পাইকগাছায় ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে জনজীবন বিপর্যস্ত
- আপডেট সময় : ১২:২৩:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪
- / ১৩৮
পাইকগাছায় লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে জনজীবন বিপর্যস্ত উপজেলাবাসীর। তীব্র তাপদাহ আর ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের নাকাল হয়ে পড়েছে পাইকগাছার মানুষ। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা। বিদ্যুৎ এর লুকোচুরির কারণে তাদের পড়ালেখা ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিদিন দিনে ও রাতে ১৫-২০ বার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। হাজারও শিক্ষার্থীর স্বপ্ন ভ্রষ্ঠ হচ্ছে শুধুমাত্র বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে। যতই পরীক্ষার দিন ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের দুঃচিন্তা।
জৈষ্ঠর শুরুতে তেতে উঠছে সূর্য। প্রচষ্ড গরম পড়েছে। দিনে রোদের আগুন ও গরমে খাঁ খাঁ করছে চারদিক। রাতেও তাপমাত্রা কমছে না। আর সেই সাথে লোডশেডিং ও তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন।থমকে যাচ্ছে নগর জীবন। শুধু তাইনয় গরমের কারণে বাড়ছে হিট স্ট্রোকের মতো স্বাস্থ্যঝুঁকি। শিশুরা নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়াসহ নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অনেকে।
পাইকগাছা শহরের এলাকার বাসিন্দা কবির হোসেন জানান, উপকূল এলাকায় তীব্র তাপদাহ চলছে, তার উপর ভয়াবহ লোডশেডিং শুরু হওয়ায় সাধারণ মানুষজন নাকাল হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্ক মানুষজন অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে। তাছাড়া আগামী ৩০শে জুন থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। পরীক্ষার্থীরা ঠিকমত পড়াশুনা করতে পারছে না। এর-ফলে তাদের পরীক্ষাতে ক্ষতির সম্মুখিন হতে পারে।
উপজেলার মটবাটি গ্রামের সলেমান সরদার বলেন, অসহনীয় গরমের মধ্যে ঘন ঘন লোডশেডিং সাধারণ মানুষজন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। গরমের যন্ত্রণায় মানুষজন রাতে ঘুমাতে পারছে না। ঘুমাতে না পারায় অধিক রাত পর্যন্ত মানুষজন রাস্তা ও খোলা মাঠে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
প্রচন্ড গরমের কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে রোগীদের সংখ্যাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ নিতিশ চন্দ্র গোলদার বলেন, গরমে শিশুদের ডায়রিয়া, টাইফয়েড, শরীরে ঘাম বসে নিউমোনিয়া, ঠান্ডা, সর্দি, কাশি, জ্বর ও প্রস্রাবে সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে। এসব রোগ নিয়েই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছে রোগীরা। আমরা শিশুকে ঘরের বাইরে বের হতে না দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছি অভিভাবকদের। সেই সঙ্গে বিশুদ্ধ পানি ও টাটকা খাবার খাওয়াতে ও ফ্যানের নিচে রাখতে বলছি।
পাইকগাছা পল্লী বিদ্যুত সমিতির ডিজিএম ছিদ্দিকুর রহমান তালুকদার জানান, উপজেলায় নির্মিত লাইনের পরিমান ১৬০৫ কিলোমিটার। আর প্রায় ৮৭ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎএর চাহিদা রয়েছে ১৭ মেগাওয়াট। সেখানে পাওয়া যাচ্ছে ৭-৮ মেগওয়াট। ঘাটতি থাকছে ৯-১০ মেগাওয়াট। অর্ধেকেরও কম বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। ফলে গ্রাহকের চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। যা থেকে পর্যায়ক্রমে লোডশেডিং করা হয়। তবে কবে নাগাদ বিদ্যুৎ স্বাভাবিক হবে তা নিশ্চিত করে বলতে না পারলেও খুব তাড়াতাড়ি সমাধান হবে বলে তিনি জানান।