১০:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

চকরিয়া-লামা ইয়াংচা-মানিকপুর-শান্তিবাজার সড়ক উদ্বোধন

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৯:১২:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৭০

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

কক্সবাজার সংবাদদাতা:

চকরিয়া-লামা ইয়াংচা-মানিকপুর-শান্তিবাজার মহাসড়ক উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (২১ শে ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সড়কটি উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সারাদেশে দুই হাজার কিলোমিটার সড়ক-মহাসড়কের পাশাপাশি ইয়াংচা-মানিকপুর-শান্তিবাজার জেলা মহাসড়ক উদ্বোধনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কক্সবাজার নির্বাহী প্রকৌশলী। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) কক্সবাজার সূত্র জানিয়েছেন, চকরিয়া উপজেলা ও লামা উপজেলার সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগের মধ্যদিয়ে এগিয়ে গেল এই অঞ্চলের মানুষ। লামা উপজেলার সাথে চকরিয়ার সড়ক যোগাযোগ থাকলেও সড়ক প্রশস্তকরণ না থাকায় যাতায়তে দূর্ভোগ পোহাতে হতো সাধারণ মানুষের। কিন্তু ইয়াংচা-মানিকপুর-শান্তিবাজার জেলা মহাসড়ক নির্মিত হওয়ায় এ দুই উপজেলার মানুষের ভাগ্য বদলিয়ে দিয়েছে। ইতোমধ্যে যান চলাচল ও মানুষের যাতায়তের জন্য এই সড়কটি খুলে দেওয়া হয়েছে। জেলা সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় (চট্টগ্রাম জোন দ্বিতীয়) পর্যায় জেলা মহাসড়কটি চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের শান্তিবাজার থেকে লামা উপজেলার ইয়াংচা পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। সড়কের প্রশস্ত ৫.৫০ মিটার। সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ১১টি কালভার্ট নির্মাণ করা রয়েছে। সড়কটি বেশিরভাগ এলাকা চকরিয়া উপজেলায় পড়েছে। এরমধ্যে চকরিয়া উপজেলায় ১৭.৬০ কিলোমিটার ও লামায় ১.৪০ কিলোমিটার। জেলা মহাসড়কটির কাজ ২০১৮ সালের ১ জুলাই শুরু হয়ে সমাপ্ত হয় ২০২২ সালের ৩০ জুনে। সড়কের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৫ কোটি ২২ লাখ ৯৩ হাজার টাকা। সড়কের নির্মাণকারী সংস্থা ‘রাব আরসি’ প্রাইভেট লিমিটেড। স্থানীয়রা জানান, ইয়াংচা-মানিকপুর-শান্তিবাজার জেলা মহাসড়কটি নির্মিত হওয়ায় কক্সবাজারের চকরিয়া ও বান্দরবানের লামা উপজেলার মানুষের সেতুবন্ধন তৈরী হয়েছে। ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে গ্রামীণ জনগোষ্টির। এ সড়কের আশপাশের ইউনিয়ন গুলো কৃষকের উৎপাদিত পন্য দ্রুত সময়ে পৌছাতে পারবে শহরে। ফলে উৎপাদিত কৃষি পন্যের চাহিদামতো মূল্য পাবে কৃষকরা। সরকারের স্থায়িত্বে উন্নয়নের সুফল প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে সহজে।কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহে আরেফীন বলেন, সড়কটি অপ্রশস্ত ও কিছু অংশ বিছিন্ন থাকায় বর্তমান সরকার সড়কটিকে ৩.৭০ মিটার হতে ৫.৫০ মিটারে প্রশস্তকরণ সহ ১৯ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পটি গ্রহণ করেন। জেলা সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এ প্রকল্পেনতুন সড়ক নির্মাণ ৮ কিলোমিটার কালভার্ট নির্মাণ ১১টি, রিজিড পেভমেন্ট ৩০০মিটার ফ্লেক্সিবল পেভমেন্ট প্রায় ১১.৫০ কিলোমিটার, সসার ড্রেইন ১৫০০মিটার, কংক্রিট স্লোপ প্রটেকশন এবং আরসিসি রিটেইনিং ওয়াল করা হয়। তিনি আরও বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজর হওয়ায় চকরিয়া উপজেলা, লামা উপজেলা ও আলীকদম উপজেলার জনগণ উপকৃত হবে। এ অঞ্চলের উৎপাদিত পন্য ও সেবা সমূহ দ্রুত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পরিবহনের মাধ্যমে পৌছে দিতে পারবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

চকরিয়া-লামা ইয়াংচা-মানিকপুর-শান্তিবাজার সড়ক উদ্বোধন

আপডেট সময় : ০৯:১২:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২২
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

কক্সবাজার সংবাদদাতা:

চকরিয়া-লামা ইয়াংচা-মানিকপুর-শান্তিবাজার মহাসড়ক উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (২১ শে ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সড়কটি উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সারাদেশে দুই হাজার কিলোমিটার সড়ক-মহাসড়কের পাশাপাশি ইয়াংচা-মানিকপুর-শান্তিবাজার জেলা মহাসড়ক উদ্বোধনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কক্সবাজার নির্বাহী প্রকৌশলী। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) কক্সবাজার সূত্র জানিয়েছেন, চকরিয়া উপজেলা ও লামা উপজেলার সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগের মধ্যদিয়ে এগিয়ে গেল এই অঞ্চলের মানুষ। লামা উপজেলার সাথে চকরিয়ার সড়ক যোগাযোগ থাকলেও সড়ক প্রশস্তকরণ না থাকায় যাতায়তে দূর্ভোগ পোহাতে হতো সাধারণ মানুষের। কিন্তু ইয়াংচা-মানিকপুর-শান্তিবাজার জেলা মহাসড়ক নির্মিত হওয়ায় এ দুই উপজেলার মানুষের ভাগ্য বদলিয়ে দিয়েছে। ইতোমধ্যে যান চলাচল ও মানুষের যাতায়তের জন্য এই সড়কটি খুলে দেওয়া হয়েছে। জেলা সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় (চট্টগ্রাম জোন দ্বিতীয়) পর্যায় জেলা মহাসড়কটি চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের শান্তিবাজার থেকে লামা উপজেলার ইয়াংচা পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। সড়কের প্রশস্ত ৫.৫০ মিটার। সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ১১টি কালভার্ট নির্মাণ করা রয়েছে। সড়কটি বেশিরভাগ এলাকা চকরিয়া উপজেলায় পড়েছে। এরমধ্যে চকরিয়া উপজেলায় ১৭.৬০ কিলোমিটার ও লামায় ১.৪০ কিলোমিটার। জেলা মহাসড়কটির কাজ ২০১৮ সালের ১ জুলাই শুরু হয়ে সমাপ্ত হয় ২০২২ সালের ৩০ জুনে। সড়কের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৫ কোটি ২২ লাখ ৯৩ হাজার টাকা। সড়কের নির্মাণকারী সংস্থা ‘রাব আরসি’ প্রাইভেট লিমিটেড। স্থানীয়রা জানান, ইয়াংচা-মানিকপুর-শান্তিবাজার জেলা মহাসড়কটি নির্মিত হওয়ায় কক্সবাজারের চকরিয়া ও বান্দরবানের লামা উপজেলার মানুষের সেতুবন্ধন তৈরী হয়েছে। ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে গ্রামীণ জনগোষ্টির। এ সড়কের আশপাশের ইউনিয়ন গুলো কৃষকের উৎপাদিত পন্য দ্রুত সময়ে পৌছাতে পারবে শহরে। ফলে উৎপাদিত কৃষি পন্যের চাহিদামতো মূল্য পাবে কৃষকরা। সরকারের স্থায়িত্বে উন্নয়নের সুফল প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে সহজে।কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহে আরেফীন বলেন, সড়কটি অপ্রশস্ত ও কিছু অংশ বিছিন্ন থাকায় বর্তমান সরকার সড়কটিকে ৩.৭০ মিটার হতে ৫.৫০ মিটারে প্রশস্তকরণ সহ ১৯ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পটি গ্রহণ করেন। জেলা সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এ প্রকল্পেনতুন সড়ক নির্মাণ ৮ কিলোমিটার কালভার্ট নির্মাণ ১১টি, রিজিড পেভমেন্ট ৩০০মিটার ফ্লেক্সিবল পেভমেন্ট প্রায় ১১.৫০ কিলোমিটার, সসার ড্রেইন ১৫০০মিটার, কংক্রিট স্লোপ প্রটেকশন এবং আরসিসি রিটেইনিং ওয়াল করা হয়। তিনি আরও বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজর হওয়ায় চকরিয়া উপজেলা, লামা উপজেলা ও আলীকদম উপজেলার জনগণ উপকৃত হবে। এ অঞ্চলের উৎপাদিত পন্য ও সেবা সমূহ দ্রুত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পরিবহনের মাধ্যমে পৌছে দিতে পারবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন