লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে জমি সংক্রান্তের বিরোধে মনির আটিয়া নামের এক ব্যক্তি, এলাকাবাসীর হাতে এক যুবলীগ নেতা এলজি নাছির ও লক্ষ্মীপুর ১ রামগঞ্জ আসনের সাংসদ ড. আনোয়ার হোসেন খাঁনের ভবর থেকে পড়ে এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেলে ও রাতে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) স্থানীয় সূত্র ও নিহতদের পরিবার সূত্রে মৃত্যুর বিষয়গুলো নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জানা গেছে, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সোমবার রাতে রামগঞ্জ পৌর শহরের সোনাপুর গ্রামের আটিয়া বাড়ির মনির হোসেন আটিয়া (৬০) নামে এক বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। তিনি ওই বাড়ির মৃত আমিন উল্যা আটিয়ার ছেলে।
পাশ্ববর্তী বাড়ির মৃত হারুন আটিয়ার ছেলে মো. জসিম, নাছির ও কামাল যৌথভাবে এ হামলা করে ওই বৃদ্ধকে হত্যা করেছে বলে দাবি করেন নিহতের স্বজনরা।
নিহত মনির হোসেনের স্ত্রী জানান, আমাদের সাথে পূর্ব থেকে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল হারুন আটিয়ার ছেলেদের। সোমবার বিকেলে সোনাপুর বাজারে থাকা হারুনের ছেলে আওয়ামীলীগ নেতা কামালের একটি রিকসার গ্যারেজে আগুন দেয় আন্দোলনকারীরা।
রাতে মনির আটিয়া সোনাপুর বাজারে গেলে কামাল তার সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। জমি নিয়ে শত্রুতার জেরে কামালের দোকানে আগুন দিয়েছে- এমন অভিযোগ তুলে তার উপর আক্রমণ করে। কামাল এবং তার দুই ভাই জসিম ও নাছির মিলে তাকে চাপাতি দিয়ে আঘাত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কুমিল্লার একটি হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি।
তিনি আরো জানান, হত্যার ঘটনাটি আমরা পুলিশকে জানিয়েছি। রামগঞ্জ থানায় পুলিশ না থাকায় মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট ছাড়া ময়নাতদন্ত করানো যাচ্ছে না। লাশ ফ্রিজিং করে মর্গে রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ময়নাতদন্ত এবং হত্যা মামলা দায়ের করা হবে।
এদিকে সোমবার বিকেলে আন্দোলনকারীদের গণপিটুনিতে উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের আথাকরা গ্রামে এলজি নাছির নামে এক যুবলীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে। গভীর রাত পর্যন্ত ওই স্থানে তার মৃতদেহ পড়ে ছিল বলে জানায় এলাকাবাসী। নিহত নাছির ভোলাকোট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাবেক নেতা বশির আহম্মেদ মানিকের ছোট ভাই।
অন্যদিকে সোমবার বিকেলে রামগঞ্জ পৌর শহরে থাকা স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ার খানের মালিকানাধীন খান টাওয়ারে আগুন দেয় আন্দোলনকারীরা। আগে থেকে ৭তলা ঐ ভবনের ছাদে থাকা কয়েকজন শিশু খেলায় মত্ত থাকায় কেউ কিছু বুঝতে পারেনি। পরে আগুন ও ধোঁয়া দেখে ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে (১২) বছরের এক শিশু মারা যান। তবে তার নামপরিচয় জানা যায়নি। অন্য শিশুরা ছাদ থেকে নেমে আসতে সক্ষম হয়।
হত্যাকান্ড- ও মৃত্যুর বিষয়ে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। রামগঞ্জ থানায় হামলা ও আগুন দেওয়ার পর থেকে থানায় কোন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছে না।
এসকে মাল্টিমিডিয়া থেকে প্রকাশিত "প্রতিদিনের নিউজ ডটকম" হেড অফিস: ৫৩/এ নয়া পল্টন এক্সটেনশন রোড ঢাকা-১২০০। মোবাইল ০১৯৩০ ১৭২ ৫২০, ০১৩১৪ ১৬৮ ৬৪৪ । আঞ্চলিক অফিস: হাজী রজ্জব আলী সুপার মার্কেট (নিচ তলা) চিটাগাংরোড, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ। Email:protidinernews24@gmail
সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না