১১:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

রামগঞ্জে বন্যার ভয়াবহতা,পানিবন্দি ২ লাখেরও বেশি মানুষ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৭:০২:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৫৩

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মোহাম্মদ আলীম :

লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার বেশিরভাগ এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত। ডুবে গেছে রাস্তা-ঘাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা, স্কুল কলেজ মাঠে হাঁটুপানি। নৌকাই এখন একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষের। সারাদিনের কাজ শেষে নৌকায় চড়ে বাড়ি ফিরতে বাধ্য এলাকার বাসিন্দারা।

আজ শুক্রবার সকালে এমনই এক চিত্র লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার লামচর ইউনিয়নের পশ্চিম কাশিম নগর এলাকায়, যেখানে বন্যার ভয়াবহতা এখনও স্পষ্ট। এছাড়াও করপাড়া,ইছাপুর, ভাদুর, চন্ডীপুর,ভাটরা ইউনিয়নে দেখা গেছে একই চিত্র।

বন্যার পানি অন্য এলাকায় কিছুটা কমলেও এই অঞ্চলের পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। দুই লাখেরও বেশি মানুষ এখনও পানিবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। এ অবস্থায় চুরি ও ডাকাতির ভয়ে অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে চাচ্ছেন না বেশিরভাগ লোকজন। নিজেদের ঘরবাড়ি ও প্রয়োজনীয় কিছু সামগ্রী রক্ষার জন্য ঝুঁকি নিয়েই পানির মধ্যে বাস করছেন তারা।

স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য আরও বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে দৈনন্দিন খাদ্য সংস্থান ও রান্না। বন্যার কারণে সৃষ্ট সংকটে অনেকের রান্নার উপকরণ ফুরিয়ে আসছে, খাবারের অভাব দেখা দিচ্ছে, এবং গবাদি পশুগুলোর দেখাশোনা করতেও হিমশিম খাচ্ছেন তারা।

পশ্চিম কাশিমনগর এলাকার বাসিন্দারা জানান, উপজেলার পশ্চিম কাশিম নগরের বেশিরভাগ জায়গা এখন পানির নিচে, যার ফলে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। রাস্তা-ঘাট প্লাবিত হওয়ায় মানুষজন নৌকার মাধ্যমে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে এই দুর্যোগের মাঝেও অনেকেই ভিন্ন কোথাও আশ্রয় নিতে পারছেন না চুরি ও ডাকাতির আতঙ্কে যদিও ঘরে থাকা এখন নিরাপদ নয়। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে গবাদি পশু নিয়ে যাওয়ার সুবিধাও সেখানে নেই, যা স্থানীয় কৃষক ও পশুপালকদের জন্য বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বন্যার ভয়াবহতা এবং এই ক্রান্তিকালে বেঁচে থাকার সংগ্রামে প্রতিনিয়ত নানা সংকটের মুখোমুখি হচ্ছেন রামগঞ্জের মানুষ। এই মুহূর্তে তারা অপেক্ষা করছেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার জন্য। তবে কবে সেই পরিস্থিতি বদলাবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।

রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা.শারমিন ইসলাম জানান, দ্রুত পানি নামার জন্য আমরা প্রায় শতাধীক বাধ কেটে দিয়েছি। এ উপজেলার অভিশাপ রামগঞ্জ বিরেন্দ্র খাল সংস্কার ও পরিস্কারে আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। খালের ময়লা অপসারন করা হচ্ছে, আশা করছি দ্রুত ফলাফল পাবো।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

রামগঞ্জে বন্যার ভয়াবহতা,পানিবন্দি ২ লাখেরও বেশি মানুষ

আপডেট সময় : ০৭:০২:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মোহাম্মদ আলীম :

লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার বেশিরভাগ এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত। ডুবে গেছে রাস্তা-ঘাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা, স্কুল কলেজ মাঠে হাঁটুপানি। নৌকাই এখন একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষের। সারাদিনের কাজ শেষে নৌকায় চড়ে বাড়ি ফিরতে বাধ্য এলাকার বাসিন্দারা।

আজ শুক্রবার সকালে এমনই এক চিত্র লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার লামচর ইউনিয়নের পশ্চিম কাশিম নগর এলাকায়, যেখানে বন্যার ভয়াবহতা এখনও স্পষ্ট। এছাড়াও করপাড়া,ইছাপুর, ভাদুর, চন্ডীপুর,ভাটরা ইউনিয়নে দেখা গেছে একই চিত্র।

বন্যার পানি অন্য এলাকায় কিছুটা কমলেও এই অঞ্চলের পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। দুই লাখেরও বেশি মানুষ এখনও পানিবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। এ অবস্থায় চুরি ও ডাকাতির ভয়ে অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে চাচ্ছেন না বেশিরভাগ লোকজন। নিজেদের ঘরবাড়ি ও প্রয়োজনীয় কিছু সামগ্রী রক্ষার জন্য ঝুঁকি নিয়েই পানির মধ্যে বাস করছেন তারা।

স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য আরও বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে দৈনন্দিন খাদ্য সংস্থান ও রান্না। বন্যার কারণে সৃষ্ট সংকটে অনেকের রান্নার উপকরণ ফুরিয়ে আসছে, খাবারের অভাব দেখা দিচ্ছে, এবং গবাদি পশুগুলোর দেখাশোনা করতেও হিমশিম খাচ্ছেন তারা।

পশ্চিম কাশিমনগর এলাকার বাসিন্দারা জানান, উপজেলার পশ্চিম কাশিম নগরের বেশিরভাগ জায়গা এখন পানির নিচে, যার ফলে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। রাস্তা-ঘাট প্লাবিত হওয়ায় মানুষজন নৌকার মাধ্যমে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে এই দুর্যোগের মাঝেও অনেকেই ভিন্ন কোথাও আশ্রয় নিতে পারছেন না চুরি ও ডাকাতির আতঙ্কে যদিও ঘরে থাকা এখন নিরাপদ নয়। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে গবাদি পশু নিয়ে যাওয়ার সুবিধাও সেখানে নেই, যা স্থানীয় কৃষক ও পশুপালকদের জন্য বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বন্যার ভয়াবহতা এবং এই ক্রান্তিকালে বেঁচে থাকার সংগ্রামে প্রতিনিয়ত নানা সংকটের মুখোমুখি হচ্ছেন রামগঞ্জের মানুষ। এই মুহূর্তে তারা অপেক্ষা করছেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার জন্য। তবে কবে সেই পরিস্থিতি বদলাবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।

রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা.শারমিন ইসলাম জানান, দ্রুত পানি নামার জন্য আমরা প্রায় শতাধীক বাধ কেটে দিয়েছি। এ উপজেলার অভিশাপ রামগঞ্জ বিরেন্দ্র খাল সংস্কার ও পরিস্কারে আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। খালের ময়লা অপসারন করা হচ্ছে, আশা করছি দ্রুত ফলাফল পাবো।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন