০৫:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঝিকরগাছায় একই জমি সংক্রান্ত জালিয়াতির বিষয়ে থানায় অভিযোগ

আফজাল হোসেন চাঁদ :
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৫:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪
  • / ৫৩

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার ৫নং পানিসসারা ইউনিয়নের অন্তগত নিলকন্ঠনগর গ্রামে একই জমি সংক্রান্ত জালিয়াতির বিষয়ে থানায় পৃথক দুটো অভিযোগ হয়েছে। অভিযোগ দুটির বাদী হয়েছেন নীলকন্ঠনগর গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী রাবিয়া বেগম (৫৫), একই গ্রামের মৃত অহেদ আলীর ছেলে হাজী জয়নাল আবেদীন ও মৃত আহসার উল্লাহের ছেলে সেলিম হোসেন (৫০)। অভিযোগের বিবাদী হয়েছেন নীলকন্ঠনগর গ্রামের ওলিয়ার রহমানের স্ত্রী আছিয়া খাতুন (৫৫), ছেলে মনিরুল ইসলাম (৩৫) ও মৃত বাবর আলী দফাদারের ছেলে ওলিয়ার রহমান (৫৮)।

থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিবাদীগণ বাদিদের গ্রাম্য প্রতিবেশি। তারা খুব খারাপ ও উৎশৃঙ্খল প্রকৃতির লোক। নীলকন্ঠ নগর মৌজায় সাবেক দাগ নং ১০৬ তে ১৩ শতক জমি হতে বাদি রাবিয়া বেগমের ৬ শতক বেড়াবাড়ি জমি রয়েছে। এছাড়াও বিবাদীদেরও ৬ শতক জমি রয়েছে। ১নং বিবাদীর বাদী রাবিয়া বেগমের জমি প্রয়োজন হলে তিনি আরেকটি জমির মাধ্যমে এওয়াজ বদল ভাবে রেজিষ্ট্র করে নিতে চাই। এমতাবস্থায় ১নং বিবাদী বাদী রাবিয়া বেগমের নিকট হইতে জমির রেজিস্ট্রি করে নেয়। ১ নং বিবাদী রাবিয়া বেগমকে এওয়াজ বদলের জমির বিপরীতে অন্য আরেকটা জমি রেজিস্ট্রি দিতে চায়। সেই জমি পূর্বেই ১নং বিবাদী তার ছেলে ২নং বিবাদীকে রেজিস্ট্রি করে দিয়েছেন কিন্তু রাবিয়া বেগম সেটা না জেনে একই জমি তার নামে রেজিস্ট্রি করে নেন। ১নং বিবাদী বাদী রাবিয়া বেগমকে যে জমি দিয়েছেন সেটা ভুয়া রেজিস্ট্রি হিসেবে এখন গণ্য হচ্ছে। এ বিষয়ে পরবর্তীতে বাদী রাবেয়া বিষয়টি বুঝতে পেরে বিভিন্ন সময়ে বিবাদীদের বাড়িতে গিয়ে উক্ত বিষয়ে বললে বিবাদীগণ পুনরায় বাদীকে জমি রেজিস্ট্রি করে দিবে বলে অঙ্গীকার করে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে রেজিস্ট্রি করে দেয় না। সর্বশেষ বাদী রাবিয়া বেগম গত ৫জুলাই সকাল অনুমান ৯টার সময় বিবাদীদের বাড়িতে গেলে ১নং বিবাদীর সাথে উক্ত জমি রেজিস্ট্রি করার বিষয়ে কথা বললেই উল্লেখিত বিবাদীগণ বাদী রাবিয়া বেগমকে অকথ্য ভাষায় গালিগালা শুরু করে তখন বাদী রাবিয়া বেগম গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে বিবাদীগণ তাকে মারপিট করিতে উদিত হয়। অপরদিকে একই জমির বিষয়ে বাদী জয়নাল ও সেলিম তাদের অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, উক্ত মৌজা সাবেক দাগ নাম্বার ১০৬ হাল দাগ নাম্বার ৩৬৬ তে ১৩ শতক জমি রয়েছে ১৩ শতক জমি হইতে বাদী জয়নালের নিকট ৩শতক এবং বাদী সেলিমের নিকট ৪শতক জমি ২০ বছর পূর্বে বিক্রয় করেছে। ১নং বিবাদী বাদীদের কাছে জমি বিক্রয় করে বাদীদেরকে রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার পূর্বে ১নং বিবাদী তার ছেলে ২নং বিবাদীকে রেজিস্ট্রি করে দিয়েছেন। এই বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জের নিকট বিচারের দাবিতে বাদীরা পৃথক ভাবে দুটি অভিযোগ করেছেন।

ঘটনার বিষয়ে জানার জন্য ২নং বিবাদী মনিরুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

থানার অফিসার ইনচার্জ বিএম কামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, দুটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের উপর তদন্ত পূর্বক দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

ঝিকরগাছায় একই জমি সংক্রান্ত জালিয়াতির বিষয়ে থানায় অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৭:৩৫:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার ৫নং পানিসসারা ইউনিয়নের অন্তগত নিলকন্ঠনগর গ্রামে একই জমি সংক্রান্ত জালিয়াতির বিষয়ে থানায় পৃথক দুটো অভিযোগ হয়েছে। অভিযোগ দুটির বাদী হয়েছেন নীলকন্ঠনগর গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী রাবিয়া বেগম (৫৫), একই গ্রামের মৃত অহেদ আলীর ছেলে হাজী জয়নাল আবেদীন ও মৃত আহসার উল্লাহের ছেলে সেলিম হোসেন (৫০)। অভিযোগের বিবাদী হয়েছেন নীলকন্ঠনগর গ্রামের ওলিয়ার রহমানের স্ত্রী আছিয়া খাতুন (৫৫), ছেলে মনিরুল ইসলাম (৩৫) ও মৃত বাবর আলী দফাদারের ছেলে ওলিয়ার রহমান (৫৮)।

থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিবাদীগণ বাদিদের গ্রাম্য প্রতিবেশি। তারা খুব খারাপ ও উৎশৃঙ্খল প্রকৃতির লোক। নীলকন্ঠ নগর মৌজায় সাবেক দাগ নং ১০৬ তে ১৩ শতক জমি হতে বাদি রাবিয়া বেগমের ৬ শতক বেড়াবাড়ি জমি রয়েছে। এছাড়াও বিবাদীদেরও ৬ শতক জমি রয়েছে। ১নং বিবাদীর বাদী রাবিয়া বেগমের জমি প্রয়োজন হলে তিনি আরেকটি জমির মাধ্যমে এওয়াজ বদল ভাবে রেজিষ্ট্র করে নিতে চাই। এমতাবস্থায় ১নং বিবাদী বাদী রাবিয়া বেগমের নিকট হইতে জমির রেজিস্ট্রি করে নেয়। ১ নং বিবাদী রাবিয়া বেগমকে এওয়াজ বদলের জমির বিপরীতে অন্য আরেকটা জমি রেজিস্ট্রি দিতে চায়। সেই জমি পূর্বেই ১নং বিবাদী তার ছেলে ২নং বিবাদীকে রেজিস্ট্রি করে দিয়েছেন কিন্তু রাবিয়া বেগম সেটা না জেনে একই জমি তার নামে রেজিস্ট্রি করে নেন। ১নং বিবাদী বাদী রাবিয়া বেগমকে যে জমি দিয়েছেন সেটা ভুয়া রেজিস্ট্রি হিসেবে এখন গণ্য হচ্ছে। এ বিষয়ে পরবর্তীতে বাদী রাবেয়া বিষয়টি বুঝতে পেরে বিভিন্ন সময়ে বিবাদীদের বাড়িতে গিয়ে উক্ত বিষয়ে বললে বিবাদীগণ পুনরায় বাদীকে জমি রেজিস্ট্রি করে দিবে বলে অঙ্গীকার করে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে রেজিস্ট্রি করে দেয় না। সর্বশেষ বাদী রাবিয়া বেগম গত ৫জুলাই সকাল অনুমান ৯টার সময় বিবাদীদের বাড়িতে গেলে ১নং বিবাদীর সাথে উক্ত জমি রেজিস্ট্রি করার বিষয়ে কথা বললেই উল্লেখিত বিবাদীগণ বাদী রাবিয়া বেগমকে অকথ্য ভাষায় গালিগালা শুরু করে তখন বাদী রাবিয়া বেগম গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে বিবাদীগণ তাকে মারপিট করিতে উদিত হয়। অপরদিকে একই জমির বিষয়ে বাদী জয়নাল ও সেলিম তাদের অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, উক্ত মৌজা সাবেক দাগ নাম্বার ১০৬ হাল দাগ নাম্বার ৩৬৬ তে ১৩ শতক জমি রয়েছে ১৩ শতক জমি হইতে বাদী জয়নালের নিকট ৩শতক এবং বাদী সেলিমের নিকট ৪শতক জমি ২০ বছর পূর্বে বিক্রয় করেছে। ১নং বিবাদী বাদীদের কাছে জমি বিক্রয় করে বাদীদেরকে রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার পূর্বে ১নং বিবাদী তার ছেলে ২নং বিবাদীকে রেজিস্ট্রি করে দিয়েছেন। এই বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জের নিকট বিচারের দাবিতে বাদীরা পৃথক ভাবে দুটি অভিযোগ করেছেন।

ঘটনার বিষয়ে জানার জন্য ২নং বিবাদী মনিরুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

থানার অফিসার ইনচার্জ বিএম কামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, দুটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের উপর তদন্ত পূর্বক দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন