০৮:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪

হোমনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাংবাদিকদের উপর হামলা

নিজস্ব প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় : ০৮:০৮:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪
  • / ১৪৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় গত বুধবার (৫জুন) ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। জেলার ইটাভরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে মারামারির সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে দৈনিক বার্তা সংস্থা আইএনবি নিউজ এর নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সাংবাদিক প্রতিনিধির একটি টিম উপস্থিত হন। সেখানে মারামারির বিষয়ে একজন ভোটারের সাথে কথা বলে সত্যতা প্রমান পাওয়া যায়।

এমতাবস্থায় ভোট কেন্দ্রের থমথম অবস্থা দেখে আইএনবি নিউজের সাংবাদিক পর্যবেক্ষণ টিমটি প্রিজাইটিং অফিসারসহ বিভিন্ন প্রার্থির এজেন্টদের সাথে কথা বলে জানতে পারে কেন্দ্রের ভিতরে শান্তিপূর্ণ অবস্থা আছে। তবে বাহিরে কিছু হট্টগোল হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় সাংবাদিকরা তাদের দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেন।

এর কিছুটা সময়ের পর ভোট কেন্দ্রের নিকটবর্তী গেইটের সামনে একদল দল মহিলা, যুবকসহ বিভিন্ন বয়সের অর্ধশতাধিক দুস্কৃতিকারী মানুষ ভোট কেন্দ্র বন্ধ করে দিবে বলে শ্লোগানসহ চিৎকার চেঁচামেচি করে হট্টগোল করতে থাকলে দায়িত্বরত পুলিশ প্রশাসন সেখানে উপস্থিত হন।

এমন সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে আইএনবির সাংবাদিক টিম লিডার এমডি বাবুল ভূঁইয়া এবং তার সঙ্গে থাকা ক্যামেরাম্যান মোঃ লিটনকে নিয়ে দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার সাথে সাথে কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই একজন যুবক এসে লিটনের হাত থেকে ক্যামারা ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলার চেস্টা করিলে এক পর্যায়ে ক্যামারাটি নিচে পরে গিয়ে ফেটে যায়। এমতাবস্থায় সাংবাদিক বাবুল ভূঁইয়া পুলিশকে অবগত করে দৌড়ে গিয়ে যুবটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে পলিশের সামনেই তার উপরও চড়াও হয়ে বসে হাত তোলে এবং প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকে তখন পুলিশ যুবকটিকে চলে যেতে বলে।
বিষয়টি প্রিজাইটিং অফিসারদের জানালে তারা নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে তালবাহানা করতে থাকে এমতাবস্থায় একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানাইলে সাথে সাথেই মেজিস্ট্রেট এসে ঘটনার মূল নায়ক বাউল রফিক সরকারকে আটক করে নিয়ে যান।

আইএনবি’র অনুসন্ধানে জানা যায়, এই রফিক সরকার গংরা হচ্ছে সিদ্দিকুর রহমান আবুল এর লালিত সন্ত্রাসী বাহিনী। আর আবুল হচ্ছেন হোমনা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল মার্কার প্রার্থী।

অনুসন্ধানে আরোও জানা যায়, ইটাভরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়াও ভোট শুরু হওয়া থেকে শেষ পর্যন্ত সিদ্দিকুর রহমান আবুল এর নির্দেশে তার সন্ত্রাসী বাহিনী বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে দেশি-বিদেশী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ১নং মাথাভাঙ্গা ইউনিয়ন এর জগনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছয়ফুল্লাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জয়দেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এবং ভংগাচর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র।

ভোট শেষে সাংবাদিকরা ঢাকায় ফেরার পথে ১নং মাথাভাঙ্গা ইউনিয়ন এর ভংগাচর এলাকায় পৌঁছাইলে রাস্তায় তাদের গাড়ি গতিরোধ করে ইটপাটকেল ছোড়তে থাকে এবং গাড়ি লক্ষ করে গুলি চালালে সাংবাদিকরা দ্রুতগতিতে গাড়ি চালিয়ে প্রাণে রক্ষা পায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইএনবি নিউজ এর সিনিয়র সাংবাদিক এমডি বাবুল ভূঁইয়া প্রকৃত দোষিদের গ্রেফতার করে দৃস্টন্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

পাশাপাশি তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সাংবাদিকরা নিরপ্রেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আর কতদিন এভাবে মার খেয়ে মৃত্যুর মুখোমুখি পড়তে হবে? পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় আমাদের সাংবাদিকদের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব কি কেউ নিবেনা ?


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

হোমনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাংবাদিকদের উপর হামলা

আপডেট সময় : ০৮:০৮:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় গত বুধবার (৫জুন) ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। জেলার ইটাভরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে মারামারির সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে দৈনিক বার্তা সংস্থা আইএনবি নিউজ এর নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সাংবাদিক প্রতিনিধির একটি টিম উপস্থিত হন। সেখানে মারামারির বিষয়ে একজন ভোটারের সাথে কথা বলে সত্যতা প্রমান পাওয়া যায়।

এমতাবস্থায় ভোট কেন্দ্রের থমথম অবস্থা দেখে আইএনবি নিউজের সাংবাদিক পর্যবেক্ষণ টিমটি প্রিজাইটিং অফিসারসহ বিভিন্ন প্রার্থির এজেন্টদের সাথে কথা বলে জানতে পারে কেন্দ্রের ভিতরে শান্তিপূর্ণ অবস্থা আছে। তবে বাহিরে কিছু হট্টগোল হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় সাংবাদিকরা তাদের দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেন।

এর কিছুটা সময়ের পর ভোট কেন্দ্রের নিকটবর্তী গেইটের সামনে একদল দল মহিলা, যুবকসহ বিভিন্ন বয়সের অর্ধশতাধিক দুস্কৃতিকারী মানুষ ভোট কেন্দ্র বন্ধ করে দিবে বলে শ্লোগানসহ চিৎকার চেঁচামেচি করে হট্টগোল করতে থাকলে দায়িত্বরত পুলিশ প্রশাসন সেখানে উপস্থিত হন।

এমন সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে আইএনবির সাংবাদিক টিম লিডার এমডি বাবুল ভূঁইয়া এবং তার সঙ্গে থাকা ক্যামেরাম্যান মোঃ লিটনকে নিয়ে দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার সাথে সাথে কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই একজন যুবক এসে লিটনের হাত থেকে ক্যামারা ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলার চেস্টা করিলে এক পর্যায়ে ক্যামারাটি নিচে পরে গিয়ে ফেটে যায়। এমতাবস্থায় সাংবাদিক বাবুল ভূঁইয়া পুলিশকে অবগত করে দৌড়ে গিয়ে যুবটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে পলিশের সামনেই তার উপরও চড়াও হয়ে বসে হাত তোলে এবং প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকে তখন পুলিশ যুবকটিকে চলে যেতে বলে।
বিষয়টি প্রিজাইটিং অফিসারদের জানালে তারা নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে তালবাহানা করতে থাকে এমতাবস্থায় একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানাইলে সাথে সাথেই মেজিস্ট্রেট এসে ঘটনার মূল নায়ক বাউল রফিক সরকারকে আটক করে নিয়ে যান।

আইএনবি’র অনুসন্ধানে জানা যায়, এই রফিক সরকার গংরা হচ্ছে সিদ্দিকুর রহমান আবুল এর লালিত সন্ত্রাসী বাহিনী। আর আবুল হচ্ছেন হোমনা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল মার্কার প্রার্থী।

অনুসন্ধানে আরোও জানা যায়, ইটাভরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়াও ভোট শুরু হওয়া থেকে শেষ পর্যন্ত সিদ্দিকুর রহমান আবুল এর নির্দেশে তার সন্ত্রাসী বাহিনী বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে দেশি-বিদেশী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ১নং মাথাভাঙ্গা ইউনিয়ন এর জগনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছয়ফুল্লাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জয়দেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এবং ভংগাচর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র।

ভোট শেষে সাংবাদিকরা ঢাকায় ফেরার পথে ১নং মাথাভাঙ্গা ইউনিয়ন এর ভংগাচর এলাকায় পৌঁছাইলে রাস্তায় তাদের গাড়ি গতিরোধ করে ইটপাটকেল ছোড়তে থাকে এবং গাড়ি লক্ষ করে গুলি চালালে সাংবাদিকরা দ্রুতগতিতে গাড়ি চালিয়ে প্রাণে রক্ষা পায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইএনবি নিউজ এর সিনিয়র সাংবাদিক এমডি বাবুল ভূঁইয়া প্রকৃত দোষিদের গ্রেফতার করে দৃস্টন্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

পাশাপাশি তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সাংবাদিকরা নিরপ্রেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আর কতদিন এভাবে মার খেয়ে মৃত্যুর মুখোমুখি পড়তে হবে? পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় আমাদের সাংবাদিকদের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব কি কেউ নিবেনা ?


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন