০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪

সিদ্ধিরগঞ্জে ধারালো ব্লেড দিয়ে স্বামীর বিশেষ অঙ্গ কাটার অভিযোগে স্ত্রী আটক

প্রতিদিনের নিউজ :
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৭:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুন ২০২৪
  • / ৯৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

দীর্ঘদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ বিরোধ চলছিল। গতকাল শনিবার দুপুরেও স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কলহ বিরোধের এক পর্যায়ে ঝগড়াঝাটি হয়। পরে স্বামী মো.কামাল উদ্দিন (৩৭) দুপুরের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে যান। এই সুযোগে স্ত্রী নাজমা বেগম (৩৫) ঘুমন্ত স্বামীর বিশেষ অঙ্গ ধারালো ব্লেড দিয়ে কেটে রক্তাক্ত করেন। কামাল উদ্দিনের ডাকচিৎকারের বাড়ির লোকজন ছুটে এসে তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজহাসপাতলে নিয়ে ভর্তি করিয়েছেন।

এ ঘটনাটি ঘটেছে আজ শনিবার দুপুরের পর সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিল ৪ নং রোডের শেষ মাথায় মো.কামাল হোসেনের বাড়ির দ্বিতীয়তলায়। বাড়ির লোকজন ওই নারীকে আটক করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশে খবর দিলে থানার এস.আই আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারীকে আটক করে থানায় নিয়েগেছেন। এ খবর দ্রত হিরাঝিল এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শত শত মানুষ ভিড় জমায় ওই বাড়ির সামনে।

বাড়ির মালিক মো.কামাল হোসেন বলেন, নোয়াখালীর কবির হাটের উত্তর জগদানন্দ গ্রামের নুর জামালের ছেলে কামাল উদ্দিন স্ত্রী নাজমা বেগম নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে ভাড়া থাকেন তার বাড়িতে। নাজমা আদমজী ইপিজেডে একটিপোশাস কারখানায় অপারেটর হিসেবে চাকরী করেন। স্বামী কামাল উদ্দিন স্যানোটারি মিস্ত্রী হিসেবে কাজ করেন। প্রায়ই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাটি হতো বলে বাড়ির মালিক ও অন্যান্য ভাড়াটিয়ারা জানান। তারা আরও জানান বামাল উদ্দিনের গ্রামের বাড়িতে প্রথম স্ত্রী ও ৩টি সন্তান থাকা সত্বেও নাজমা বেগম বিয়ে করে ঘরসংসার করছিল। নাজমা গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর সদরের বদরপুরে। তার পিতার নাম রুস্তম খন্দকার।

আটককৃত দ্বিতীয় স্ত্রী নাজমা বেগম বলেন, আমি এবং কামাল উদ্দিন আয়শা গার্মেন্টে চাকুরী করার সময় সে প্রথম স্ত্রী ও সন্তানের কথা গোপন করে আমাকে গত ৩ বছর পূর্বে বিয়ে করে এবং বিয়ে করার পর থেকে স্বামী অন্য নারীতে আসক্ত হয়ে পড়ে এবং প্রায়ই অতেুক ঘরের মধ্যে জগড়াঝাটি করতো যার কারণে সে অতিষ্ঠ হয়ে স্বামীর বিশেষ অঙ্গ কেটে ফেলেন।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মো.আবুবকর সিদ্দিক বলেন,ওই নারীকে থানায় আটক করে রাখা হয়েছে এবং তার স্বামীকে ঢাকামেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে পরবর্তীতে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো ।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

সিদ্ধিরগঞ্জে ধারালো ব্লেড দিয়ে স্বামীর বিশেষ অঙ্গ কাটার অভিযোগে স্ত্রী আটক

আপডেট সময় : ০৯:৩৭:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুন ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

দীর্ঘদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ বিরোধ চলছিল। গতকাল শনিবার দুপুরেও স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কলহ বিরোধের এক পর্যায়ে ঝগড়াঝাটি হয়। পরে স্বামী মো.কামাল উদ্দিন (৩৭) দুপুরের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে যান। এই সুযোগে স্ত্রী নাজমা বেগম (৩৫) ঘুমন্ত স্বামীর বিশেষ অঙ্গ ধারালো ব্লেড দিয়ে কেটে রক্তাক্ত করেন। কামাল উদ্দিনের ডাকচিৎকারের বাড়ির লোকজন ছুটে এসে তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজহাসপাতলে নিয়ে ভর্তি করিয়েছেন।

এ ঘটনাটি ঘটেছে আজ শনিবার দুপুরের পর সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিল ৪ নং রোডের শেষ মাথায় মো.কামাল হোসেনের বাড়ির দ্বিতীয়তলায়। বাড়ির লোকজন ওই নারীকে আটক করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশে খবর দিলে থানার এস.আই আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারীকে আটক করে থানায় নিয়েগেছেন। এ খবর দ্রত হিরাঝিল এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শত শত মানুষ ভিড় জমায় ওই বাড়ির সামনে।

বাড়ির মালিক মো.কামাল হোসেন বলেন, নোয়াখালীর কবির হাটের উত্তর জগদানন্দ গ্রামের নুর জামালের ছেলে কামাল উদ্দিন স্ত্রী নাজমা বেগম নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে ভাড়া থাকেন তার বাড়িতে। নাজমা আদমজী ইপিজেডে একটিপোশাস কারখানায় অপারেটর হিসেবে চাকরী করেন। স্বামী কামাল উদ্দিন স্যানোটারি মিস্ত্রী হিসেবে কাজ করেন। প্রায়ই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাটি হতো বলে বাড়ির মালিক ও অন্যান্য ভাড়াটিয়ারা জানান। তারা আরও জানান বামাল উদ্দিনের গ্রামের বাড়িতে প্রথম স্ত্রী ও ৩টি সন্তান থাকা সত্বেও নাজমা বেগম বিয়ে করে ঘরসংসার করছিল। নাজমা গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর সদরের বদরপুরে। তার পিতার নাম রুস্তম খন্দকার।

আটককৃত দ্বিতীয় স্ত্রী নাজমা বেগম বলেন, আমি এবং কামাল উদ্দিন আয়শা গার্মেন্টে চাকুরী করার সময় সে প্রথম স্ত্রী ও সন্তানের কথা গোপন করে আমাকে গত ৩ বছর পূর্বে বিয়ে করে এবং বিয়ে করার পর থেকে স্বামী অন্য নারীতে আসক্ত হয়ে পড়ে এবং প্রায়ই অতেুক ঘরের মধ্যে জগড়াঝাটি করতো যার কারণে সে অতিষ্ঠ হয়ে স্বামীর বিশেষ অঙ্গ কেটে ফেলেন।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মো.আবুবকর সিদ্দিক বলেন,ওই নারীকে থানায় আটক করে রাখা হয়েছে এবং তার স্বামীকে ঢাকামেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে পরবর্তীতে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো ।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন