ঝিকরগাছায় চুরি করতে এসে প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যা মেয়ে আহত
- আপডেট সময় : ০৭:১৭:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪
- / ৫৩
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার ৮ নং নির্বাসখোলা ইউনিয়নের অন্তগত নওয়ালী গ্রামে রান্নাঘরের জানালার গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে চুরি করতে এসে স্পেন প্রবাসী আলতাফ হোসেনের স্ত্রী ফেরদৌসী খাতুন (৫২) কে ধারালো অস্ত্রের মাধ্যমে আঘাত করে হত্যা ও তার মেয়ে জান্নাতি খাতুন (১০) কে আহত করেছে। ঘটনার বিষয়ে সুষ্ঠ তদন্তের জন্য প্রশাসনে একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।
ঘটনার বিষয়ে নিহতের আত্মীয় ও পুলিশ প্রশাসনের সূত্রে জানা যায়, আলতাফ হোসেনের পুরোপরিবারেই স্পেন প্রবাসী। রবিরার রাত অনুমান ২.৪৫ দিকে অঙ্গাতনামার চোরেরা রান্না ঘরের গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে চুরি করার সময় টের পেয়ে যাওয়ায় ভিকটিম কে বাম কানের পাশে, ডান হাতের আঙ্গুলে বাম বুকে সহ শরীরের অনান্য জায়গায় ধারালো অস্ত্রের মাধ্যমে আঘাত করে এতে ঘটনাস্থলে তিনি রুমের মধ্যে মারা যান। তবে তার মেয়ে জান্নাতি খাতুনের বুকের ডান দিকে বগলের দিকে আঘাত করে আহত অবস্থায় ফেলে অঙ্গাতনামার চোরেরা পালিয়ে যায়। তখন জান্নাতি খাতুন পাশের বাসায় থাকা তার চাচা মিজানুর রহমান মিন্টু ও চাচী নিলুফা খাতুন (৩৮) কে জান্নাতি জানালে স্থানীয় লোকজন কে সাথে নিয়ে ঘরে ঢুকে দেখেন ফেরদৌসী খাতুন ঘরের মধ্যে মেঝেতে মরে পড়ে আছে।
ঘটনার বিষয়ে থানা পুলিশকে অবগতি করা হলে তাৎক্ষনিক প্রবাসীর বাড়িতে পুলিশ ফোর্স প্রেরণ করেন থানার অফিসার ইনচার্জ বিএম কামাল হোসেন ভূঁইয়া। লাশের সুরতহাল করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লাশ ময়না তদন্তের জন্য যশোর ২৫০শয্যা হাসপাতালে প্রেরণ করেন থানা পুলিশ। এছাড়াও মেয়ে জান্নাতি খাতুন যশোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে বাড়িতে অবস্থান করছেন। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন যশোরের সহকারী পুলিশ সুপার (খ সার্কেল) নিশাত আল নাহিয়ান, থানার অফিসার ইনচার্জ বিএম কামাল হোসেন ভূঁইয়া সহ প্রশাসনের একাধিক টিমের নেতৃবৃন্দ। অপরদিকে ঘটনার বিষয়ে নিহত ফেরদৌসী খাতুনের স্বামী স্পেন প্রবাসী আলতাফ হোসেন (৫৮) ও বড় ছেলে আহসান কবীর হৃদয় (২৫) খবর পেয়ে দেশে ফেরার জন্য প্লেনে অবস্থান করছেন। সোমবার সকালে বাড়িতে ফিরলে নিহতের লাশের জানাজা করার পর পারিবারিক গৌরস্থানে সমাধিত করা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়।
থানার অফিসার ইনচার্জ বিএম কামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যা ও তার মেয়েকেও আহত করা হয়েছে। কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড, সেটা এখনও পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না। তবে ঘটনার বিষয়ে দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য আমার থানা পুলিশ সহ আমাদের প্রশানের একাধিক টিম কাজ করে যাচ্ছে। আশাকরি দ্রুত দোষীরা আইনের আওতায় আসবে। নিহতের পরিবারের পক্ষে এখনও পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।