নির্ধারিত হারে টোল আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন এমপি রনজিত চন্দ্র সরকার
- আপডেট সময় : ১০:১৯:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪
- / ৮০৩
সুনামগঞ্জের নৌ-পথে চাঁদাবাজি বন্ধ হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে নৌ-শ্রমিক ও ব্যাবসায়ীদের মাঝে। জানা যায়, দীর্ঘ বছর ধরে তাহিরপুর ও জামালগঞ্জ উপজেলার নৌ-পথে ব্যাপক হারে চাঁদাবাজি চলছিলো। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বালি পাথর, কয়লা, চুনাপাথর ব্যবসায়ী ও নৌ শ্রমিকরা চাঁদাবাজী বন্ধে বার বার উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করলেও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন না করায় এ বছর আন্দোলনে নামেন ভুক্তভোগীরা। আন্দোলনের খবর পেয়ে সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট রনজিত চন্দ্র সরকার বিষয়টি আমলে নেন এবং ব্যবসায়ীসহ নৌ-শ্রমিকদের স্বার্থে শক্তিশালী অবস্থান গ্রহন করায় তাহিরপুর থানার ওসিকে সিলেট রেঞ্জে ক্লোজ করা হয় এবং নৌ পথে চাঁদাবাজী বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। বেপরোয়া চাঁদাবাজী বন্ধ করায় ব্যবসায়ী ও নৌ-যান শ্রমিকদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। আরও জানা যায়, এমপি রনজিত সরকারের চাঁদাবাজ বিরোধী শক্তিশালী অবস্থানের কারণে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার জাদুকাটা, ঘাগড়া, লাউরের গড়, ফাজিলপুর, ও ফতেপুর ইউনিয়নের রঙ্গিয়ারচর ঘাট, তাহিরপুর উপজেলার পাটলাই নদীর বিআইডব্লিউটিএ ও কোটগাড়ি নৌকা ঘাট গুলোতে অতিরিক্ত টোল ট্যাক্স আদায় বন্ধ করে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হারে টোল আদায় করতে বাধ্য হচ্ছেন ইজারাদার ও উপজেলা প্রশাসন। ফলে একদিকে যেমন ব্যবসায়ী ও নৌ শ্রমিকরা লাভবান হচ্ছে অন্যদিকে সরকারও পাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব।
দুর্লভপুর নৌকা ঘাটের ইজারাদার মোহাম্মদ ওয়াহেদ আলী জানান, আমি চলতি বছর দুর্লভপুর ঘাটটির ইজারা পেয়েছি। টাকা উত্তোলনের জন্য আমাকে জামালগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন থেকে একটি চার্ট দেওয়া হয়েছে। চার্ট অনুযায়ী আমার লোকজন টাকা উত্তোলন করছে। আমাদের এই আসনের এমপি রনজিত চন্দ্র সরকার আমরা সব ইজারাদারদেরকে ডেকে নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছেন চার্টের বাইরে যেনো কোন ধরনের টাকা উত্তোলন না করি। আমরাও আমাদের লোকদেরকে বলে দিয়েছি চার্টের অতিরিক্ত কোন টাকা না তুলতে।
জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. মুশফিকুন নূর জানান, জামালগঞ্জের ফাজিলপুর, দুর্লভপুর ঘাট গুলোতে নিয়ম অনুযায়ী টোল ট্যাক্স আদায় করা হচ্ছে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা পারভীন জানান, ডাম্পের বাজার, শ্রীপুর, ঘাগড়া, লাউরেরগড় নৌকা ঘাট মামলা সংক্রান্ত জটিলতা থাকায় ইজারা দেওয়া সম্ভব হয়নি। এসব ঘাটে সরকারী বিধি বিধান অনুযায়ী প্রশাসনের লোকজন দিয়েই খাস কালেকশন করা হচ্ছে। এখানে কোন ধরনের সিন্ডিকেট নেই। মামলাগুলো নিষ্পত্তি হওয়ার পর ঘাটগুলো ইজারা দেওয়া হবে।
সুনামগঞ্জ-১ আসনের এমপি এডভোকেট রনজিত চন্দ্র সরকার জানান, হাওর বেষ্টিত চারটি উপজেলা নিয়ে আমার নির্বাচনী এলাকা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলা ভূমি খ্যাত আমার এলাকাটি প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর। এই প্রাকৃতিক সম্পদকে কেন্দ্র করে এলাকায় কয়েকটি সিন্ডিকেট মিলে লুটপাটের রাম রাজত্ব কায়েম করেছিলো। ইতিমধ্যেই এসব সিন্ডিকেট আমি ভেঙ্গে দিতে সক্ষম হয়েছি। প্রশাসনসহ সকল হাট, বাজার ও নৌকাঘাটের ইজারাদারদেরকে আমি নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি সকল ঘাটে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হারে টোল ট্যাক্স আদায় করতে হবে। কোনভাবেই অতিরিক্ত টাকা আদায় সহ্য করা হবে না। প্রতিটি ঘাটে টোল ট্যাক্স আদায়ের চার্ট টানিয়ে রাখতে হবে। আমার নির্বাচনী এলাকায় কোন ধরনের লুটপাট ও চাঁদাবাজিকে প্রশ্রয় দেয়া হবে না।