০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নেত্রী আমাকে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়ে ছিলেন ভঙ্গুর শিক্ষা ব্যবস্থাকে ফিরিয়ে আনার জন্য: মিলন

মো. রাছেল, কচুয়া (চাঁদপুর) প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় : ০৭:০৬:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৩৭

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ.ন.ম এহসানুল হক মিলন বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর পর কচুয়ার মাটিতে জনসভা করতে পেরে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। ৫ আগস্ট দেশ নতুন করে দেশ স্বাধীন হয়েছে। আজকে আমার সকল কথা এই কচুয়াবাসীর জন্য বলতে হবে। ছাত্র জনতার যে বিপ্লব ঘটেছে আবু সাঈদ, মুগ্ধসহ কচুয়ার ৩জন সহ হাজার ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত ও যারা আহত হয়েছেন তাদের সুস্থ্যতায় দোয়া কামনা করছি। এই কচুয়ার আসন ছিল আওয়ামী লীগের ঘাটি। স্বাধীনতার পর আমি মিলন এ কচুয়ার আসন পরিবর্তন করেছি। গত ১৭ বছর কারা কচুয়াতে চাঁদাবাজি করেছে আপনারা দেখেছেন। ৫ তারিখের পর আমি ঘোষণা দিয়েছি কচুয়ার বাস স্ট্যান্ড, সিএনজি স্ট্যান্ডসহ আর কোথাও যেন চাঁদাবাজি না হয়। কচুয়ার মানুষ শান্তি প্রিয় মানুষ। গত ১৭ বছর কচুয়ার বিএনপি’র নিবেদিত প্রাণ ছিলেন যারা তাদের মধ্যে কালু, কমিশনার, সোলেমান ভেন্ডার, হক সাহেব, আলী হোসেন অন্যতম ছিলেন। আমি তাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। ফ্যাসিবাদি সরকারের ছাত্র-জনতার পাশাপাশি আমাদের বিএনপি’র নেতাকর্মীরা দুর্বার আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। আপনারা সকলে এক জোট থাকবেন এই ফ্যাসিবাদি হাসিনার দোষরা যেন আর মাঠে উঠতে না পারে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ২০০১ সালে সর্বকনিষ্ঠ এমপি হিসেবে আমাকে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়ে ছিলেন দেশের ভঙ্গুর শিক্ষা ব্যবস্থাকে ফিরিয়ে আনার জন্য। নেত্রীর নির্দেশে আমি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে নকল মুক্ত ঘোষণা করে ছিলাম। সেটা দেশবাসী তথা বিশ^বাসী অবগত রয়েছেন। এসময় হাজার মিলন ভক্ত সমর্থকরা শ্লোগানে মুখরিত করে তুলেন। মিলন ভাই ভয় নাই রাজ পথ ছাড়ি নাই। কচুয়ার মাটি মিলন ভাইয়ের ঘাটি, কচুয়ার মাটি তারেক জিয়ার ঘাটি। জিয়া, খালেদা শ্লোগানে মাঠ কম্পিত হয়ে উঠে।

শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকালে কচুয়া পৌরসভার হযরত শাহ নেয়ামত শাহ উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের আয়োজিত বিশাল জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল আবেদীন স্বপনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ফারুকী ও সহসম্পাদক শারফিন হোসাইন এর যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় মহিলা বিএনপির সহসভাপতি নাজমুন নাহার বেবি, কেন্দ্রীয় ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আজীজ উল্লাহ মাস্টার, আব্দুল মালেক ও আব্দুল খালেক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজালাল প্রধান, সহসম্পাদক মাসুদ এলাহী সুভাস ও ইউসুফ মিয়াজী, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর নওসের আলম প্রমুখ। এসময় বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

নেত্রী আমাকে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়ে ছিলেন ভঙ্গুর শিক্ষা ব্যবস্থাকে ফিরিয়ে আনার জন্য: মিলন

আপডেট সময় : ০৭:০৬:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ.ন.ম এহসানুল হক মিলন বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর পর কচুয়ার মাটিতে জনসভা করতে পেরে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। ৫ আগস্ট দেশ নতুন করে দেশ স্বাধীন হয়েছে। আজকে আমার সকল কথা এই কচুয়াবাসীর জন্য বলতে হবে। ছাত্র জনতার যে বিপ্লব ঘটেছে আবু সাঈদ, মুগ্ধসহ কচুয়ার ৩জন সহ হাজার ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত ও যারা আহত হয়েছেন তাদের সুস্থ্যতায় দোয়া কামনা করছি। এই কচুয়ার আসন ছিল আওয়ামী লীগের ঘাটি। স্বাধীনতার পর আমি মিলন এ কচুয়ার আসন পরিবর্তন করেছি। গত ১৭ বছর কারা কচুয়াতে চাঁদাবাজি করেছে আপনারা দেখেছেন। ৫ তারিখের পর আমি ঘোষণা দিয়েছি কচুয়ার বাস স্ট্যান্ড, সিএনজি স্ট্যান্ডসহ আর কোথাও যেন চাঁদাবাজি না হয়। কচুয়ার মানুষ শান্তি প্রিয় মানুষ। গত ১৭ বছর কচুয়ার বিএনপি’র নিবেদিত প্রাণ ছিলেন যারা তাদের মধ্যে কালু, কমিশনার, সোলেমান ভেন্ডার, হক সাহেব, আলী হোসেন অন্যতম ছিলেন। আমি তাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। ফ্যাসিবাদি সরকারের ছাত্র-জনতার পাশাপাশি আমাদের বিএনপি’র নেতাকর্মীরা দুর্বার আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। আপনারা সকলে এক জোট থাকবেন এই ফ্যাসিবাদি হাসিনার দোষরা যেন আর মাঠে উঠতে না পারে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ২০০১ সালে সর্বকনিষ্ঠ এমপি হিসেবে আমাকে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়ে ছিলেন দেশের ভঙ্গুর শিক্ষা ব্যবস্থাকে ফিরিয়ে আনার জন্য। নেত্রীর নির্দেশে আমি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে নকল মুক্ত ঘোষণা করে ছিলাম। সেটা দেশবাসী তথা বিশ^বাসী অবগত রয়েছেন। এসময় হাজার মিলন ভক্ত সমর্থকরা শ্লোগানে মুখরিত করে তুলেন। মিলন ভাই ভয় নাই রাজ পথ ছাড়ি নাই। কচুয়ার মাটি মিলন ভাইয়ের ঘাটি, কচুয়ার মাটি তারেক জিয়ার ঘাটি। জিয়া, খালেদা শ্লোগানে মাঠ কম্পিত হয়ে উঠে।

শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকালে কচুয়া পৌরসভার হযরত শাহ নেয়ামত শাহ উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের আয়োজিত বিশাল জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল আবেদীন স্বপনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ফারুকী ও সহসম্পাদক শারফিন হোসাইন এর যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় মহিলা বিএনপির সহসভাপতি নাজমুন নাহার বেবি, কেন্দ্রীয় ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আজীজ উল্লাহ মাস্টার, আব্দুল মালেক ও আব্দুল খালেক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজালাল প্রধান, সহসম্পাদক মাসুদ এলাহী সুভাস ও ইউসুফ মিয়াজী, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর নওসের আলম প্রমুখ। এসময় বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন