ক্রেতা-বিক্রেতাদের দর কষাকষিতে নেত্রকোনায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট
- আপডেট সময় : ০৬:৫৭:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪
- / ১০০
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে নেত্রকোনায় শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন বাজারে কোরবানির পশু নিয়ে আসছেন ব্যাপারীরা।
আজ (১৫ মে) শনিবার নেত্রকোনার বিভিন্ন গরুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, হাটে প্রচুর পরিমানে গরু, ছাগল ও ভেড়া উঠছে। ক্রেতারা হাটে ঘুরে ঘুরে গরু, ছাগল, মহিষসহ বিভিন্ন কোরবানির পশু দেখছেন এবং দাম যাচাই করে কিনছেন। ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, সুন্দর পরিবেশে ও নিরাপদে কোরবানির পশু কেনাবেচা হচ্ছে।
নেত্রকোনা সদরের তাতিয়র এলাকা থেকে আসা গরু বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম জানান, এবার তিনি ৩টি গরু বাজারে তুলেছেন। সবচেয়ে বড় ষাঁড় গরুটির ওজন হবে প্রায় ১২ মণ দাম চাইছেন ৩ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে ষাঁড়টির দাম উঠেছে ২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা। তিনি বলেন, ষাঁড় গরুটির দাম ৩ লক্ষ টাকা উঠলে বিক্রি করবেন।
বারহাট্টা উপজেলা সদরের হাটে কৈলাটি থেকে আসা জসিম উদ্দিন জানান, তার নিজের বাড়িতে পালিত ৮ মণ ওজনের ষাঁড়টির দাম চেয়েছেন ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে গরুটি তিনি ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন।
নেত্রকোনা সদরের হাটে গরু কিনতে আসা ক্রেতা শরীফ আকন্দ জানান, গত বাজারে গরুর দাম বেশি ছিল তাই কেনেনি। আজকের বাজারে গরুর দাম একটু কমেছে। তাই আজ গরু কেনার ইচ্ছে আছে।
বারহাট্টা বজারের গরুর হাটে মঞ্জুরুল ইসলাম নামে অপর এক ক্রেতা জানান, গত বাজারের তুলনায় আজকের বাজারে গরুর দাম তুলনামূলক ভাবে কম। তাই আজ ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা দিয়ে বেশ ভাল একটা ষাঁড় কিনে ফেললাম।
নেত্রকোনা সদরের গরুর হাটের ইজারাদার আবু মনসুর আহমেদ বলেন, নিরাপত্তার জন্য হাটে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ফলে ক্রেতা-বিক্রেতা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে কেনাবেচা করছেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ ওয়াহেদুল আলম বলেন, ‘প্রতিটি হাটের কোরবানির পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আমাদের মেডিকেল টিম কর্মরত রয়েছেন। কোনো অসুস্থ গরু কেউ যেন বিক্রি করতে না পারে, সে বিষয়ে আমাদের মেডিকেল টিম কাজ করে যাচ্ছে।’
নেত্রকোনা জেলা পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ বলেন, পশুর হাটগুলোতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে তার জন্য আমাদের পুলিশ সদস্যরা তৎপর রয়েছেন।