১১:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

বাগেরহাটে ছেলেকে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৫:০৪:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২২
  • / ৯০

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

প্রতিদিনের নিউজ
বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলায় পিতা-পুত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) রাতে উপজেলার বড় গাওলা গ্রামে নিজের বসতঘর থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ পাওয়া দুজন হলেন- ওই গ্রামের সলেমান মোল্যার ছেলে হায়দার মোল্যা (২৮) এবং তার ছেলে জিসান (৩)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হায়দার মোল্যা গত দুই মাস ধরে ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। হায়দার মোল্যার সঙ্গে তার স্ত্রী জোবাইরা খাতুনের পারিবারিক বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য হলে ছয়-সাত মাস ধরে তিনি বাবার বাড়ি অবস্থান করেন।
বৃহস্পতিবার রাতে হায়দার ঢাকা থেকে বাড়ি আসেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় হায়দারের ঘরের দরজা ভেতর থেকে দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকায় প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। ডাকাডাকির একপর্যায়ে কারও সাড়াশব্দ না পেলে তারা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ঝুলন্ত অবস্থায় হায়দার এবং খাটে তার ছেলের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
এলাকাবাসীর দাবি, ছেলে জিসানকে (৩) বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার পর হায়দার ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।
বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের প্রধান পুলিশ পরিদর্শক এস এম আশরাফুল আলম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেশীরা জানিয়েছে ছেলেকে হত্যার পর বাবা আত্মহত্যা করেছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানা যাবে। ফকিরহাট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

বাগেরহাটে ছেলেকে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা

আপডেট সময় : ০৫:০৪:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২২
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

প্রতিদিনের নিউজ
বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলায় পিতা-পুত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) রাতে উপজেলার বড় গাওলা গ্রামে নিজের বসতঘর থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ পাওয়া দুজন হলেন- ওই গ্রামের সলেমান মোল্যার ছেলে হায়দার মোল্যা (২৮) এবং তার ছেলে জিসান (৩)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হায়দার মোল্যা গত দুই মাস ধরে ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। হায়দার মোল্যার সঙ্গে তার স্ত্রী জোবাইরা খাতুনের পারিবারিক বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য হলে ছয়-সাত মাস ধরে তিনি বাবার বাড়ি অবস্থান করেন।
বৃহস্পতিবার রাতে হায়দার ঢাকা থেকে বাড়ি আসেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় হায়দারের ঘরের দরজা ভেতর থেকে দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকায় প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। ডাকাডাকির একপর্যায়ে কারও সাড়াশব্দ না পেলে তারা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ঝুলন্ত অবস্থায় হায়দার এবং খাটে তার ছেলের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
এলাকাবাসীর দাবি, ছেলে জিসানকে (৩) বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার পর হায়দার ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।
বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের প্রধান পুলিশ পরিদর্শক এস এম আশরাফুল আলম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেশীরা জানিয়েছে ছেলেকে হত্যার পর বাবা আত্মহত্যা করেছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানা যাবে। ফকিরহাট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন