০৭:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাগমারায় মচমইল হাটে অটোরিক্সা স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করে হাটসেড নির্মাণ বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন

বাগমারা প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় : ০৬:২৭:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪
  • / ৩০৫

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রাজশাহীর বাগমারায় ঐতিহ্যবাহী মচমইল হাটের ধানহাটা ও অটোরিক্সা স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করে দিয়ে হাটসেড নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর। ধানহাটা ও অটোরিক্সা স্ট্যান্ডে হাটসেড নির্মাণ বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে।শুক্রবার সকাল ১০ টায় মানববন্ধন কর্মসূচীর আয়োজন করেন অটোরিক্সা চালক, ব্যবসায়ী ও এলাকার সচেতন মহল।

বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন মেইন রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে মানববন্ধনে দুই শতাধিক লোকজন অংশ গ্রহণ করে।এদিকে হাটসেড নির্মাণ বন্ধে রাজশাহী জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদনও করা হয়েছে।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মচমইল বাজার অটোরিক্সা চালক সমিতির সভাপতি আলাউদ্দিন সরদার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, কোষাধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ, ব্যবসায়ী শাহিন আলম ও মিঠু প্রমুখ।বক্তরাদাবী করেন, অটোরিক্সা স্ট্যান্ড ও ধান হাটা উচ্ছেদ করে সেখানে হাটসেড নির্মাণ করা হলে অটোচালকরা কোথায় দাঁড়াবে? এছাড়া এলাকার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ধান কোথায় ক্রয়-বিক্রয় করবে? তারা আরো জানান, মচমইলে হাট শুরুর পর থেকে এই স্থানটি ফাঁকা ছিল। পরবর্তীতে আরডি-৭ প্রকল্পের আওতায় ইট সোলিং করে স্থানটি অটোরিক্সা স্ট্যান্ড ও ধানহাটা হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। এখানে হাটসেড নির্মাণ করা হলে শতশত পরিবহণ চালক কোথায় যাবে।কেন সেখানে হাটসেড নির্মাণ করতে হবে। হাটের মধ্যে যে সকল সেড আছে সেগুলো দখল হয়ে আছে সেখানে তো নতুন ভাবে সেড তৈরি করতে পারে সরকার। ফাঁকা স্থানে অটোস্ট্যান্ড হওয়ার কারনে এই স্থানে হাটের অনেক মালামাল ট্রাকে উঠা নামার কাজ করা হয়ে থাকে। তাই অটোরিক্সা ও ভ্যান চালকদের পরিবারের কথা চিন্তা করে এখানে হাটসেড নির্মাণ বন্ধ করা জরুরী।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, এর আগেও উক্ত স্থানে হাটসেড নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও তা অটোস্ট্যান্ডের কারণে বন্ধ করতে হয়েছে। সেই স্থানে কি কারনে বার বার হাটসেড নির্মাণ উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে সেটা সাধারণের জানার বাইরে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে একটি আবেদন পাওয়া গেছে। উপজেলা প্রকৌশলী সহ স্থানীয় চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

বাগমারায় মচমইল হাটে অটোরিক্সা স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করে হাটসেড নির্মাণ বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০৬:২৭:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রাজশাহীর বাগমারায় ঐতিহ্যবাহী মচমইল হাটের ধানহাটা ও অটোরিক্সা স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করে দিয়ে হাটসেড নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর। ধানহাটা ও অটোরিক্সা স্ট্যান্ডে হাটসেড নির্মাণ বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে।শুক্রবার সকাল ১০ টায় মানববন্ধন কর্মসূচীর আয়োজন করেন অটোরিক্সা চালক, ব্যবসায়ী ও এলাকার সচেতন মহল।

বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন মেইন রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে মানববন্ধনে দুই শতাধিক লোকজন অংশ গ্রহণ করে।এদিকে হাটসেড নির্মাণ বন্ধে রাজশাহী জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদনও করা হয়েছে।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মচমইল বাজার অটোরিক্সা চালক সমিতির সভাপতি আলাউদ্দিন সরদার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, কোষাধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ, ব্যবসায়ী শাহিন আলম ও মিঠু প্রমুখ।বক্তরাদাবী করেন, অটোরিক্সা স্ট্যান্ড ও ধান হাটা উচ্ছেদ করে সেখানে হাটসেড নির্মাণ করা হলে অটোচালকরা কোথায় দাঁড়াবে? এছাড়া এলাকার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ধান কোথায় ক্রয়-বিক্রয় করবে? তারা আরো জানান, মচমইলে হাট শুরুর পর থেকে এই স্থানটি ফাঁকা ছিল। পরবর্তীতে আরডি-৭ প্রকল্পের আওতায় ইট সোলিং করে স্থানটি অটোরিক্সা স্ট্যান্ড ও ধানহাটা হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। এখানে হাটসেড নির্মাণ করা হলে শতশত পরিবহণ চালক কোথায় যাবে।কেন সেখানে হাটসেড নির্মাণ করতে হবে। হাটের মধ্যে যে সকল সেড আছে সেগুলো দখল হয়ে আছে সেখানে তো নতুন ভাবে সেড তৈরি করতে পারে সরকার। ফাঁকা স্থানে অটোস্ট্যান্ড হওয়ার কারনে এই স্থানে হাটের অনেক মালামাল ট্রাকে উঠা নামার কাজ করা হয়ে থাকে। তাই অটোরিক্সা ও ভ্যান চালকদের পরিবারের কথা চিন্তা করে এখানে হাটসেড নির্মাণ বন্ধ করা জরুরী।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, এর আগেও উক্ত স্থানে হাটসেড নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও তা অটোস্ট্যান্ডের কারণে বন্ধ করতে হয়েছে। সেই স্থানে কি কারনে বার বার হাটসেড নির্মাণ উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে সেটা সাধারণের জানার বাইরে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে একটি আবেদন পাওয়া গেছে। উপজেলা প্রকৌশলী সহ স্থানীয় চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন