০৫:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কচুয়ায় সম্পত্তি বিক্রি করে পুনরায় দখলের চেষ্টা

নিজস্ব প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় : ০৮:০১:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪
  • / ৫৬

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

কচুয়া পৌরসভাধীন কড়ইয়া গ্রামের সম্পত্তি বিক্রি করে পুনরায় দখলের পাঁয়তারা করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে মায়া রানীর ছেলে স্বপন বর্ধনের নামে।

জানা যায়, পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বর্ধন বাড়ির স্বপন বর্ধনের মা মায়া রানীর কাছ থেকে কড়ইয়া মৌজার সাবেক ৫০২ ও ৪৯০ দাগে বর্তমান ৮৫নং খতিয়ানের ৮৮৫ দাগে ১৮ শতাংশ ও ৮৮৩ দাগে ০৮ শতাংশ সম্পত্তি পাশ্ববর্তী বাড়ির আব্দুল খালেক, আব্দুল মালেক ও আব্দুর রেজ্জাক বিএস খতিয়ানে রেকর্ড করে দেন মায়া রানী।

এই বিষয়ে ওয়ারিশ সূত্রে আব্দুল খালেকের ছেলে সোহরাব হোসেন, আব্দুল মালেকের জুয়েল হোসেন, মুছা ও আব্দুর রেজ্জাক বাদী হয়ে চাঁদপুরের বিজ্ঞ কচুয়া সহকারি জজ আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ২৮৫/২০২৩।

এই বিষয়ে সম্পত্তির মালিকের ছেলে জুয়েল রানা, মো. মুছা ও সোহরাব হোসেন জানান, আমাদের বাবা ঐ জমি স্বপনের বর্ধনের মা মায়া রানী থেকে ক্রয় করে ছিল। সে সুবাদে পিতার ওয়ারিশ হিসেবে আমরা এই জমিটি ভোগ দখল করে আসছি। যখন আমাদের বাবা সম্পত্তি ক্রয় করেছিল তখন স্বপন বর্ধনের মা, বোন ও তার ভগ্নিপতি সহ একত্রে কচুয়া ভূমি অফিসে গিয়ে আম মোক্তারের সাহায্যে বিএস রেকর্ড সম্পন্ন করে। সে সময়ে মায়া রানির দুই ছেলে নিরুদ্দেশ ছিল।

তাই সাফকাবলা রেজিস্ট্রি করা যায়নি। বিএস রেকর্ড হওয়ার পর থেকে আমাদের পরিবার এই সম্পত্তিতে প্রায় ৪৯ বছর বসবাস করে আসছি। গত ২/৩ বছর পূর্বে মায়া রানীর ছোট ছেলে স্বপন বর্ধন এলাকায় ফিরে আসে। আসার পর আমাদের সম্পত্তি আমাদেরকে রেজিস্ট্রি করে দিবে বলে তিনি জানান। গত ৩/০৯/২০২৩ তারিখে স্বপন বর্ধন বাদী হয়ে চাঁদপুরের বিজ্ঞ কচুয়া সহকারি জজ আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন আমাদের বিরুদ্ধে। যাহার মামলার নং ২১৪/২০২৩। মামলাটি আদালতে চলমান রয়েছে।

গত শনিবার (৬ জুলাই) আব্দুল মালেকের ওয়ারিশ জুয়েল হোসেন মায়া রানীর বিক্রয়কৃত সম্পত্তিতে পুরাতন ঘরটি মেরামত করতে চাইলে স্বপন বর্ধনের ছেলে জয়ন্ত বর্ধন দলবল নিয়ে বাধা প্রদান করে, আমাদেরকে গালমন্দ করে মারধর করার জন্য এগিয়ে আসে ও প্রাণনাশের হুমকি এবং মেরে লাশ ঘুম করার হুমকি প্রদান করে।

স্থানীয় প্রভাবশালী মহল ও বহিরাগত লোকজনকে ভাড়া করে আমাদেরকে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করে আসছে স্বপন বর্ধন। বর্তমানে আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় মধ্যে বসবাস করছি। তারা যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘনা ঘটাতে পারে। এমতাবস্থায় আমি প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে ন্যায় বিচার দাবী করছি।

এ বিষয়ে বিবাদী স্বপন বর্ধন জানান, আমার মা যদি ২২ বছর আগে টাকা নিয়ে থাকে, তখন তো আমি সয়ং সম্পূর্ণ, তখন আমি ছোট ছিলাম না। আমার বাবা মারা গেছে ১৯৭২ সালে। ২২ বছর পরেনি তারা আমার মাকে বাবার সাধ্য করার টাকা দিছে। আমার মা যদি ওনাদের কাছে সম্পত্তি বিক্রি করে থাকে এবং তারা যদি সে সম্পত্তির দলিল দেখাতে পারে তাহলে তাদের সম্পত্তি তারা বুঝে


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

কচুয়ায় সম্পত্তি বিক্রি করে পুনরায় দখলের চেষ্টা

আপডেট সময় : ০৮:০১:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

কচুয়া পৌরসভাধীন কড়ইয়া গ্রামের সম্পত্তি বিক্রি করে পুনরায় দখলের পাঁয়তারা করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে মায়া রানীর ছেলে স্বপন বর্ধনের নামে।

জানা যায়, পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বর্ধন বাড়ির স্বপন বর্ধনের মা মায়া রানীর কাছ থেকে কড়ইয়া মৌজার সাবেক ৫০২ ও ৪৯০ দাগে বর্তমান ৮৫নং খতিয়ানের ৮৮৫ দাগে ১৮ শতাংশ ও ৮৮৩ দাগে ০৮ শতাংশ সম্পত্তি পাশ্ববর্তী বাড়ির আব্দুল খালেক, আব্দুল মালেক ও আব্দুর রেজ্জাক বিএস খতিয়ানে রেকর্ড করে দেন মায়া রানী।

এই বিষয়ে ওয়ারিশ সূত্রে আব্দুল খালেকের ছেলে সোহরাব হোসেন, আব্দুল মালেকের জুয়েল হোসেন, মুছা ও আব্দুর রেজ্জাক বাদী হয়ে চাঁদপুরের বিজ্ঞ কচুয়া সহকারি জজ আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ২৮৫/২০২৩।

এই বিষয়ে সম্পত্তির মালিকের ছেলে জুয়েল রানা, মো. মুছা ও সোহরাব হোসেন জানান, আমাদের বাবা ঐ জমি স্বপনের বর্ধনের মা মায়া রানী থেকে ক্রয় করে ছিল। সে সুবাদে পিতার ওয়ারিশ হিসেবে আমরা এই জমিটি ভোগ দখল করে আসছি। যখন আমাদের বাবা সম্পত্তি ক্রয় করেছিল তখন স্বপন বর্ধনের মা, বোন ও তার ভগ্নিপতি সহ একত্রে কচুয়া ভূমি অফিসে গিয়ে আম মোক্তারের সাহায্যে বিএস রেকর্ড সম্পন্ন করে। সে সময়ে মায়া রানির দুই ছেলে নিরুদ্দেশ ছিল।

তাই সাফকাবলা রেজিস্ট্রি করা যায়নি। বিএস রেকর্ড হওয়ার পর থেকে আমাদের পরিবার এই সম্পত্তিতে প্রায় ৪৯ বছর বসবাস করে আসছি। গত ২/৩ বছর পূর্বে মায়া রানীর ছোট ছেলে স্বপন বর্ধন এলাকায় ফিরে আসে। আসার পর আমাদের সম্পত্তি আমাদেরকে রেজিস্ট্রি করে দিবে বলে তিনি জানান। গত ৩/০৯/২০২৩ তারিখে স্বপন বর্ধন বাদী হয়ে চাঁদপুরের বিজ্ঞ কচুয়া সহকারি জজ আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন আমাদের বিরুদ্ধে। যাহার মামলার নং ২১৪/২০২৩। মামলাটি আদালতে চলমান রয়েছে।

গত শনিবার (৬ জুলাই) আব্দুল মালেকের ওয়ারিশ জুয়েল হোসেন মায়া রানীর বিক্রয়কৃত সম্পত্তিতে পুরাতন ঘরটি মেরামত করতে চাইলে স্বপন বর্ধনের ছেলে জয়ন্ত বর্ধন দলবল নিয়ে বাধা প্রদান করে, আমাদেরকে গালমন্দ করে মারধর করার জন্য এগিয়ে আসে ও প্রাণনাশের হুমকি এবং মেরে লাশ ঘুম করার হুমকি প্রদান করে।

স্থানীয় প্রভাবশালী মহল ও বহিরাগত লোকজনকে ভাড়া করে আমাদেরকে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করে আসছে স্বপন বর্ধন। বর্তমানে আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় মধ্যে বসবাস করছি। তারা যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘনা ঘটাতে পারে। এমতাবস্থায় আমি প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে ন্যায় বিচার দাবী করছি।

এ বিষয়ে বিবাদী স্বপন বর্ধন জানান, আমার মা যদি ২২ বছর আগে টাকা নিয়ে থাকে, তখন তো আমি সয়ং সম্পূর্ণ, তখন আমি ছোট ছিলাম না। আমার বাবা মারা গেছে ১৯৭২ সালে। ২২ বছর পরেনি তারা আমার মাকে বাবার সাধ্য করার টাকা দিছে। আমার মা যদি ওনাদের কাছে সম্পত্তি বিক্রি করে থাকে এবং তারা যদি সে সম্পত্তির দলিল দেখাতে পারে তাহলে তাদের সম্পত্তি তারা বুঝে


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন