মতলবে জহির হত্যাকান্ড ১৫ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের
- আপডেট সময় : ১০:০৮:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪
- / ১৩৬
মতলব উত্তর উপজেলার বাগানবাড়ি ইউনিয়নের খাগুরিয়া গ্রামে বাড়ির সীমানা বিরোধের জের ধরে দুপক্ষের সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের হামলায় মো. জহির (৪২) নামে এক ব্যক্তি নিহতের ঘটনায় ১৫জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত আরো ১০/১২জনেকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় খাগুরিয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলাম খলিফার ছেলে বিল্লাল হোসেন (৫৫)কে প্রধান আসামী করা হয়। এ মামলায় এখনো কোন আসামী আটক করা হয়নি। নিহত মো. জহির এর স্ত্রী রিনা বেগম বাদী হয়ে এ ঘটনায় মতলব উত্তর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার বাদ আসর জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান-৩ জানান, মো. জহির হত্যার ঘটনায় থানার একটি হত্যা মামলা হয়েছে। পলাতক আসামীদের আটকের জন্য চেষ্টা অব্যাহত আছে।
মতলব উত্তর উপজেলার বাগানবাড়ি ইউনিয়নের খাগুরিয়া গ্রামে বাড়ির সীমানা বিরোধের জের ধরে দুপক্ষের সংঘর্ষের সময় বিল্লাল হোসেন খলিফাদের হামলায় মো. জহির (৪২) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়। ঘটনার সময় জহিরের ঘাড়ে আঘাত করলে ঘাড় ভেঙ্গে যায়। সাথে সাথেই তিনি নিহত হয়। এ ঘটনায় আরো আহত হয়েছেন চারজন। আহতরা হলেন, একই গ্রামের লতিফ সরকারের ছেলে নজরুল ইসলাম (৩৫), আফজাল মুন্সির ছেলে ওমর ফারুক (২৫), মৃত জমির সরকারের ছেলে নুর মোহাম্মদ (৪০) এবং সাহিদা বেগম (৪৫)।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. জহিরকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি খাগুরিয়া গ্রামের মৃত জমির সরকারের ছেলে।
নিহত মো. জহিরের ভাই সফিকুর রহমান জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আমাদের সাথে পাশের বাড়ির বাচ্চু মিয়ার ছেলে ইসমাইল হোসেন, বিল্লাল হোসেন, সিরাজুল ইসলাম খলিফার ছেলে মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেনের সঙ্গে বাড়ির সিমানা জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এলাকার সামাজিক লোকজন কয়েকবার সার্ভেয়ার দিয়ে বাড়ির সিমানা নির্ধারণ করে দিয়ে গেছে। আজকে আমার ভাই এবং ভাতিজা মিলে সীমানা বরাবর বাঁশ দিয়ে বেড়া দিতে গেলে বিল্লাল হোসেন, ইসমাইল হোসেন, মো. বিল্লাল, জাকির, জহির, নাঈম, রোবেল, ইসমাইল, নবির হোসেন তারা আমার ভাইয়ের উপর আক্রমন চালায়। কেউ একজন আমার ভাইকে মাথা এবং ঘাড়ে বাড়ি দিলে সঙ্গে সঙ্গে আমার ভাই মাটিতে লুকিয়ে পড়ে যায়। ডাক চিৎকার দিলে তাৎক্ষণিক এলাকার লোকজন এসে আমার ভাইকে হাসপাতালে নিলে, ডাক্তার আমার ভাইকে মৃত ঘোষণা করলেন। এখন আমরা আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই।
মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন রনি ঘটনার পরপরই আসামীরা পালিয়ে যান। পলাতক আসামীদের আটকের সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।