নারায়ণগঞ্জে প্রকাশ্যে কুপিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা সুরুজ মিয়াকে হত্যার ঘটনায় মামলার এজাহারভুক্ত চার আসামিসহ আরও ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার রাতে গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ সোমবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) ছাউলাউ মারমা। এর আগে, শনিবার র‌্যাব-১১ চারজনকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করে।

গ্রেপ্তাররা হলো, মামলার এজাহারনামীয় আসামি মোহাম্মদ হাবিব (২০), মো.সোহেল (৩০), মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন আনার (২৪), মোহাম্মদ ফয়সাল মোল্লা (৩২), ওয়াসেল হোসেন নাহিদ (২৭), মাসুদ (৫২), বাপ্পি (২৩), জামাল (৪৮) ও কাইয়ুম (২২)। এদের মধ্যে নাহিদ, সোহেল, হাবিব ও আনোয়ার মামলার এজাহারনামীয় আসামি।

ছাউলাউ মারমা জানান, ভিডিও ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের চিহ্নিত করে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় র‌্যাব ও পুলিশের অভিযানে মোট ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ জেলা সদরের ফতুল্লা থানার আলীপাড়া এলাকায় ইট বালু সিমেন্টসহ ইমারত নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ, আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজিতে বাধা দেওয়ায় কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক সুরুজ মিয়ার সঙ্গে স্থানীয় সন্ত্রাসী সালাউদ্দিন সালু ও তার ভাই আলাউদ্দিন হীরার মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।

এর জের ধরে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় আলীপাড়া মসজিদে জোহর নামাজ আদায় করে বাড়ি ফেরার পথে হীরা ও সালুর নেতৃত্বে ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী সুরুজ মিয়াকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। এসময় সুরুজ মিয়াকে বাঁচাতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলায় আহত হন তার দুই ছেলেসহ চারজন। ঘটনার পরদিন ২৮ জুন নিহত সুরুজ মিয়ার ছেলে বাদী হয়ে ২১ জনের নাম উল্লেখসহ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করে ফতুল্লা থানায় হত্যা মামলা করেন।###