক মত বিনিয়ম সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, আপনার আমার ছেলে-মেয়ে শিশুকালেও যদি সামনে একটা মোমবাতি জ্বালানো  আছে, বাচ্চাটা বুঝে না, জ¦লন্ত মোমবাতিতে যদি হাত দিতে চায় তাহলে আপনি-আমি সামনে থাকলে কি করবেন? তার হাত ধরে ফেলব যাতে তার হাত পুড়ে না যায়। যদি মোমবাতির আগুনে ওর হতটা যায়, ও জ্বালে যাবে। ওর চাইতে ব্যাথা আপনি-আমি পাব না? তাহলে এই মোমবাতির সামান্য আগুনের সামনে ওর হাত গেলে কিংবা পুড়ে গেলে আপনি-আমি পাগল হয়ে যাই। একবার চিন্তা করেন তো? শেষ বিচারে যে, জাহান্নামে যাবে, ওই জাহান্নামের আগুনটা কি? কোরআনে বর্ণনা দেওয়া আছে, ‘মানুষ জ¦লবে, তার দেহ থেকে যে তৈল বেড়িয়ে আসবে ওই তৈল আর প্রচন্ড প্রচন্ড শিলাখন্ড বা পাথর, এইগুলি প্রজ্জ¦লিত হবে, সেই আগুনে জাহান্নামীকে ফেলে দেয়া হবে। সে আগুনে কে জ¦লবে? যে জাহান্নামী হবে। তাহলে আপনাকে-আমাকে তো প্রথম চিন্ত করা দরকার সামন্য আগুনে আমার সন্তান গেলে পাগল প্রায় হয়ে যাব আর জাহান্নামে যদি আপনার-আমার ছেলে-মেয়ে যায় তাহলে সেদিনকার জন্য কেমন পাগলপ্রায় হতে হবে। এখন কেন ভাবি না? এখন কেন ভাবি দুনিয়ার সফলতা। ও ভাল রেজাল্ট করবে, ভাল চাকরি করবে, বিয়ে করবে, গাড়ী-বাড়ি করবে। কেন ভাবি? সেই দিন অনেকেই আটকা পরে যাবে। এই যে পড়া-লেখা করে জ্ঞান অর্জন করছি, আমাদেরকে মনে রাখতে হবে, সেই জ্ঞান সর্বোত্তম, যেই জ্ঞান আমাকে সফলতার চুড়ান্ত শিক্ষা দিবে এবং সেই শিক্ষা নিয়েই আমি কর্মময় জীবন পরিচালনা করে সফলতা অর্জন করতে পারব। সেই শিক্ষাই আমর কাম্য হওয়া উচিৎ।

গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক মডেল কলেজের উপাধ্যক্ষ মীর মোসাদ্দেক হোসেনের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক অগ্রবানী পত্রিকার সম্পাদক হারুন-অর-রশীদ চৌধুরী স্বপন, শিক্ষক আবু তাহের, আবু তালেব, উমর ফারুক, রাজিব আহম্মেদসহ আরো অনেকে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

যে নিজেকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করতে পারলো; আর জান্নাত লাভ করতে পারলো সেই সফল মানুষ: মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন

আপডেট সময় : ০৮:১৯:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :

গিয়াস উদ্দিন ইসলামিক মডেল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, আপনার ছেলে-মেয়ে ১০টা শ্রেণীতে পড়ে এগারতম শ্রেণীতে আসছে, ১০টা বছরই সে পাস করেছে, ১০টা ক্লাসে। তো ক্লাসে পাস করার পরে পিতা-মাতা তখন মনে করেছেন না যে, আমার সন্তান সফলতা অর্জন করেছে। যদি ক্লাসে ফার্স্ট-সেকেন্ড হয়ে থাকলে তো আরো ভালো সফলতা অর্জন করেছে। এখনও চাচ্ছেন আপনারা ভাল রেজাল্ট করে সফলতা অর্জন করুক। এরপর যদি চাকরির ক্ষেত্রে কম্পিটিশন করে ভাল একটা চাকরি পায়। তখন বলবেন না যে, আমরা ছেলে সফল, আমরা সফল। এরপর যদি গাড়ী-বাড়ি করে বলবেন না, আপনার ছেলে সফল। এই যে সফলতা।

আমরা প্রতিবছরই দেখি একটা স্তরের সফলতা এবং এই স্তরের সফলতা নিয়ে আমরা খুব গর্বিত হই, আনন্দিত হই। কিন্তু যে স্রষ্টা আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, যে আমাদের চলার বিধান তৈরী করে দিয়েছেন, সেই স্রষ্টা একটা সজ্ঞা দিয়ে দিয়েছেন পবিত্র কোরআনে, সফলতার সজ্ঞা। সেই সজ্ঞাটি হচ্ছে এই, ‘সেই সফল যে, নিজেকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করতে পারলো আর জান্নাত লাভ করতে পারলো, সেই সফল মানুষ।’ তাহলে চুড়ান্ত সফলতা কোন জায়গায়? এই পৃথিবীতে নয়, আরেক পৃথিবী আমাদের সামনে রয়ে গেছে। যারা ধর্ম বিশ^াস করি, সেটা হিন্দু হোক, খ্রিষ্টান হোক, বৌদ্য হোক, পরকাল সবাই বিশ^াস করে। তাহলে সকল পরীক্ষা দিতে দিতে একটা ফাইনাল পরীক্ষায় আমদেরকে অবতীর্ণ হতে হবে পরকালে। ওই পরীক্ষায় সফলতা হল চুড়ান্ত সফলতা। আর বাকি যে সফলতাগুলো স্তরে স্তরে হচ্ছে এগুলো খন্ডিত, একটা সময়ের, একটা স্তরের।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিলস্থ গিয়াসউদ্দিন ইসলামি মডেল কলেজের ১ম অভিভাবক মত বিনিয়ম সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, আপনার আমার ছেলে-মেয়ে শিশুকালেও যদি সামনে একটা মোমবাতি জ্বালানো  আছে, বাচ্চাটা বুঝে না, জ¦লন্ত মোমবাতিতে যদি হাত দিতে চায় তাহলে আপনি-আমি সামনে থাকলে কি করবেন? তার হাত ধরে ফেলব যাতে তার হাত পুড়ে না যায়। যদি মোমবাতির আগুনে ওর হতটা যায়, ও জ্বালে যাবে। ওর চাইতে ব্যাথা আপনি-আমি পাব না? তাহলে এই মোমবাতির সামান্য আগুনের সামনে ওর হাত গেলে কিংবা পুড়ে গেলে আপনি-আমি পাগল হয়ে যাই। একবার চিন্তা করেন তো? শেষ বিচারে যে, জাহান্নামে যাবে, ওই জাহান্নামের আগুনটা কি? কোরআনে বর্ণনা দেওয়া আছে, ‘মানুষ জ¦লবে, তার দেহ থেকে যে তৈল বেড়িয়ে আসবে ওই তৈল আর প্রচন্ড প্রচন্ড শিলাখন্ড বা পাথর, এইগুলি প্রজ্জ¦লিত হবে, সেই আগুনে জাহান্নামীকে ফেলে দেয়া হবে। সে আগুনে কে জ¦লবে? যে জাহান্নামী হবে। তাহলে আপনাকে-আমাকে তো প্রথম চিন্ত করা দরকার সামন্য আগুনে আমার সন্তান গেলে পাগল প্রায় হয়ে যাব আর জাহান্নামে যদি আপনার-আমার ছেলে-মেয়ে যায় তাহলে সেদিনকার জন্য কেমন পাগলপ্রায় হতে হবে। এখন কেন ভাবি না? এখন কেন ভাবি দুনিয়ার সফলতা। ও ভাল রেজাল্ট করবে, ভাল চাকরি করবে, বিয়ে করবে, গাড়ী-বাড়ি করবে। কেন ভাবি? সেই দিন অনেকেই আটকা পরে যাবে। এই যে পড়া-লেখা করে জ্ঞান অর্জন করছি, আমাদেরকে মনে রাখতে হবে, সেই জ্ঞান সর্বোত্তম, যেই জ্ঞান আমাকে সফলতার চুড়ান্ত শিক্ষা দিবে এবং সেই শিক্ষা নিয়েই আমি কর্মময় জীবন পরিচালনা করে সফলতা অর্জন করতে পারব। সেই শিক্ষাই আমর কাম্য হওয়া উচিৎ।

গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক মডেল কলেজের উপাধ্যক্ষ মীর মোসাদ্দেক হোসেনের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক অগ্রবানী পত্রিকার সম্পাদক হারুন-অর-রশীদ চৌধুরী স্বপন, শিক্ষক আবু তাহের, আবু তালেব, উমর ফারুক, রাজিব আহম্মেদসহ আরো অনেকে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন