০১:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

মামার সাথে ভাগ্নের বন্টন নামায় প্রতারণা

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৮:২৪:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৬৬

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

টাঙ্গাইল সংবাদদাতা

টাঙ্গাইল জেলার বিল ঘারিন্দায় আপন মামার সাথে প্রতারণা করে একটি নজীরবিহীন কলঙ্কিত ইতিহাস রচনা করল আপন ভাগনে। বিগত ২০১০ সালের ৯ জুন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাসাইল উপজেলার একঢালা নিবাসী মঈন উদ্দীন আহমেদের মৃত্যু এবং এর কয়েক বছর পর তার সহধর্মীনি বদরুন নেসা খানম পরলোক গমন করলে পিতা মাতা হারিয়ে মামা যখন সীমাহীন অসহনীয় বেদনায় দিশেহারা ঠিক এমন একটি বেদনাময় জীবনের চরম মুহূর্তে পারিবারিক বন্টননামা দলিলের নামে আপন মামা আল্লামা মোহাম্মদ ইকবালের সাথে তার আপন ভাগনে টাঙ্গাইল সদরের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী গোসাইবাড়ী কুমুল্লীর মো. মুক্তা প্রতারণা করে এক ইতিহাস রচনা করেছে। তার মামা মহান আল্লাহর পবিত্র মহাগ্রন্থ আল কুরআনের আইন মোতাবেক নানা-নানীর সম্পত্তি থেকে ওয়ারিস হিসেবে প্রাপ্য অধিকার বুঝে নিতে ভাগনেকে বন্টন করতে অনুরোধ করলে ভাগনে মামাকে ঠকাতে গিয়ে মামার নিজ বাসায় বসেই কৌশলে প্রতারণার ফাঁদ পাতে।

জানা যায়, বাসাইল উপজেলার সোনালীয়ার দলিল লেখক মো. চাঁন মিয়া ভেন্ডার দলিল লেখার সময় মামা দলিল মূলে তার নিজের সম্পত্তিকে বাদ দিয়ে বার বার ভাগনেকে সম্পত্তি বন্টন করতে বলে। এ সময় মামার ইচ্ছা অনুযায়ীই সম্পত্তি ভাগ করা হচ্ছে বলে তার আপন ভাগনে মুক্তা উপস্থিত সবাইকে জানায়। মামা ভাগনেকে শতভাগ বিশ্বাস করে এবং পরে দলিল করার দিন ভাই, পিতা ও মাতা হারানোর দুঃখসহ স্মৃতি বুকে নিয়ে ভাগনের উপর শতভাগ আস্থা রেখে দলিল না পড়েই দলিলে স্বাক্ষর করে। অবশেষে চলতি ডিসেম্বর মাসের গেল কয়েকদিন আগে আইসড়া মৌজার প্রায় ১৭ শতাংশ জায়গার একটি দলিল বাসাইল উপজেলার ফুলকী ইউনিয়নের ভেন্ডার মো. মালেককে দেখালে ভাগনের দীর্ঘদিন ধরে গোপন থাকা প্রতারণার রহস্য জায়গা কিনতে আসা আইসড়া গ্রামের হাকিম এবং তাদের সফর সঙ্গী একঢালা গ্রামের মো. শামীমের সামনেই ফাঁস হয়। এ সময় ওই ভেন্ডার আল্লামা মোহাম্মদ ইকবালের নিজের ফসলী জমিকেও পারিবারিক বন্টননামা দলিলে তার আপন বোনদের নামে লিখে দেয়া হয়েছে বলে জানায়। এ ঘটনা শুনার পর থেকে জমি হারানোর কষ্ট সইতে না পেরে তার মামা এবং মামী পাগল প্রায় হয়ে মানসিক যন্ত্রণায় দুজনেই মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

এ অবস্থায় পরিবারটিতে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ন্যায় বিচার কায়েম করতে খুব দ্রুত পারিবারিক দলিলটি বাতিল করার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা সহ অপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তি দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছে ন্যায় বিচার প্রত্যাশী জেলার সর্বস্তরের শান্তিকামী মানুষ।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

মামার সাথে ভাগ্নের বন্টন নামায় প্রতারণা

আপডেট সময় : ০৮:২৪:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২২
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

টাঙ্গাইল সংবাদদাতা

টাঙ্গাইল জেলার বিল ঘারিন্দায় আপন মামার সাথে প্রতারণা করে একটি নজীরবিহীন কলঙ্কিত ইতিহাস রচনা করল আপন ভাগনে। বিগত ২০১০ সালের ৯ জুন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাসাইল উপজেলার একঢালা নিবাসী মঈন উদ্দীন আহমেদের মৃত্যু এবং এর কয়েক বছর পর তার সহধর্মীনি বদরুন নেসা খানম পরলোক গমন করলে পিতা মাতা হারিয়ে মামা যখন সীমাহীন অসহনীয় বেদনায় দিশেহারা ঠিক এমন একটি বেদনাময় জীবনের চরম মুহূর্তে পারিবারিক বন্টননামা দলিলের নামে আপন মামা আল্লামা মোহাম্মদ ইকবালের সাথে তার আপন ভাগনে টাঙ্গাইল সদরের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী গোসাইবাড়ী কুমুল্লীর মো. মুক্তা প্রতারণা করে এক ইতিহাস রচনা করেছে। তার মামা মহান আল্লাহর পবিত্র মহাগ্রন্থ আল কুরআনের আইন মোতাবেক নানা-নানীর সম্পত্তি থেকে ওয়ারিস হিসেবে প্রাপ্য অধিকার বুঝে নিতে ভাগনেকে বন্টন করতে অনুরোধ করলে ভাগনে মামাকে ঠকাতে গিয়ে মামার নিজ বাসায় বসেই কৌশলে প্রতারণার ফাঁদ পাতে।

জানা যায়, বাসাইল উপজেলার সোনালীয়ার দলিল লেখক মো. চাঁন মিয়া ভেন্ডার দলিল লেখার সময় মামা দলিল মূলে তার নিজের সম্পত্তিকে বাদ দিয়ে বার বার ভাগনেকে সম্পত্তি বন্টন করতে বলে। এ সময় মামার ইচ্ছা অনুযায়ীই সম্পত্তি ভাগ করা হচ্ছে বলে তার আপন ভাগনে মুক্তা উপস্থিত সবাইকে জানায়। মামা ভাগনেকে শতভাগ বিশ্বাস করে এবং পরে দলিল করার দিন ভাই, পিতা ও মাতা হারানোর দুঃখসহ স্মৃতি বুকে নিয়ে ভাগনের উপর শতভাগ আস্থা রেখে দলিল না পড়েই দলিলে স্বাক্ষর করে। অবশেষে চলতি ডিসেম্বর মাসের গেল কয়েকদিন আগে আইসড়া মৌজার প্রায় ১৭ শতাংশ জায়গার একটি দলিল বাসাইল উপজেলার ফুলকী ইউনিয়নের ভেন্ডার মো. মালেককে দেখালে ভাগনের দীর্ঘদিন ধরে গোপন থাকা প্রতারণার রহস্য জায়গা কিনতে আসা আইসড়া গ্রামের হাকিম এবং তাদের সফর সঙ্গী একঢালা গ্রামের মো. শামীমের সামনেই ফাঁস হয়। এ সময় ওই ভেন্ডার আল্লামা মোহাম্মদ ইকবালের নিজের ফসলী জমিকেও পারিবারিক বন্টননামা দলিলে তার আপন বোনদের নামে লিখে দেয়া হয়েছে বলে জানায়। এ ঘটনা শুনার পর থেকে জমি হারানোর কষ্ট সইতে না পেরে তার মামা এবং মামী পাগল প্রায় হয়ে মানসিক যন্ত্রণায় দুজনেই মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

এ অবস্থায় পরিবারটিতে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ন্যায় বিচার কায়েম করতে খুব দ্রুত পারিবারিক দলিলটি বাতিল করার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা সহ অপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তি দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছে ন্যায় বিচার প্রত্যাশী জেলার সর্বস্তরের শান্তিকামী মানুষ।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন