০৩:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগ ও হেনেস্তা বন্ধের আহবান

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৭:০৬:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১৬৯

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আফজাল হোসেন চাঁদ :

দেশের পূর্বের নিশংস দিন গুলোর প্রতিশোধের রাজনীতিতে মেতে উঠেছে বর্তমানের কিছু সুবিধা ভোগী মানুষ। আর এই মানুষ গুলোর প্রতিহিংসার শিকারে পরিণত করতে যাচ্ছে আমাদের তরুণ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের উপর। যেটা দেখে আমি মর্মাহত। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাওয়া মানুষ গুলোকে লাপাত্তা করে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করার অনুরোধ রইল। দেশের পূর্বের অবস্থার তুলনায় বর্তমানে অবস্থা খুবই সুন্দর। তবে এই সুন্দর করে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রত্যেকটা সৈনিককে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমাদের সমাজে পূর্বের নিষিদ্ধ কার্যক্রম পরিচালনা করা হলেও রাজনৈতিক নেতাদের খবরদারি ও প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে সোনার হরিণ নামক চাকরি নিতে বা কোন প্রতিষ্ঠান বেসরকারি খাত থেকে সরকারিকরণ করতে হয়েছে। যার মাধ্যমে কিছু নেতা, সরকারের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা হয়েছে সাবলম্বী। আর ঘুষ দিয়ে এক বা একাধিক ব্যক্তি পেয়েছে কর্ম নামক সোনার হরিণ। আর এই কর্ম থেকে উপার্জন দিয়ে চলছে তাদের এক একটি পরিবার। কারও জীবন-জীবিকার উপর হস্তক্ষেপ না করে সংশোধনের সুযোগ দেওয়াটা উত্তম।

২৭ আগস্ট সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ প্রশাসন ও সংস্থাপন শাখার ০.০০.০০০০.০৬১.০১৮.১৬.২০১৬-১৯৩ নং স্মারকে উপসচিব সাইফুর রহমান খান এর স্বাক্ষরিত বিদ্যমান পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের সার্বিক সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার বিষয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলের প্রধান বা অন্য আধিকারিকগণের বিরুদ্ধে নানাধরনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের পদত্যাগ/অপসারণের দাবিতে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। কোথাও কোথাও শিক্ষকগণ ব্যক্তিগতভাবে হেনস্তার শিকার হয়েছেন এবং স্থানীয় আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। এরূপ অবস্থা মোটেই কাম্য নয়। উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ভিসি, প্রো-ভিসি বা অন্যান্য কর্মকর্তা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে পারেন এবং প্রয়োজনে মহামান্য চ্যান্সেলর তাদেরকে আইনানুযায়ী অপসারণ করতে পারেন। সরকারি স্কুল-কলেজের মতো প্রতিষ্ঠানের প্রধান বা অন্যদেরকে এই বিভাগ বা মাউশি প্রয়োজনে বদলিসহ তদন্তক্রমে সরকারি কর্মচারীগণের জন্য প্রযোজ্য অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। অনুরূপভাবে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও স্কুল ম্যানেজিং কমিটি/ গভর্নিং বডি/ মাউশি কর্তৃক বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে উক্ত শিক্ষক/ কর্মকর্তার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রেরণ করলে সংশ্লিষ্ট বিভাগ/ দপ্তর তদন্ত বা অনুসন্ধান সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। শিক্ষা ব্যবস্থাপনা ও শিক্ষাঙ্গণের পরিবেশের উন্নতিবিধানে বাংলাদেশের জনপ্রশাসন সর্বদাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট অংশিজন প্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ রেখে সার্বিক সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার বিষয়টি তদারকি এবং প্রয়োজনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগকে অবহিত করার জন্য জেলা প্রশাসকগণকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়।

এছাড়াও একই মন্ত্রণালয়ের শাখার উপোরোক্ত স্মারকের পরিপেক্ষিতে ৩সেপ্টেম্বর ৩৭,০০,০০০০,০৮১,০১৮.১৬.২০১৬-১৯৯ নং স্মারকে একই কর্মকর্তা শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগ ও হেনস্তা বন্ধ করার বিষয়ে, দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলের প্রধান বা অন্য আধিকারিকগণকে বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে পদত্যাগ/ অপসারণের ঘটনা ঘটায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট অংশিজন প্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ রেখে সার্বিক সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার বিষয়টি তদারকি এবং প্রয়োজনে এ বিভাগকে অবহিত করার জন্য জেলা প্রশাসকগণকে অনুরোধ করে পর জারি করা হয়। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে এখনও শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগ ও নানাভাবে হেনস্থা করার ঘটনা ঘটছে যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ বিষয়ে মাননীয় শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা জনাব ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং এ ধরনের কার্যক্রম বন্ধের আহবান জানিয়েছেন। মাননীয় উপদেষ্টা মহোদয় আরো নির্দেশনা প্রদান করেছেন যে, যেসব শিক্ষক ও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অপকর্মের অভিযোগ আছে তা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। বেআইনী ও অপরাধমূলক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণকারী এবং শৃঙ্খলাভঙ্গকারীদের চিহ্নিত করে প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ইতোমধ্যে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের নিজেদের স্বার্থেই নিজ নিজ শিক্ষাঙ্গনে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা প্রয়োজন। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের এবং সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।

তাহলে এবার কোন শিক্ষক অন্যায় সাথে সংযুক্ত হলে প্রশাসন সেটার উপর তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নিবে, কারণ প্রশাসনের সেটা দায়িত্ব। কিন্তু সেই শিক্ষক যদিও ন্যায়-অন্যায়ের বিচারে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় পূর্বে তারই জ্ঞান বা শিক্ষা দেওয়া শিক্ষার্থী যদি পিতা /অভিভাবক সমতুল্য শিক্ষকের নিয়ে কটুক্তি, গায়ে হাত তোলা বা পদত্যাগের জন্য বাধ্য করা হয়। তাহলে আজ সেই শিক্ষকের মর্যাদা কোথায়? যিনি একটি অক্ষর শিখিয়েছেন তিনিও শিক্ষক সম্মানের পাত্র। আশাকরি এবিষয়ে অভিভাবক বৃন্দ তাদের সন্তানদের সঠিক পরামর্শ দিবেন। আমরা সবাই এই দেশের নাগরিক, আমরা সবাই চাই মিলে মিশে একে অপরের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে থাকুন।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগ ও হেনেস্তা বন্ধের আহবান

আপডেট সময় : ০৭:০৬:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আফজাল হোসেন চাঁদ :

দেশের পূর্বের নিশংস দিন গুলোর প্রতিশোধের রাজনীতিতে মেতে উঠেছে বর্তমানের কিছু সুবিধা ভোগী মানুষ। আর এই মানুষ গুলোর প্রতিহিংসার শিকারে পরিণত করতে যাচ্ছে আমাদের তরুণ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের উপর। যেটা দেখে আমি মর্মাহত। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাওয়া মানুষ গুলোকে লাপাত্তা করে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করার অনুরোধ রইল। দেশের পূর্বের অবস্থার তুলনায় বর্তমানে অবস্থা খুবই সুন্দর। তবে এই সুন্দর করে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রত্যেকটা সৈনিককে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমাদের সমাজে পূর্বের নিষিদ্ধ কার্যক্রম পরিচালনা করা হলেও রাজনৈতিক নেতাদের খবরদারি ও প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে সোনার হরিণ নামক চাকরি নিতে বা কোন প্রতিষ্ঠান বেসরকারি খাত থেকে সরকারিকরণ করতে হয়েছে। যার মাধ্যমে কিছু নেতা, সরকারের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা হয়েছে সাবলম্বী। আর ঘুষ দিয়ে এক বা একাধিক ব্যক্তি পেয়েছে কর্ম নামক সোনার হরিণ। আর এই কর্ম থেকে উপার্জন দিয়ে চলছে তাদের এক একটি পরিবার। কারও জীবন-জীবিকার উপর হস্তক্ষেপ না করে সংশোধনের সুযোগ দেওয়াটা উত্তম।

২৭ আগস্ট সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ প্রশাসন ও সংস্থাপন শাখার ০.০০.০০০০.০৬১.০১৮.১৬.২০১৬-১৯৩ নং স্মারকে উপসচিব সাইফুর রহমান খান এর স্বাক্ষরিত বিদ্যমান পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের সার্বিক সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার বিষয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলের প্রধান বা অন্য আধিকারিকগণের বিরুদ্ধে নানাধরনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের পদত্যাগ/অপসারণের দাবিতে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। কোথাও কোথাও শিক্ষকগণ ব্যক্তিগতভাবে হেনস্তার শিকার হয়েছেন এবং স্থানীয় আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। এরূপ অবস্থা মোটেই কাম্য নয়। উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ভিসি, প্রো-ভিসি বা অন্যান্য কর্মকর্তা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে পারেন এবং প্রয়োজনে মহামান্য চ্যান্সেলর তাদেরকে আইনানুযায়ী অপসারণ করতে পারেন। সরকারি স্কুল-কলেজের মতো প্রতিষ্ঠানের প্রধান বা অন্যদেরকে এই বিভাগ বা মাউশি প্রয়োজনে বদলিসহ তদন্তক্রমে সরকারি কর্মচারীগণের জন্য প্রযোজ্য অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। অনুরূপভাবে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও স্কুল ম্যানেজিং কমিটি/ গভর্নিং বডি/ মাউশি কর্তৃক বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে উক্ত শিক্ষক/ কর্মকর্তার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রেরণ করলে সংশ্লিষ্ট বিভাগ/ দপ্তর তদন্ত বা অনুসন্ধান সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। শিক্ষা ব্যবস্থাপনা ও শিক্ষাঙ্গণের পরিবেশের উন্নতিবিধানে বাংলাদেশের জনপ্রশাসন সর্বদাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট অংশিজন প্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ রেখে সার্বিক সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার বিষয়টি তদারকি এবং প্রয়োজনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগকে অবহিত করার জন্য জেলা প্রশাসকগণকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়।

এছাড়াও একই মন্ত্রণালয়ের শাখার উপোরোক্ত স্মারকের পরিপেক্ষিতে ৩সেপ্টেম্বর ৩৭,০০,০০০০,০৮১,০১৮.১৬.২০১৬-১৯৯ নং স্মারকে একই কর্মকর্তা শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগ ও হেনস্তা বন্ধ করার বিষয়ে, দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলের প্রধান বা অন্য আধিকারিকগণকে বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে পদত্যাগ/ অপসারণের ঘটনা ঘটায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট অংশিজন প্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ রেখে সার্বিক সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার বিষয়টি তদারকি এবং প্রয়োজনে এ বিভাগকে অবহিত করার জন্য জেলা প্রশাসকগণকে অনুরোধ করে পর জারি করা হয়। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে এখনও শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগ ও নানাভাবে হেনস্থা করার ঘটনা ঘটছে যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ বিষয়ে মাননীয় শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা জনাব ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং এ ধরনের কার্যক্রম বন্ধের আহবান জানিয়েছেন। মাননীয় উপদেষ্টা মহোদয় আরো নির্দেশনা প্রদান করেছেন যে, যেসব শিক্ষক ও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অপকর্মের অভিযোগ আছে তা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। বেআইনী ও অপরাধমূলক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণকারী এবং শৃঙ্খলাভঙ্গকারীদের চিহ্নিত করে প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ইতোমধ্যে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের নিজেদের স্বার্থেই নিজ নিজ শিক্ষাঙ্গনে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা প্রয়োজন। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের এবং সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।

তাহলে এবার কোন শিক্ষক অন্যায় সাথে সংযুক্ত হলে প্রশাসন সেটার উপর তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নিবে, কারণ প্রশাসনের সেটা দায়িত্ব। কিন্তু সেই শিক্ষক যদিও ন্যায়-অন্যায়ের বিচারে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় পূর্বে তারই জ্ঞান বা শিক্ষা দেওয়া শিক্ষার্থী যদি পিতা /অভিভাবক সমতুল্য শিক্ষকের নিয়ে কটুক্তি, গায়ে হাত তোলা বা পদত্যাগের জন্য বাধ্য করা হয়। তাহলে আজ সেই শিক্ষকের মর্যাদা কোথায়? যিনি একটি অক্ষর শিখিয়েছেন তিনিও শিক্ষক সম্মানের পাত্র। আশাকরি এবিষয়ে অভিভাবক বৃন্দ তাদের সন্তানদের সঠিক পরামর্শ দিবেন। আমরা সবাই এই দেশের নাগরিক, আমরা সবাই চাই মিলে মিশে একে অপরের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে থাকুন।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন