০৫:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঝিকরগাছায় মাদ্রাসার অনিয়মের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি অভিযোগ

আফজাল হোসেন চাঁদ :
  • আপডেট সময় : ০৬:২১:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪
  • / ৪৯

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার ৪ নং গদখালী ইউনিয়নের অন্তগত বোধখানা মহিলা দাখিল মাদ্রাসার বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর পৃথক ভাবে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মো.সাইফুর রহমান সাইফ। তিনি বোধখানা মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি, বোধখানা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত শহিদুল ইসলাম (অত্র মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা) এর ছেলে।

ইউএনও অফিসের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলাধীন বোধখানা মহিলা দাখিল মাদ্রাসায় তিনি সভাপতি থাকাকালীন সময়ে প্রতিষ্ঠানে সুপার পদ শূন্য থাকা অবস্থায় সহকারী সুপার মো. জহুরুল হক, ইনডেক্স- ৩৭১৫৬ কে ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব প্রদান করেন। কিন্তু পরবর্তী কমিটির সভাপতি মশকুর আলম তার অত্র প্রতিষ্ঠানে সভাপতির মেয়াদ শেষন্তের ২/৩দিন পূর্বে ভারপ্রাপ্ত সুপার থাকাকালীন সময়ে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে তাকে সরিয়ে সরকারি নিয়মনীতি পালন না করে নিজের ক্ষমতাকে অপব্যবহার করে নিজের পছন্দের ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের সহকারী মৌলভী মো. নাজমুল হক, ইনডেক্স-৩৭১৫৬৯ কে দায়িত্ব প্রদান করেছেন। মশকুর আলম বর্তমানেও অত্র প্রতিষ্ঠানের এডহক কমিটির সভাপতি দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বিগত ৬ জুন ২০১১ ইং তারিখের সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিম/শাঃ১১/৩-৯/২০১১/২৬৫ নং স্মারকের পরিপত্রের আইন বাহিভূত কাজ করেছেন।

অপরদিকে থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অত্র প্রতিষ্ঠানের দাতা সদস্য হওয়ার জন্য সে প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত সুপার মো. জহিরুল হককে অবহতি করি। এ সময় তিনি বলেন সদস্য হতে গেলে ব্যাংকের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের এ্যাকাউন্ডে ২০হাজার টাকা প্রদান করে তার রশিদ দিয়ে আবেদন করতে হবে। যথারিতী বাদী তার কথা মতে প্রতিষ্ঠানের এ্যাকাউন্ড আরব বাংলাদেশ (এবি) ব্যাংক লিঃ ঝিকরগাছা শাখায় ২৬/০৯/২০২৩ইং তারিখে ২০ হাজার টাকা জমা প্রদান করে ব্যাংকের ভাউচার ২৭/০৯/২০২৩ইং তারিখে প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত সুপারের নিকট জমা দেওয়া হয়। ব্যাংকের ভাউচার জমা দেওয়ার পরে তিনি (ভারপ্রাপ্ত সুপার) টাকা বুঝিয়া পাওয়ার বিষয়ে প্রতিষ্ঠান হতে বাদিকে একটা রশিদ প্রদান করেন। যার নং ৮৪৮। তাং ২৭/০৯/২০২৩ইং। টাকা জমা দেওয়ার প্রায় অনুঃ ১৫দিন পরে ভারপ্রাপ্ত সুপার আমাকে মৌখিক ভাবে বলেন একটা আবেদন দিতে। তার পরামর্শ অনুযায়ী আমি ১৮/১০/২০২৩ইং তারিখে দাতা সদস্য পদ পাওয়ার জন্য আবেদন প্রদান করি। এ বিষয়ে তার সাথে কথা বলে তিনি বিভিন্ন প্রকার তালবাহানা মূলক কথাবার্তা বলে আমাকে হয়রানি করছেন। কিন্তু অদ্যবধি পর্যন্ত তিনি আমার দাতা সদস্য পদ প্রদান করেননি। যার কারণে ০৭/০৭/২০২৪ইং তারিখ সকাল অনুঃ ১০.৩০ঘটিকার সময় আমি প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে ভারপ্রাপ্ত সুপার মো. জহিরুল হককের নিকট কথা বলার পরে তিনি আমাকে সহকারী মৌলভী শিক্ষক মো. নাজমুল হককের নিকট পাঠান। আমি নাজমুল হকের সাথে আলাপ-আলোচনা করতে গেলে নাজমুল হক আমাকে দেখামাত্র কোন কথাবার্তা বলার সুযোগ না দিয়ে আমার উপর চড়াহ হয়ে উচ্চস্বরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাস সহ মারপিট করতে উদিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের বিরুদ্ধে একাধিকবার পূর্বেও সংবাদ প্রকাশ হলেও প্রশাসন কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এবারও কি অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না পূর্বের ন্যায় এই অভিযোগ ধামাচাপা পড়ে যাবে এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিযোগকারী।

থানার অফিসার ইনচার্জ বিএম কামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আজ অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের উপর তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নারায়ণ চন্দ্র পাল বলেন, মাদ্রাসা সংক্রান্ত বিষয়টি মূলত দেখভাল করে মাদ্রাসা অধিদপ্তর। তারপরও যেহেতু আমার নিকট অভিযোগ এসেছে। সেহেতু অভিযোগের উপর তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

ঝিকরগাছায় মাদ্রাসার অনিয়মের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৬:২১:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার ৪ নং গদখালী ইউনিয়নের অন্তগত বোধখানা মহিলা দাখিল মাদ্রাসার বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর পৃথক ভাবে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মো.সাইফুর রহমান সাইফ। তিনি বোধখানা মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি, বোধখানা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত শহিদুল ইসলাম (অত্র মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা) এর ছেলে।

ইউএনও অফিসের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলাধীন বোধখানা মহিলা দাখিল মাদ্রাসায় তিনি সভাপতি থাকাকালীন সময়ে প্রতিষ্ঠানে সুপার পদ শূন্য থাকা অবস্থায় সহকারী সুপার মো. জহুরুল হক, ইনডেক্স- ৩৭১৫৬ কে ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব প্রদান করেন। কিন্তু পরবর্তী কমিটির সভাপতি মশকুর আলম তার অত্র প্রতিষ্ঠানে সভাপতির মেয়াদ শেষন্তের ২/৩দিন পূর্বে ভারপ্রাপ্ত সুপার থাকাকালীন সময়ে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে তাকে সরিয়ে সরকারি নিয়মনীতি পালন না করে নিজের ক্ষমতাকে অপব্যবহার করে নিজের পছন্দের ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের সহকারী মৌলভী মো. নাজমুল হক, ইনডেক্স-৩৭১৫৬৯ কে দায়িত্ব প্রদান করেছেন। মশকুর আলম বর্তমানেও অত্র প্রতিষ্ঠানের এডহক কমিটির সভাপতি দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বিগত ৬ জুন ২০১১ ইং তারিখের সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিম/শাঃ১১/৩-৯/২০১১/২৬৫ নং স্মারকের পরিপত্রের আইন বাহিভূত কাজ করেছেন।

অপরদিকে থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অত্র প্রতিষ্ঠানের দাতা সদস্য হওয়ার জন্য সে প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত সুপার মো. জহিরুল হককে অবহতি করি। এ সময় তিনি বলেন সদস্য হতে গেলে ব্যাংকের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের এ্যাকাউন্ডে ২০হাজার টাকা প্রদান করে তার রশিদ দিয়ে আবেদন করতে হবে। যথারিতী বাদী তার কথা মতে প্রতিষ্ঠানের এ্যাকাউন্ড আরব বাংলাদেশ (এবি) ব্যাংক লিঃ ঝিকরগাছা শাখায় ২৬/০৯/২০২৩ইং তারিখে ২০ হাজার টাকা জমা প্রদান করে ব্যাংকের ভাউচার ২৭/০৯/২০২৩ইং তারিখে প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত সুপারের নিকট জমা দেওয়া হয়। ব্যাংকের ভাউচার জমা দেওয়ার পরে তিনি (ভারপ্রাপ্ত সুপার) টাকা বুঝিয়া পাওয়ার বিষয়ে প্রতিষ্ঠান হতে বাদিকে একটা রশিদ প্রদান করেন। যার নং ৮৪৮। তাং ২৭/০৯/২০২৩ইং। টাকা জমা দেওয়ার প্রায় অনুঃ ১৫দিন পরে ভারপ্রাপ্ত সুপার আমাকে মৌখিক ভাবে বলেন একটা আবেদন দিতে। তার পরামর্শ অনুযায়ী আমি ১৮/১০/২০২৩ইং তারিখে দাতা সদস্য পদ পাওয়ার জন্য আবেদন প্রদান করি। এ বিষয়ে তার সাথে কথা বলে তিনি বিভিন্ন প্রকার তালবাহানা মূলক কথাবার্তা বলে আমাকে হয়রানি করছেন। কিন্তু অদ্যবধি পর্যন্ত তিনি আমার দাতা সদস্য পদ প্রদান করেননি। যার কারণে ০৭/০৭/২০২৪ইং তারিখ সকাল অনুঃ ১০.৩০ঘটিকার সময় আমি প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে ভারপ্রাপ্ত সুপার মো. জহিরুল হককের নিকট কথা বলার পরে তিনি আমাকে সহকারী মৌলভী শিক্ষক মো. নাজমুল হককের নিকট পাঠান। আমি নাজমুল হকের সাথে আলাপ-আলোচনা করতে গেলে নাজমুল হক আমাকে দেখামাত্র কোন কথাবার্তা বলার সুযোগ না দিয়ে আমার উপর চড়াহ হয়ে উচ্চস্বরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাস সহ মারপিট করতে উদিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের বিরুদ্ধে একাধিকবার পূর্বেও সংবাদ প্রকাশ হলেও প্রশাসন কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এবারও কি অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না পূর্বের ন্যায় এই অভিযোগ ধামাচাপা পড়ে যাবে এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিযোগকারী।

থানার অফিসার ইনচার্জ বিএম কামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আজ অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের উপর তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নারায়ণ চন্দ্র পাল বলেন, মাদ্রাসা সংক্রান্ত বিষয়টি মূলত দেখভাল করে মাদ্রাসা অধিদপ্তর। তারপরও যেহেতু আমার নিকট অভিযোগ এসেছে। সেহেতু অভিযোগের উপর তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন