নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে উকিল মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা মামলায় উকিল বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত উকিল বাবার নাম আনোয়ার উল্লাহ ওরফে আনোয়ার (৬০)। সে সোনারগাঁ উপজেলার কাচঁপুর চেঙ্গাইন বড়ভিটা এলাকার মৃত আ: রাজ্জাক মিয়ার ছেলে।

ভুক্তভোগী ওই নারী মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, উক্ত আসামী আমার প্রতিবেশী। বিগত প্রায় ২০ বৎসর পূর্বে আমার বিবাহ হয়। আমার স্বামী একজন অটো রিক্সা চালক। আমার বিবাহের সময় উল্লেখিত আসামী আমার উকিল বাবা হয়। আমার বিবাহের পর হইতে আমি আসামীর উকিল মেয়ে হিসাবে তাহার বাড়ীতে নিয়মিত আসা-যাওয়া করি। উক্ত আসামীও আমার বাড়ীতে আসা-যাওয়া

করে। গত ১৪ জুন দুপুরে উপরোক্ত আসামী তাহার ব্যবহৃত মোবাইল হইতে আমার ব্যবহৃত মোবাইলে কল করিয়া জরুরী কথা আছে বলিয়া তাহার স্ত্রী (আমার উকিল মা আমাকে তাহার বাড়ীতে যাইতে বলিয়াছে বলিয়া জানায়। আমি আসামীর কথা মতে সোনারগাঁ থানাধীন চেঙ্গাইন বড়ভিটা সাকিনস্থ আসামীর বাড়ীতে গিয়া তাহাকে বাড়ীতে একা পাই। তখন আমি তাহাকে জিজ্ঞাসা করি যে, আমার উকিল মা কোথায় গেছে। তখন আসামী বলে যে,আমার উকিল মা (আসামীর স্ত্রী) বাহিরে গেছে এবং সে আমাকে তাহার শয়ন কক্ষে বসিতে বলে। তখন আসামী আমাকে জাড়িয়ে ধরিয়া আমার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে ধর্ষনের চেষ্টা করে। তখন আমি ডাক-চিৎকার শুরু করিলে উক্ত আসামী আমাকে ছাড়িয়া দিলে, আমি আসামীর বাড়ী হইতে আমার বাড়ীতে চলিয়া আসি এবং আমি আমার স্বামী সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের ঘটনা জানাই। আসামি বিষয়টি মীমাংসা করিবে বলে আমার স্বামীকে কোথাও কোন ধরনের অভিযোগ করিতে না করে শাসিয়ে দেয়। ভয়ে আমরা কোথাও যাইনি। পরবর্তীতে আমার স্বামীর সহযোগিতায় আমি গতকাল থানায় এসে মামলা করি।তবে আনোয়ারের আত্নীয় স্বঝনরা আমাকে ও আমার স্বামীকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছে।আমি ন্যায় বিচার চাই।

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) কামরুজ্জামান বলেন"এই ঘটনায় মামলা দায়েরের পর আসামীকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার দূপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।