১১:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

স্বেচ্ছাশ্রমে মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্প বেড়িবাঁধ মেরামত

মমিনুল ইসলাম :
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৮:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৪৯

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চাঁদপুরের মতলব উত্তর মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্প বেড়িবাঁধের ৬৪ কিলোমিটারের বিভিন্ন স্থানে গর্তটি ভরাট করেছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। কয়েক দিনের অতিবৃষ্টিতে মাটি সরে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় ভাঙ্গন দেখা দেওয়ায় বর্তমানে হুমকির মূখে পড়েছে বাঁধটি।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, এখলাছপুর ইউনিয়নের নয়ানগর এলাকা থেকে শুরু হওয়া বাঁধটি বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বালি মাটি দিয়ে তৈরী করা বাঁধটির বালি সরে গিয়ে এই গর্তের সৃষ্টি হয়।

পাউবোর চাঁদপুর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মতলব উত্তর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ৬৪ কিলোমিটারে ১৯৮৭-৮৮ অর্থবছরে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়। এতে অর্থায়ন করে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার। এই বাঁধের ভেতরে প্রায় ৩২ হাজার ১১০ একর ফসলি জমি আছে। নির্মাণের পর এ পর্যন্ত দুবার বেড়িবাঁধটি ভেঙে যায়। এতে কয়েক শ কোটি টাকার ফসল ও সম্পদের ক্ষতি হয়। বাঁধের সবটাই পিচঢালাই সড়ক রাস্তা রয়েছে।

জহিরাবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন বলেন, গত মঙ্গলবার, বুধবার এবং বৃহস্পতিবারের ভারী বৃষ্টি ও নদীর পানির চাপে বেড়িবাঁধের বিভিন্ন অংশে বড় বড় গর্তের দেখা দিয়েছে। মেঘনা-ধনাগোদা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের আওতাধীনে ৫ লক্ষ মানুষের বসবাস, সকলের কথা চিন্তা করে আমরা মতলবের ২৫টি সামাজিক সংগঠন গতকাল অনলাইনে যুক্ত হয়ে একটি বৈঠক করে আজকে সারাদিন বেরিবাদের গর্তগুলো সংস্কার করার উদ্যোগ নিয়েছি।

নন্দলাপুর গ্রামের জুম্মান হোসেন জানান, বেড়িবাঁধের বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্ত হইছে। নন্দলালপুর, শীবপুর, ফরাজীকান্দি, জহিরাবাদ ও হাসিমপুর গ্রামের সামনেও একটি বড় গর্ত। তাই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও ছাত্র জনতা মিলে গর্তগুলো ভরাট করেছি। আমরা বাঁধটির মেরামতের দাবী জানাই।

ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়নের সোহেল সরকার বলেন, অতিবৃষ্টির পানিতে বাঁধের অনেক স্থানে বড় বড় গর্ত হয়ে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চলাফেরায় দুর্ঘটনার আশংকা থাকায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও ছাত্র জনতা মিলে মেরামত করেছি।

এ ব্যাপারে ষাটনল ইউপি চেয়ারম্যান ফেরদাউস আলম বলেন, এটি নিঃসন্দেহ প্রশংসনীয় কাজ। তাদের ধন্যবাদ জানাই এমন মহৎ উদ্যোগ নেওয়ার জন্য।

এ বিষয়ে মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী জয়ন্ত পাল বলেন, গত দুইদিন যাবত ভারী বৃষ্টি ও নদীর পানির চাপে বেড়িবাঁধের বিভিন্ন অংশে গর্ত (রেইনকাট) ও বড় বড় ছিদ্রের সৃষ্টি হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো দূরত্ব সংস্কার কাজ করা জন্য এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাউবোর চাঁদপুর কার্যালয়ের থেকে তদন্ত টিম পর্যবেক্ষণ করে এসেছে। এখন এগুলো দ্রুত সংস্কার করা হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

স্বেচ্ছাশ্রমে মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্প বেড়িবাঁধ মেরামত

আপডেট সময় : ০৭:৩৮:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চাঁদপুরের মতলব উত্তর মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্প বেড়িবাঁধের ৬৪ কিলোমিটারের বিভিন্ন স্থানে গর্তটি ভরাট করেছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। কয়েক দিনের অতিবৃষ্টিতে মাটি সরে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় ভাঙ্গন দেখা দেওয়ায় বর্তমানে হুমকির মূখে পড়েছে বাঁধটি।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, এখলাছপুর ইউনিয়নের নয়ানগর এলাকা থেকে শুরু হওয়া বাঁধটি বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বালি মাটি দিয়ে তৈরী করা বাঁধটির বালি সরে গিয়ে এই গর্তের সৃষ্টি হয়।

পাউবোর চাঁদপুর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মতলব উত্তর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ৬৪ কিলোমিটারে ১৯৮৭-৮৮ অর্থবছরে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়। এতে অর্থায়ন করে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার। এই বাঁধের ভেতরে প্রায় ৩২ হাজার ১১০ একর ফসলি জমি আছে। নির্মাণের পর এ পর্যন্ত দুবার বেড়িবাঁধটি ভেঙে যায়। এতে কয়েক শ কোটি টাকার ফসল ও সম্পদের ক্ষতি হয়। বাঁধের সবটাই পিচঢালাই সড়ক রাস্তা রয়েছে।

জহিরাবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন বলেন, গত মঙ্গলবার, বুধবার এবং বৃহস্পতিবারের ভারী বৃষ্টি ও নদীর পানির চাপে বেড়িবাঁধের বিভিন্ন অংশে বড় বড় গর্তের দেখা দিয়েছে। মেঘনা-ধনাগোদা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের আওতাধীনে ৫ লক্ষ মানুষের বসবাস, সকলের কথা চিন্তা করে আমরা মতলবের ২৫টি সামাজিক সংগঠন গতকাল অনলাইনে যুক্ত হয়ে একটি বৈঠক করে আজকে সারাদিন বেরিবাদের গর্তগুলো সংস্কার করার উদ্যোগ নিয়েছি।

নন্দলাপুর গ্রামের জুম্মান হোসেন জানান, বেড়িবাঁধের বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্ত হইছে। নন্দলালপুর, শীবপুর, ফরাজীকান্দি, জহিরাবাদ ও হাসিমপুর গ্রামের সামনেও একটি বড় গর্ত। তাই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও ছাত্র জনতা মিলে গর্তগুলো ভরাট করেছি। আমরা বাঁধটির মেরামতের দাবী জানাই।

ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়নের সোহেল সরকার বলেন, অতিবৃষ্টির পানিতে বাঁধের অনেক স্থানে বড় বড় গর্ত হয়ে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চলাফেরায় দুর্ঘটনার আশংকা থাকায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও ছাত্র জনতা মিলে মেরামত করেছি।

এ ব্যাপারে ষাটনল ইউপি চেয়ারম্যান ফেরদাউস আলম বলেন, এটি নিঃসন্দেহ প্রশংসনীয় কাজ। তাদের ধন্যবাদ জানাই এমন মহৎ উদ্যোগ নেওয়ার জন্য।

এ বিষয়ে মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী জয়ন্ত পাল বলেন, গত দুইদিন যাবত ভারী বৃষ্টি ও নদীর পানির চাপে বেড়িবাঁধের বিভিন্ন অংশে গর্ত (রেইনকাট) ও বড় বড় ছিদ্রের সৃষ্টি হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো দূরত্ব সংস্কার কাজ করা জন্য এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাউবোর চাঁদপুর কার্যালয়ের থেকে তদন্ত টিম পর্যবেক্ষণ করে এসেছে। এখন এগুলো দ্রুত সংস্কার করা হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন