১০:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের সাথে আইসিআরসি’র চুক্তির সময়সীমা শেষ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০২:৩৩:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৭০

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

কক্সবাজার সংবাদদাতা:

কক্সবাজার জেলা’র সদর হাসপাতালে ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়ে যাবে আইসিআরসি এর প্রকল্পের তিন বছরের চুক্তির সময়সীমা। এমনিতেই লোকবল সংকট। যেখানে দীর্ঘদিন থেকে চলে আসছে এই অবস্থা। প্রতিটি ক্ষেত্রেই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পদ শূন্য। সেখানে আগামী ৩১ ডিসেম্বর শেষ হচ্ছে জরুরি বিভাগের সাথে আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ দ্যা রেডক্রস (আইসিআরসি) এর প্রকল্পের তিন বছরের চুক্তির সময়সীমা।
যেখানে ডাক্তার, নার্স, কর্মকর্তা- কর্মচারীসহ বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন ৪৮ জন। তাদের সম্পূর্ণ খরচাদি আইসিআরসির অর্থায়নে পরিচালিত হয়ে আসছে। শুধু তাই নয়, জীবন রক্ষাকারী দামী ঔষুধ এক্স-রে, ইসিজি, ম্যালেরিয়ার টিকা, ডেঙ্গু টিকার সেবা বিনামূল্যে প্রদান করা হয়েছে। চুক্তি শেষ হয়ে গেলে চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২০ জুলাই আন্তর্জাতিক সেবা সংস্থা আইসিআরসি’র সাথে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের সাথে জরুরি বিভাগের তিন বছরের জন্য চুক্তি হয়। যেখানে ৪৮ জানের বেতন-ভাতাসহ যাবতীয় সবকিছু সংস্থাটির পক্ষ থেকে বহন করা হয়েছে। রোগীদের এক্স-রে, আল্ট্রাসনোগ্রাফি, ইসিজি, সিবিসি, ম্যালেরিয়া টিকা, ডেঙ্গু’র টিকাও সংস্থাটির খরচে দেওয়া হতো। এছাড়া, জীবন রক্ষাকারী দামী ঔষুধ, ইনজেকশন আইসিআরসি’র পক্ষ থেকে দেওয়া হতো। একারণে একজন রোগী টিকেট কেটে জরুরি বিভাগে প্রবেশ করা মাত্রই চিকিৎসা-সেবা পেয়েছে। রোগীর পরীক্ষা- নিরীক্ষা সকল প্রকার খরচাদি ও-ই সংস্থা বহন করার কারণে ইমারজেন্সি রোগীও সুস্থ হয়ে উঠেছে। সিটি স্কেন, ইউএসজি ২৪ ঘন্টা সার্ভিস চালু ছিল। পাশাপাশি প্যাথলজী, ল্যাবরেটরি সাপোর্ট, ২৫ বেডের সিসিইউ, ডোব টেস্ট এবং নতুন সংযোজন ওপিডি সেবা সার্বক্ষনিক পেয়েছেন রোগীরা। এদিকে এনজিও সংস্থা আইওএম’র সাথে নতুন করে জরুরি বিভাগের চুক্তি হচ্ছে বলে জানা যায়।

সদর হাসপাতালে সিনিয়র কনসালটেন্ট পদে ১০ জনের ৬টি পদেই শূন্য, জুনিয়র কনসালটেন্ট ১১ পদের আছে ১০ জন চিকিৎসক, মেডিকেল অফিসার ৪৫ জনের মধ্যে কর্মরত আছেন ৩৯ জন, নার্স ৫৪৭ জনের মধ্যে ১১৬ জনের পদ শূন্য, তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী ৫৭ জনের মধ্যে পদ শূন্য ৩৬ এবং চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ২৪ জনের মধ্যে ৯ টি পদ খালী। তত্বাবধায়ক বলেন, লোকবল সংকটের কারনে কর্মরত চিকিৎসকের বাড়তি দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। বিষয়টি বার বার মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। এদিকে জরুরি বিভাগের কর্মরতদের চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তাদের মতে, হঠাৎ চাকরি চলে গেলে পরিবারের খরচ যোগাতে কষ্ট হয়ে পড়বে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের সাথে আইসিআরসি’র চুক্তির সময়সীমা শেষ

আপডেট সময় : ০২:৩৩:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২২
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

কক্সবাজার সংবাদদাতা:

কক্সবাজার জেলা’র সদর হাসপাতালে ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়ে যাবে আইসিআরসি এর প্রকল্পের তিন বছরের চুক্তির সময়সীমা। এমনিতেই লোকবল সংকট। যেখানে দীর্ঘদিন থেকে চলে আসছে এই অবস্থা। প্রতিটি ক্ষেত্রেই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পদ শূন্য। সেখানে আগামী ৩১ ডিসেম্বর শেষ হচ্ছে জরুরি বিভাগের সাথে আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ দ্যা রেডক্রস (আইসিআরসি) এর প্রকল্পের তিন বছরের চুক্তির সময়সীমা।
যেখানে ডাক্তার, নার্স, কর্মকর্তা- কর্মচারীসহ বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন ৪৮ জন। তাদের সম্পূর্ণ খরচাদি আইসিআরসির অর্থায়নে পরিচালিত হয়ে আসছে। শুধু তাই নয়, জীবন রক্ষাকারী দামী ঔষুধ এক্স-রে, ইসিজি, ম্যালেরিয়ার টিকা, ডেঙ্গু টিকার সেবা বিনামূল্যে প্রদান করা হয়েছে। চুক্তি শেষ হয়ে গেলে চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২০ জুলাই আন্তর্জাতিক সেবা সংস্থা আইসিআরসি’র সাথে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের সাথে জরুরি বিভাগের তিন বছরের জন্য চুক্তি হয়। যেখানে ৪৮ জানের বেতন-ভাতাসহ যাবতীয় সবকিছু সংস্থাটির পক্ষ থেকে বহন করা হয়েছে। রোগীদের এক্স-রে, আল্ট্রাসনোগ্রাফি, ইসিজি, সিবিসি, ম্যালেরিয়া টিকা, ডেঙ্গু’র টিকাও সংস্থাটির খরচে দেওয়া হতো। এছাড়া, জীবন রক্ষাকারী দামী ঔষুধ, ইনজেকশন আইসিআরসি’র পক্ষ থেকে দেওয়া হতো। একারণে একজন রোগী টিকেট কেটে জরুরি বিভাগে প্রবেশ করা মাত্রই চিকিৎসা-সেবা পেয়েছে। রোগীর পরীক্ষা- নিরীক্ষা সকল প্রকার খরচাদি ও-ই সংস্থা বহন করার কারণে ইমারজেন্সি রোগীও সুস্থ হয়ে উঠেছে। সিটি স্কেন, ইউএসজি ২৪ ঘন্টা সার্ভিস চালু ছিল। পাশাপাশি প্যাথলজী, ল্যাবরেটরি সাপোর্ট, ২৫ বেডের সিসিইউ, ডোব টেস্ট এবং নতুন সংযোজন ওপিডি সেবা সার্বক্ষনিক পেয়েছেন রোগীরা। এদিকে এনজিও সংস্থা আইওএম’র সাথে নতুন করে জরুরি বিভাগের চুক্তি হচ্ছে বলে জানা যায়।

সদর হাসপাতালে সিনিয়র কনসালটেন্ট পদে ১০ জনের ৬টি পদেই শূন্য, জুনিয়র কনসালটেন্ট ১১ পদের আছে ১০ জন চিকিৎসক, মেডিকেল অফিসার ৪৫ জনের মধ্যে কর্মরত আছেন ৩৯ জন, নার্স ৫৪৭ জনের মধ্যে ১১৬ জনের পদ শূন্য, তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী ৫৭ জনের মধ্যে পদ শূন্য ৩৬ এবং চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ২৪ জনের মধ্যে ৯ টি পদ খালী। তত্বাবধায়ক বলেন, লোকবল সংকটের কারনে কর্মরত চিকিৎসকের বাড়তি দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। বিষয়টি বার বার মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। এদিকে জরুরি বিভাগের কর্মরতদের চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তাদের মতে, হঠাৎ চাকরি চলে গেলে পরিবারের খরচ যোগাতে কষ্ট হয়ে পড়বে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন