০২:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

মতলবে ব্যাটারি কারখানার বিষাক্ত বর্জ্যে ৮ টি গরু অসুস্থের সত্যতার প্রমান মিলছে

মতলব উত্তর প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় : ০৭:০২:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪
  • / ৫২

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চাঁদপুরের মতলব উত্তরে অনুমোতিহীন একটি ব্যাটারি কারখানার বিষাক্ত বর্জ্যে মাশাল্লাহ -আলহামদুলিল্লাহ খামারীর ৮ টি গরু গুরতর অসুস্থ হয়েছে। এতে খামার মালিক জসিম উদ্দিন লিটনের ১৭ লক্ষ্য টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান। ঘটনাটি ঘটে ২৫ জুন উপজেলার গজরা ইউনিয়নের ডুবগি গ্রামে।

এ বিষয়ে খামার মালিক লিটন থানায় ও ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট অভিযোগ করেন। অভিযোগ বলা হয়েছে , তার ঘাস ক্ষেত সংলগ্ন একটি ব্যাটারী কারখান গড়ে তোলেন পার্শ্ববর্তী কলাকান্দ গ্রামের আরব আলীর ছেলে সোহেল। সেই ব্যাটারি কারখানার বর্জ্য ও বিষাক্ত সীসা ও ধোয়া ঘাসের উপর পরে। সে ঘাস কেটে গরুকে খাওয়ালে ৮টি গরু অসুস্থ হয়ে যায়। পরে ডাক্তার এনে চিকিৎসা করে সুসু করে কম মূল্যে বিক্রি করে। এতে খামারীর ১৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে সে দাবি করে। এর আগেও একই কারনে আরো কয়েকটি গরু মারা গেছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান। এদিকে ব্যাটারীর বিষাক্ত বর্জ্য ও সীসা বা অন্য কোন কারনে গরু অসুস্থ হয়েছে কিনা তা জানার জন্য মাটি, ঘাসের কান্ড ও পাতার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠান উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা.শ্যামল চন্দ্র দাস। বিষয়টি মিমাংসার জন্য থানায় বসেলও রিপোর্টের কারনে বিষয়টি আর মিমাংসা হয়নি। অবশেষে ৩০ জুলাই মান নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষাগার প্রাণিসম্পদ এবং পশুসম্পদ পণ্যের জন্য প্রাণিসম্পদ পরিষেবা বিভাগ সনদপত্রের বিশ্লেষণ রিপোর্ট জসিম উদ্দিন লিটনের গরুর খাবার ঘাসের প্যারামিটার পদ্ধতি ফলাফলে দেখা যায়, ঘাস, পাতা ও মাটি সীসাযুক্ত ছিল।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শ্যামল চন্দ্র দাস বলেন, খবর পাওয়া পর আমি খামারে যাই। ঘাসের মধ্যে বিষাক্ত মিশ্রিত গ্যাস ছিল কিনা সেজন্য নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠাই। সেই রির্যাপোট পেয়েছি। রির্পোট অনুযায়ী মাটি, ঘাস ও পাতায় বিষাক্ত সীসা ছিল। যা গরুর খাদ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতি কারক।
মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন রনি বলেন, বিষয়টি যেহেতু মাসিক আইনশৃঙ্খলা ও সম্নয় সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে সেজন্য উপজেলায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মানিক বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি এবং গুরুত্বাহকারে দেখছি। যেহেতু মাননীয় সংসদ সদস্য বিষয়টি অবগত আছে সেহুেতু তার সাথে পরামর্শ করে এর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

মতলবে ব্যাটারি কারখানার বিষাক্ত বর্জ্যে ৮ টি গরু অসুস্থের সত্যতার প্রমান মিলছে

আপডেট সময় : ০৭:০২:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চাঁদপুরের মতলব উত্তরে অনুমোতিহীন একটি ব্যাটারি কারখানার বিষাক্ত বর্জ্যে মাশাল্লাহ -আলহামদুলিল্লাহ খামারীর ৮ টি গরু গুরতর অসুস্থ হয়েছে। এতে খামার মালিক জসিম উদ্দিন লিটনের ১৭ লক্ষ্য টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান। ঘটনাটি ঘটে ২৫ জুন উপজেলার গজরা ইউনিয়নের ডুবগি গ্রামে।

এ বিষয়ে খামার মালিক লিটন থানায় ও ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট অভিযোগ করেন। অভিযোগ বলা হয়েছে , তার ঘাস ক্ষেত সংলগ্ন একটি ব্যাটারী কারখান গড়ে তোলেন পার্শ্ববর্তী কলাকান্দ গ্রামের আরব আলীর ছেলে সোহেল। সেই ব্যাটারি কারখানার বর্জ্য ও বিষাক্ত সীসা ও ধোয়া ঘাসের উপর পরে। সে ঘাস কেটে গরুকে খাওয়ালে ৮টি গরু অসুস্থ হয়ে যায়। পরে ডাক্তার এনে চিকিৎসা করে সুসু করে কম মূল্যে বিক্রি করে। এতে খামারীর ১৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে সে দাবি করে। এর আগেও একই কারনে আরো কয়েকটি গরু মারা গেছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান। এদিকে ব্যাটারীর বিষাক্ত বর্জ্য ও সীসা বা অন্য কোন কারনে গরু অসুস্থ হয়েছে কিনা তা জানার জন্য মাটি, ঘাসের কান্ড ও পাতার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠান উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা.শ্যামল চন্দ্র দাস। বিষয়টি মিমাংসার জন্য থানায় বসেলও রিপোর্টের কারনে বিষয়টি আর মিমাংসা হয়নি। অবশেষে ৩০ জুলাই মান নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষাগার প্রাণিসম্পদ এবং পশুসম্পদ পণ্যের জন্য প্রাণিসম্পদ পরিষেবা বিভাগ সনদপত্রের বিশ্লেষণ রিপোর্ট জসিম উদ্দিন লিটনের গরুর খাবার ঘাসের প্যারামিটার পদ্ধতি ফলাফলে দেখা যায়, ঘাস, পাতা ও মাটি সীসাযুক্ত ছিল।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শ্যামল চন্দ্র দাস বলেন, খবর পাওয়া পর আমি খামারে যাই। ঘাসের মধ্যে বিষাক্ত মিশ্রিত গ্যাস ছিল কিনা সেজন্য নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠাই। সেই রির্যাপোট পেয়েছি। রির্পোট অনুযায়ী মাটি, ঘাস ও পাতায় বিষাক্ত সীসা ছিল। যা গরুর খাদ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতি কারক।
মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন রনি বলেন, বিষয়টি যেহেতু মাসিক আইনশৃঙ্খলা ও সম্নয় সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে সেজন্য উপজেলায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মানিক বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি এবং গুরুত্বাহকারে দেখছি। যেহেতু মাননীয় সংসদ সদস্য বিষয়টি অবগত আছে সেহুেতু তার সাথে পরামর্শ করে এর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন